মজার মজার কথা শুনতে কে না ভালোবাসে বলুন। সারাদিন ক্লান্তি, অবসাদ দুর করার জন্য মজার মজার হাসির কথাগুলো দারুন কাজ করে৷ বর্তমান সময়ে মানুষ যন্ত্রের মতো হয়ে পড়েছে৷ সারাদিন কাজ আর কাজ। কাজ শেষে যেটুকু সময় তারা পায়, সেই সময়গুলো আবার ফোনের পিছনে ব্যয় করে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখা যায় বেশিরভাগ মানুষই তার অবসর সময়টা ইন্টারনেট ব্যবহার করে কাটায়। এরকম ভাবে মানুষের জীবন যন্ত্র নির্ভর হয়ে পড়েছে৷
কিন্তু আগের সময় মানুষ এখনকার মত এতটা যন্ত্র নির্ভর ছিল না। আগের সময় মানুষ বিভন্ন জায়গায় আড্ডা দিত, মজা করতো। বিভিন্ন মজার মজার কথা বলে সবার মন ভালো করার চেষ্টা করতো। বিশেষ করে বিকেলের সময়গুলো অনেক মজা করে মানুস কাঁটাতো। ছেলে -মেযেরা নানারকম খেলাধুলা করতো বিকেলের সময়গুলোতে। এতে করে তাদের যেমন শারীরিকভাবে ব্যায়ামের কাজ হতো, তেমনি মানসিকভাবেও তারা সুস্থ থাকতো।কিন্তু বর্তমান সময়ে এরকম খেলাধুলা আর দেখা যায় না।
বর্তমানে সবাই ইন্টারনেট নিয়ে ব্যস্ত। ইন্টানেটেই খেলাধুরা, ইন্টারনেটেই মজা করা। তাই অনেকেই দেখা যায় বিভিন্ন ধরণের বিষয় ইন্টারনেটে সার্চ করে থাকে। যেমন : মজার মজার ফানি ভিডিও, ছেলেদের নিয়ে মজার কথা, মেয়েদের নিয়ে মজার কথা, বাচ্চাদের নিয়ে বিভিন্ন ফানি জোকস, বড়দের নিয়ে বিভিন্ন হাসির হাসির কথা ইত্যাদি। আপনি কি একরম মজার মজার কথা খুঁজছেন? বিশেষ করে ছেলেদের নিয়ে মজার মজার জোকস খুঁজছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসে পৌঁছেছেন। আর এই পোস্টটি আপনার জন্য উপকারি হতে পারে। কেননা আজকের পোস্টটি সাজানো হয়েছে বিভিন্নরকম ছেলেদের নিয়ে মজার মজার জোকস এর মাধ্যমে।
ছেলেদের নিযে বিবিন্ন রকম মজার মজার জোকস পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন। এখানে বিভিন্ন ধরণের মজার মজার জোকস দেওয়া হয়েছে। ছেরেরা সাধারণত শত কষ্টের পরেও পরিবারের সবার কথা মাথায় রেখে হাসিমুখে থাকে। নিজের ব্যস্তটা কাটিয়ে উঠতে এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের খুশি করার জন্য বিবিন্ন সময় বিভিন্ন রকম মজার মজার জোকস তারা বলে থাকে। এসকল হাসের বিভিন্ন জোকস বলার মাধ্যমে তারও সারাদিনের ক্লান্তিবোধ যেমন কিছুটা দুর হয়, তেমনিভাবে পরিবারের সবাই অনেক মজা পায়।
আগের সময় বেশিরভাগ পরিবারই ছিল যৌথ পরিবার৷ আর সন্ধ্যা হলেই বাড়ির বয়স্ক ব্যক্তিরা নানারকম গল্পের আসর জমাতো৷ বিশেষ করে দাদি-নানিরা তাদের নাতি -নাতনিদের নিয়ে মজার মজার গল্প শুনাতে। এখান থেকে বাচ্চারা অনেক বেশি বিনোদন পেত। যা বর্তমান সময়ে দেখা যায় না। কারণ বর্তমান সময় হযে গেছে যান্ত্রিকতার যুগ। স্মার্টফোনের যুগ। এখন আর আগের মতো গল্প শুনাতে হয় না।
এখন ছোট ছোট বাচ্চাদেরও বিনোদনের মাধ্যমে হয়ে গেছে মোবাইল ফোন। সারাদিন বাসাবন্দি হয়ে গেছে বাচ্চারা। বাচ্চাদের আর খেলাধুলকর মতো জায়গা পাওয়া যায় না৷ তারা ফোন নিয়েই সময় কাটায় আর সারাদিন ফোনেই বিভিন্ন ফানি জোকস বা কার্টুন দেখে। কিন্তু এর ফলে শারীরিকভাবে যেমন বাচ্চারা দূর্বল হয়ে পড়ছে। অপরদিকে মানসিকভাবেও হতাশাগস্ত হয়ে পড়ছে। চোখের সমস্যা, মাথা ব্যাথাসহ বিভিন্ন রকম রোগে আক্রান্ত্র হচ্ছে।
আগের সময় ছেলেরা সন্ধ্যা হলেই বিভিন্ন জায়গায় আড্ডা দিত। সারাদিনের ক্লান্ত দুর হয়ে যেত সেসকল মজার মজার আড্ডায় হাস্যরসাত্মক বিভিন্ন কথার মাধ্যমে। সেই সময়গুলো ছিল সোনালী সময়। কিন্তু বর্তমানে ছেলেদের একসাথে হয়ে এরকম আড্ডা দেওয়া, মজার মজার জোকস বলাটা আর চোখে পড়ে না। সবাই ফোন নিয়ে ব্যস্ত। যে বয়সে আগের ছেলেরা আড্ডা দিত, খেলাধুলা করতো, বর্তমানে সেই বয়সের ছেলেরা মোবাইল গেম নিয়ে ব্যস্ত। বাচ্চাদের ভালোবর জন্য বর্তমানে দরকার তাদের হাতে ফোন না দেওয়া। ফোনের মাধ্যমে বিনোদন না দিয়ে আগের মতো খেলাধুলা করানো শিখাতে হবে৷ যান্ত্রিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আর মজার মজার আড্ডা, জোকস শুনাতে হবে।
Leave a Reply