
দৈনন্দিন জীবনে চলাফেরার ক্ষেত্রে আমরা যখন বিভিন্ন মানুষকে পছন্দ করি তখন আস্তে আস্তে কারো প্রতি বিশেষ দুর্বলতা চলে আসে। যদি কারো সঙ্গে আপনাদের সম্পর্ক হয়ে যায় এবং সেই সম্পর্কের ক্ষেত্রে আপনারা একটা ভবিষ্যৎ নাম প্রদান করতে চান তাহলে আপনাদেরকে সবচাইতে যে পদ্ধতিটি অনুসরণ করতে হবে তা হলো বিয়ে। দৃষ্টিকোণ থেকে আপনি যখন বিয়ে করবেন না এবং একজন অন্য নারীর সঙ্গে কথা বলবেন তখন আপনার সেই প্রেম কখনোই পবিত্র থাকবে না।
ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে আপনি একজন নারীর সঙ্গে কথা বলছেন মানে তাতে আপনার পাপ হচ্ছে এবং এই পাপ থেকে মুক্তি পেতে চাইলে অতিসত্বর বিয়ে করে নেওয়াটাই সবচাইতে ভালো হবে। কিন্তু বিভিন্ন কারণে অথবা বিভিন্ন আর্থিক সমস্যার কারণে অথবা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কারণে আপনারা যখন বিয়ে করেন না এবং দিনের পর দিন প্রেমের সম্পর্ক বজায় রাখেন তখন দেখা যাবে যে আপনাদের এখানে পাপ হবে।
তাই আপনি যদি আপনার পছন্দের মানুষকে বিয়ে করতে চান এবং পছন্দের মানুষকে আজীবনের সঙ্গী হিসেবে পেতে চান তাহলে আপনাদেরকে অবশ্যই নির্দিষ্ট কিছু আমল করতে হবে। যেখানে অন্য কোন নারীর সঙ্গে প্রয়োজন ছাড়া কথা বলাই হারাম সেখানে আপনি যদি দিনের পর দিন কথা বলেন এবং প্রেমের সম্পর্ক পবিত্র বলে মনে করে থাকেন তাহলে আপনার এই পাপ বৃদ্ধি পেতে থাকবে। দুইজন দুইজনকে পছন্দ করেন এবং আজীবনের সঙ্গী হিসেবে পেতে চান এমন ক্ষেত্রে আপনারা দুজনই আমল করবেন যাতে করে আপনাদের বিয়ে খুব তাড়াতাড়ি অনুষ্ঠিত হয়।
এক্ষেত্রে উভয় পরিবার যদি সম্মতি প্রদান করে তাহলে অবশ্যই আপনারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবেন এবং বিবাহ বন্ধনের আবদ্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত আপনাদেরকে অবশ্যই পর্দা করে চলতে হবে এবং যাবতীয় নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে। আর পছন্দের মানুষকে আপনি যখন পছন্দ করবেন এবং সেই ব্যক্তির থেকে যদি কোন ধরনের সাড়া না পেয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে এক্ষেত্রে অথবা তাকে পাওয়ার জন্য বিশেষ কিছু আমল করতে হবে। কিছু আমলের ভেতরে আপনাকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে হবে এবং সৎ ভাবে এবং বিয়ে করার উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে চাইতে হবে। নিজেকে সৎ পথে পরিচালিত করতে হবে এবং কোন ধরনের মিথ্যা বলা যেমন যাবে না তেমনি ভাবে কোন ধরনের হারাম বস্তু স্পর্শ করা যাবে না।
যখন আপনার উদ্দেশ্য ভালো হবে এবং আপনি যখন একজন ভালো মানুষের পরিণত হবেন তখন এটাও মাথায় রাখতে হবে যে ভালো হওয়ার ক্ষেত্রে অথবা নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য কাউকে ধোকা দেওয়া যাবে না। প্রথমত গরিবদের কে দান করতে হবে এবং সুযোগ পেলেই মানুষকে উপকার করার পাশাপাশি মহান সৃষ্টিকর্তার দেখানো পথে নিজের জীবনকে পরিচালিত করতে হবে। নিজের দৈনন্দিন জীবনে কাজের প্রতি ঐক্যবদ্ধ হতে হবে যাতে করে আপনার সফলতা খুব তাড়াতাড়ি চলে আসে এবং আপনি পারিবারিকভাবে উভয় পরিবারের সম্মতিক্রমে সেই মানুষটিকে নিজের জীবনের সঙ্গিনী হিসেবে পেয়ে যান।
এক কথায় ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে আপনাকে ভালো হতে হবে এবং অতিরিক্ত কথা না বলে প্রয়োজনের কথা গুলো সম্পন্ন করে মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে এমন ভাবে এবাদত করতে হবে যাতে সেই ব্যক্তি আপনার জীবনে এসে আপনার জীবনকে সুখে শান্তিতে ভরপুর করে দেয়।
Leave a Reply