ভূমি সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের সেবা ঘরে বসে পাওয়া যাচ্ছে বলে আপনারা খুব সহজেই সিএস খতিয়ান অনলাইনে দেখতে পাবেন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার সর্বসাধারণের সুবিধার জন্য সিএস খতিয়ান থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের খতিয়ান যাচাই করার অনলাইন সিস্টেম চালু করেছে। সাধারণ জনগণ যাদের ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে যেকোনো ধরনের ভূমি সংক্রান্ত আবেদন করতে পারে এবং অনলাইনের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে পারে তার জন্য এই ব্যবস্থাগুলো গ্রহণ করার মাধ্যমে খুব দ্রুত একজন মানুষ কাজ করতে পারছে।
তাই আপনারা যারা ভূমি সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের সেবা পেতে চান তারা অনলাইনে অবশ্যই এগুলো দেখবেন যে আছে কিনা এবং সেই সুবিধা যদি চালু থাকে তাহলে আপনারা তা ব্যবহার করতে পারবেন। অপরিচিত কারো জমি কিনতে হলে অথবা জমির খতিয়ান ঠিক আছে কিনা এ সকল বিষয় জানতে হলে আমাদেরকে সিএস খতিয়ান চেক করতে হয়।
তবে কারো ভূমির সিএস খতিয়ান যদি আপনাদেরকে প্রদান করে থাকে তাহলে তা কতটা সঠিক তা যাচাই করার জন্য অনলাইন এই সিস্টেম আপনাদেরকে অনেক এগিয়ে রাখবে। কারণ আপনি যখন সিএস খতিয়ান যাচাই করার জন্য স্থানীয় ভূমি অফিসে যাবেন না এবং ঘরে বসে মাত্র কয়েকটা ক্লিকের মাধ্যমে তথ্য প্রদান করার ভিত্তিতে এগুলো পেয়ে যাবেন। তাই আপনাদেরকে বলব যে কারো জমি সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করার জন্য সেই ব্যক্তি যদি আপনার কাছে জমি বিক্রি করতে আগ্রহ প্রকাশ করে থাকে এবং আপনাকে যদি যাচাই করার জন্য খতিয়ান নাম্বার প্রদান করে থাকে তাহলে এই সিএস খতিয়ান নিয়ে আপনারা অনলাইনের মাধ্যমে যাচাই করবেন।
অতীতে ভূমি সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের আইন খুব একটা জারি করা হতো না বলে অথবা সেগুলোর কার্যকর ছিল না বলে একজনের জমি আরেকজনের কাছে বিক্রি করা হতো। এভাবে শেষ যে ব্যক্তি ভূমির খাজনা প্রদান করেছে এবং যে ব্যক্তি নাম জারি করেছে তার পরিবর্তে অন্য কোন ব্যক্তির কাছে জমি হস্তান্তর হয়ে গেল সেই জমির কোন ধরনের নাম জারি করা হতো না। বর্তমান সময়ে যখন নামজারি নামক সিস্টেম চালু করার ভিত্তিতে সর্বশেষ মালিকানার তথ্য জানা যাচ্ছে সেহেতু আপনি কার থেকে জমি কিনছেন এবং সিএস খতিয়ান অনুযায়ী তার নাম ওয়েবসাইটে লিপিবদ্ধ আছে কিনা এ সকল বিষয় সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারবেন।
এতে করে সিএস খতিয়ান নাম্বার দিয়ে অথবা ভূমির মালিকানার নাম্বার দিয়ে আপনারা যখন প্রত্যেকটি তথ্য অনলাইনের মাধ্যমে পেয়ে যাবেন তখন দিনের পর দিন ভূমি অফিসে গিয়ে আপনাকে সময় নষ্ট করতে হবে না। এক্ষেত্রে আপনাদেরকে শুধু সিএস খতিয়ান নাম্বার সংগ্রহ করতে হবে এবং দাগ নম্বর সংগ্রহ করে নিতে হবে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার সর্বসাধারণের জন্য পর্চা নামক যে অনলাইন ওয়েবসাইট তৈরি করেছে সেটার লিংক হল https://eporcha.gov.bd/ ।
এই লিংক ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনারা গুগল ক্রোম ব্রাউজারের মাধ্যমে অথবা অন্য কোন ব্রাউজারের মাধ্যমে ওয়েবসাইটে গিয়ে খতিয়ান অনুসন্ধান অপশনে ক্লিক করবেন। তারপরে আপনাদেরকে ক্রমানুসারে সেখানে তথ্য প্রদান করতে হবে এবং তথ্য সার্চ করতে হবে।
তাই আপনি যখন সিএস খতিয়ান নির্বাচন করতে চাইবেন তখন অবশ্যই খতিয়ান অনুসন্ধানের অপশনে গিয়ে সিএস খতিয়ান অপশনটি নির্বাচন করবেন। তারপরে আপনাদের বিভাগের নাম থেকে শুরু করে জেলার নাম এবং উপজেলার নাম উল্লেখ করতে হবে। আপনারা যখন আপনাদের মৌজা নম্বর প্রদান করবেন এবং খতিয়ান নাম্বার প্রদান করে নিচের ক্যাপচা কোড ঠিকমতো বুঝে নিয়ে ফাঁকা ঘরে প্রদান করবেন তখন আপনাদেরকে সার্চ অপশনে ক্লিক করার কথা বলব।
সার্চ অপশনে ক্লিক করলেই আপনাদের সামনে সেই খতিয়ান নাম্বার অনুসরণ করে জমির মালিকানার নাম এবং জমির ধরন অথবা খাজনা পরিশোধের বিস্তারিত তথ্য সেখানে উল্লেখ থাকবে। আমরা মনে করি যে এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা সিএস খতিয়ান অনুসন্ধান করার সঠিক তথ্য এবং দিক নির্দেশনা পেয়ে গিয়েছেন।
Leave a Reply