শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় মা যা খাবেন না

Rate this post

যে সকল মায়েরা সন্তানদেরকে বুকের দুধ খাইয়ে থাকেন তাদের উদ্দেশ্যে আজকের এই পোষ্ট করা হয়েছে। আপনারা যারা শিশুকে বুকের দুধ খাইয়ে থাকেন তারা সন্তানদেরকে দুধ খাওয়া কালীন সময়ে যে সকল খাবার থেকে বেঁচে থাকবেন তা আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। এতে করে আপনারা সচেতন হতে পারবেন এবং দুধ খাওয়ানোর ক্ষেত্রে সচেতনতার ভূমিকা পালন করার পাশাপাশি আপনার সন্তানের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারবেন।

অনেক সময় দেখা যায় যে অনেক মা ভুলবশত খাবারের গুনাগুন জেনে খাবার ঠিক খেয়ে থাকেন। কিন্তু সেই খাবারের পরিমাণ কি পরিমাণ হলে ভালো ছিল এটা জানেন না বলে বেশি পরিমাণে খেয়ে ফেলেন এবং সেটা সন্তানের স্বাস্থ্যহানির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আর এই ক্ষেত্রে আমাদের ওয়েবসাইটে এই পোস্ট করা হয়েছে যাতে এ বিষয়ে আপনারা সঠিক তথ্য পেয়ে যান।

শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় মা যা খাবেন না

বুকের দুধ বৃদ্ধির ট্যাবলেট নাম কি, বুকের দুধ বৃদ্ধির দোয়া

বাচ্চাদের বুকের দুধ ছাড়ানোর উপায়

যদিও বিভিন্ন জায়গায় বিশেষজ্ঞরা বইয়ে থাকেন সন্তান জন্মের ছয় মাস পর্যন্ত শিশুকে শুধু বুকের দুধ খাওয়ানো উচিত সেহেতু আপনারা এই তথ্যগুলো মেনে চলেন। যেহেতু বুকের দুধের সঙ্গে একটা সন্তানের জীবনধারণের সম্পর্ক জড়িত রয়েছে সেহেতু এই বুকের দুধ কোন কোন উপাদান দিয়ে তৈরি হচ্ছে সেটা আপনাকে বুঝতে হবে। অর্থাৎ একটা মা যেসকল খাবার শরীরে গ্রহণ করছে সে সকল খাবার থেকেই বুকের দুধ উৎপন্ন হচ্ছে এবং সেগুলো সেই সন্তান খেয়ে থাকছেন। তবে খাবারের উপাদানগুলো নির্বাচন করতে হবে এমনভাবে যেটার মাধ্যমে দুধের উপাদানে কোন ধরনের ঝামেলা না হয় এবং সন্তানের সমস্যা না হয়।

আর সেই জন্য এখন আপনাদেরকে জানিয়ে দিতে চলেছি যে সকল খাবার খেলেও অল্প পরিমানে খাবেন এবং এভয়েড করে চলবেন। আমরা সকলেই জানি ভিটামিন সি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের গুণাগুণ প্রদান করে থাকে। তবে ভিটামিন সি বেশি পরিমাণে খাওয়া যাবে না যেটার কারণে দুধে ভিটামিন সি এর পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে যায়।

এতে করে একটি সন্তান ভিটামিন সি জাতীয় এ ধরনের খাবার খেলে অথবা দুধের মধ্যে সেই উপাদান তার শরীরে পরিলক্ষিত হলে শিশুর শরীরে অ্যালার্জি দেখা দিতে পারে। তাই সন্তানের মাকে অবশ্যই ভিটামিন সি খাওয়ার ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। মাইগ্রেনসহ বিভিন্ন সমস্যার কারণে যদি চা বা কফি খেয়ে থাকেন তাহলে সেটা দিনের ভেতরে দুই কাপের বেশি খাওয়া উচিত নয়।

কারণ চা এবং কফিতে যে ক্যাথিইনের পরিমাণ রয়েছে সেটা একটা সন্তানের জন্য ক্ষতিকর ভূমিকা পালন করবে। সকলেই জানে যে সামুদ্রিক মাছ অত্যন্ত ক্যালসিয়াম যুক্ত এবং লৌহ যুক্ত খাবার। সামুদ্রিক মাছ খাওয়ার ক্ষেত্রে আপনারা এটা যদি বেশি পরিমাণে খেয়ে থাকেন তাহলে দুধের উপাদানে পারদের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে যাবে। তাই দুধের গুণগতমান যেন ঠিক থাকে তার জন্য পারদের পরিমাণ বৃদ্ধি না করে সীমিত পরিমানে খেতে হবে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটা এভয়েড করে চলতে হবে।

যেসকল খাবারে পিপারমেন্ট ধারণ করা হয় সে সকল খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের অ্যালকোহল বা ধূমপান জাতীয় বিষয়গুলো যদি এড়িয়ে চলা যায় তাহলে সবচাইতে ভালো হবে। বাদামে যদি সেই মায়ের অসুবিধা থাকে অথবা অ্যালার্জির সৃষ্টি করে তাহলে সেটা বাদ দিয়ে চলতে হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button