দেশের মানুষের কথা এবং দেশের কথা ভেবে যারা নিজেদের জীবনকে সবসময়ই সেই সকল উন্নয়নমূলক কাজে প্রদান করে তাদেরকে বলা হয় এ দেশপ্রেমিক। একজন দেশ প্রেমিক সব সময় নিজের স্বার্থ দেখেন না এবং তিনি চান তার নিজের উন্নতি হওয়ার পাশাপাশি দেশের উপকার করতে এবং দশের উপকার করতে। আমাদের দেশের দেশ প্রেমিক যে কতটা উদার এবং কতটা আত্মত্যাগী তা আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধে দেখতে পেয়েছি।
এদেশের স্বাধীনতা অর্জন করার জন্য এবং পদে পদে বিভিন্ন জায়গায় বাংলা ভাষা এবং বাংলার অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখার জন্য নিজেদের জীবন অকাতরে বিলিয়ে দিয়েছেন। তাই একজন দেশ প্রেমিক সবসময়ই শ্রদ্ধার যোগ্য এবং সর্বকালে তিনি তার পরবর্তী প্রজন্মের থেকে শ্রদ্ধার দাবিদার। তাই বর্তমানের এই বস্তুবাদ যুগে আমরা যদি সেই সকল বিষয়গুলো চিন্তা না করে আমাদের আশেপাশের মানুষের কথা ভাবে এবং দেশের সম্পদের কথা ভেবে তাহলে প্রত্যেকের তার নিজ নিজ অবস্থান থেকে বেশ কিছু দায়িত্ব রয়েছে।
এই দায়িত্ব গুলো যদি আমরা মেনে চলতে পারি তাহলে দেখব যে আমাদের নিজেদের যেমন সমস্যা হচ্ছে না তেমনি ভাবে অন্য কোন মানুষের সমস্যা হবে না। তাই আপনারা যারা আজকের এই পোস্টে একজন দেশ প্রেমিকের ১০ টি গুন সম্পর্কে ধারণা অর্জন করতে এসেছেন তাদেরকে এখানে আমরা দশ বাক্যে তা বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।
১) একজন দেশ প্রেমিক সর্ব প্রথমে একটি দেশের যে নিয়মকানুন রয়েছে অথবা যে সংবিধানের মাধ্যমে দেশ পরিচালিত হয়ে আসছে সেই সংবিধানের প্রত্যেকটি ধারা এবং প্রত্যেকটি নিয়ম কানুন মনেপ্রাণে বিশ্বাস করবে এবং তা মেনে চলবে।
২) একজন দেশ প্রেমিক কখনোই নিজের সুবিধার জন্য অথবা অন্যের অসুবিধার জন্য অসামাজিক কাজে নিজেকে জড়িত করবে না। এ ধরনের কাজে কেউ লিপ্ত হলে দেশের ভালোর জন্য অবশ্যই তাকে বাধা দেবে।
৩) একটি ভোটের মাধ্যমে যখন একজন যোগ্য ব্যক্তি দেশ পরিচালনার জন্য নির্বাচিত হন তখন সেটা সূক্ষ খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেক্ষেত্রে একজন দেশ প্রেমিক তার দেশের উন্নতির জন্য যোগ্য ব্যক্তিদের নির্বাচন করার জন্য ভোট প্রদান করবেন।
৪) একজন দেশ প্রেমিক কখনোই দেশের ভেতরে দাঙ্গা হাঙ্গামা এর জন্য কাউকে পরিচিত করবে না এবং এক্ষেত্রে সকলের সঙ্গে সম্প্রীতি ও সংহতি রক্ষা করে সুসম্পর্ক বজায় রাখবেন।
৫) একজন দেশ প্রেমিক দেশের প্রত্যেকটি নিয়ম মানার পাশাপাশি রাস্তাঘাটে যখন চলাচল করবে তখন সেখানকার যেমন ট্রাফিক নিয়ম পালন করে চলবে তেমনি ভাবে বিভিন্ন ধরনের অফিশিয়াল যে নিয়ম নীতি রয়েছে সেগুলো মেনে চলবে।
৬) দেশপ্রেমিক ব্যক্তি সবসময় দেশের জাতীয় উন্নতির কথা বিবেচনা করবে এবং কোন কাজে অগ্রগতি আনলে দেশের তথা সার্বিক পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে সকলের উন্নতি হবে এ বিষয়গুলো যেমন বিবেচনা করবে তেমনি সেই অনুযায়ী কাজ করবে।
৭) একজন দেশপ্রেমিক যেহেতু দেশের প্রত্যেকটি নিয়ম কানুন মেনে চলছে সেহেতু দেশের জাতীয় পতাকা এবং জাতীয় সংগীত কে সম্মান করবে এবং এই সম্মান প্রদর্শন করার পাশাপাশি তিনি তার সন্তানদেরকে এই সঠিক শিক্ষা প্রদান করবেন।
৮) একজন দেশ প্রেমিক সরকারের যে সকল উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে সেগুলো মেনে চলবে এবং প্রত্যেকটি নির্দেশ অর্থাৎ যা দেশের মানুষের জন্য কল্যাণকর্তা মেনে চলবে।
৯) একজন দেশ প্রেমিক দেখা যাবে যে তার ইনকামের উপর নির্ভর করে সঠিক সময়ে সরকারকে আয়কর প্রদান করার পাশাপাশি সরকার তার থেকে যে বিষয়গুলো প্রাপ্য সেগুলো যেন বুঝে পাই সে বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে হবে। তাছাড়া সরকার যে সকল সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে সেগুলোও আমরা নিজেদের কল্যাণে ব্যবহার করব এবং সেগুলোর যত্ন নেব।
১০) দেশের প্রত্যেকটি সম্পদের গুরুত্ব বিবেচনা করে সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার যেমন করবে তেমনি ভাবে প্রত্যেককে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশের মানুষকে ভালোবেসে দেশের ভারতি ভালোবাসা বৃদ্ধি করতে চেষ্টা করবে।
তাই আপনি যে দেশে জন্মগ্রহণ করেছেন সে দেশের ত্রুটি না খুঁজে নিজ নিজ অবস্থান থেকে যদি আমরা দেশের প্রত্যেকটি বিষয় মেনে চলি তাহলে নিয়মের যেমন কঠোরতা বৃদ্ধি পাবে তেমনি ভাবে আমরাও সুষ্ঠু এবং শৃঙ্খলিত একটি দেশে বসবাস করার সুযোগ পাবো।
Leave a Reply