ঈদুল ফিতরের আমল

ঈদুল ফিতরের আমল

সারা জাহানের মুসলমানদের জন্য ঈদুল ফিতর অত্যন্ত আনন্দের একটি দিন। পবিত্র রমজান মাসে এক মাস সিয়াম সাধনা করার পর এবং ইবাদত বন্দেগী করার পর শাওয়াল মাসের প্রথম দিন ঈদুল ফিতর পালন করা হয়ে থাকে। এই বিশেষ দিনটি আমরা অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে পালন করে থাকি এবং সারাদেশে সরকারি ছুটিসহ বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হয়ে থাকে। তাই আপনি যখন ঈদুল ফিতরের আমল করতে চাইবেন তখন আমরা আপনাদেরকে এ বিষয়ে সাহায্য করবো।

ঈদুল ফিতরের জন্য যে সকল আমল করতে হয় সেগুলো আপনাদেরকে জানিয়ে দিলে আপনারা রোজার ঈদে অথবা ঈদুল ফিতরের ঈদে অবশেষে এগুলো পালন করতে পারবেন। আপনি যদি এ বিষয়ে আসলেই জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে মুসলিম উম্মার জন্য অবশ্যই এই বিশেষ দিনটির যে সকল আমল রয়েছে সেগুলো জেনে নিন এবং সেই অনুযায়ী আপনারা পালন করুন।

রমজান মাসের সিয়াম সাধনা করা প্রত্যেকটি সুস্থ শরীরের মানুষের জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে বলে আমরা দীর্ঘ সময় ধরে সিয়াম সাধনা করে থাকি। কোন বছর ২৯টি এবং কোন বছর ৩০ টি রোজা পালন করার মধ্য দিয়ে আমরা যখন আকাশের শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখতে পাই তখন আমাদের মনে এদের আনন্দ জেগে ওঠে। রমজানের রোজার শেষে আকাশে যখন খুশির চাঁদ দেখা যায় তখন ছোট থেকে বড়দের ভেতরে আনন্দের সীমা থাকে না।এতে করে দীর্ঘ এক মাসের রমজান মাসের সিয়াম সাধনার শেষ হয় এবং মানুষজন পরের দিন থেকে খাবারের অনুমতি পাওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য ইবাদত বন্দেগী করার অনুমতি পেয়ে যাই।

তবে যাই হোক ঈদুল ফিতরে আমরা বেশ কিছু আমল করব এবং এই আমল গুলো প্রত্যেকটি মুসলমানের জন্য অবশ্যই পালনীয়। আপনি যেহেতু দীর্ঘ এক মাস রোজা করতে পেরেছেন এবং তারাবির নামাজ সহ অন্যান্য ইবাদত করতে পেরেছেন সেহেতু ঈদুল ফিতরের এই দিনে যে সকল আমলগুলো উল্লেখ করা হবে সেগুলো পালন করতে পারবেন। তাই ঈদের দিন সকালে যখন ঘুম থেকে উঠবেন তখন অবশ্যই ফজরের সালাত আদায় করার পরে আপনারা গোসল সম্পন্ন করবেন। বছরের এই বিশেষ দিনটি প্রত্যেকটি মুসলমানের কাছে আনন্দের বলে পবিত্রতা অর্জনের জন্য অবশ্যই গোসল করতে হবে এবং এই ক্ষেত্রে আপনারা খুব সুন্দর ভাবে গোসল করে পরিষ্কার হওয়ার পরে ভালো কোন পোশাক পরিধান করবেন ।

বিশেষ করে যারা নামাজ আদায় করতে যাবেন তারা অবশ্যই সুন্নতি পোশাক পরবেন অথবা পাঞ্জাবি পায়জামা পরিধান করবেন। বিভিন্ন ধরনের সুগন্ধি ব্যবহার করতে পারেন এবং সেটা ব্যবহার করে ভালো পোশাকে আপনারা অবশ্যই ঈদগাহের দিকে রওনা দিবেন। তারপরে আপনারা ঈদগাহে যাওয়ার জন্য হেঁটে হেঁটে রওনা দিবেন এবং হেঁটে যাওয়ার সময় অবশ্যই তাকবীর পড়তে পড়তে যাবেন এবং তাকবীর পড়তে পড়তে ফেরত আসবেন।

এরপরে আপনাকে অবশ্যই ঈদের নামাজের আগে খাবার গ্রহণ করতে হবে এবং এই খাবার গ্রহণ করার ক্ষেত্রে আমরা যদি মিষ্টি জাতীয় খাবার খায় তাহলে সবচাইতে ভালো হবে। আমাদের নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদের দিন অবশ্যই খাবার খেয়ে বের হতেন এবং এই খাবার খেয়ে যদি আমরা বের হতে পারি তাহলে একটি সুন্নাহ পালন করা হবে।

ঈদুল ফিতরের দিন আমরা ঈদগাহে উপস্থিত হয়ে অবশ্যই তাকবির বারবার পড়তে থাকব এবং ইমাম যে খুতবা পাঠ করতে থাকবেন সেটি অবশ্যই মনোযোগ দিয়ে শুনতে থাকব। তাছাড়া ঈদুল ফিতরের ৬ তাকবীরের সহিত দুই রাকাত যে ওয়াজিব নামাজ রয়েছে তা আপনারা পাঠ করবেন এবং এটি পাঠ করার শেষে মোনাজাত করলে করবেন অথবা না করে আপনারা সকলের সঙ্গে কুশলাদি বিনিময় করবেন। তাছাড়া মসজিদে যখন উপস্থিত হবেন অথবা ঈদগাহে যখন উপস্থিত হবেন তখন অবশ্যই আপনারা খুতবা শোনার পাশাপাশি প্রত্যেকটি কাজ সম্পন্ন করে নিজ নিজ বাড়িতে এসে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিবেন।

তবে যাওয়ার সময় এক পথ ব্যবহার করবেন এবং আসার সময় আরেক পথ ব্যবহার করবেন। আর ঈদুল ফিতরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটা আমল হল ফিতরা দেওয়া এবং আপনাদের এলাকায় যে পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে তা আপনাদেরকে প্রদান করে ঈদুল ফিতর খুব সুন্দর ভাবে পালন করতে হবে।

About শাহরিয়ার হোসেন 4780 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*