আপনারা যারা বিদ্যুৎ বিলের হিসাব করার নিয়ম সম্পর্কে অবগত হতে চান তারা আজকে আমাদের ওয়েবসাইটে দেখানোর নিয়ম অনুসরণ করে এগুলো জেনে নিন। সাধারণত বিদ্যুৎ বিল কিভাবে হিসাব করা হয় এবং কম ইউনিট খরচ করলে কেন বিদ্যুৎ বিল কম আসে সে বিষয়ে জেনে নিন। যেহেতু প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হচ্ছে সেহেতু এই সংক্রান্ত তথ্যগুলো আমরা জেনে নিতে পারলে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক উপকার হবে।
তাছাড়া অনেক সময় বিদ্যুৎ বিল সংক্রান্ত যে ধরনের ঝামেলা হয়ে থাকে সেগুলো এড়াতে আমরা কিভাবে অভিযোগ দিয়ে এগুলো সমস্যার সমাধান করতে পারে সে বিষয়ে আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদেরকে জানিয়ে দেব। বিদ্যুৎ বিল তৈরি করার প্রক্রিয়া অথবা বিদ্যুৎ বিল তৈরি করার নিয়ম হিসেবে আপনারা এই পোস্ট শেষ পর্যন্ত পড়তে পারেন। এখান থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারলে দৈনন্দিন জীবনে অনেক বিষয় সম্পর্কে বুঝতে পারবেন এবং বিদ্যুৎবিদের বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা অর্জন করতে পারবেন।
অন্ধকার দূরীভূত করার জন্য অথবা বিভিন্ন ধরনের বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রিত মেশিন চালানোর জন্য আমরা বিদ্যুৎ ব্যবহার করে থাকি। বিজ্ঞানের অন্যান্য চমৎকার সকল আবিষ্কার এর ভেতরে সকল বিষয়গুলো বাদ দিয়ে চলতে পারলেও বিদ্যুৎ ছাড়া আমরা কোনদিন জীবনে চলতে পারি না। বিদ্যুৎ আছে বলেই আমরা খুব সহজে যে কোন বিষয়কে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি এবং আলো পাওয়ার পাশাপাশি ফ্যানের মাধ্যমে আমরা আমাদের দেহকে শীতল করতে পারি। আবার বিদ্যুৎ আছে বলেই খুব সুন্দরভাবে আলোক শব্দের মাধ্যমে খুব সুন্দর পরিবেশ আমরা সৃষ্টি করতে পারি। এই বিদ্যুৎ সম্পর্কিত যে প্রত্যেক মাসে বিল চলে আসে সেটা কিভাবে নির্ধারণ করা হয় এটা যদি আপনারা জানতে পারেন তাহলে আপনাদেরই অনেক উপকার হবে।
পল্লী বিদ্যুৎ বিলের হিসাব
বাংলাদেশের গ্রাম অঞ্চল থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ে পল্লী বিদ্যুৎ বিভিন্ন আকারে বিদ্যুৎ প্রদান করে আসছে। বাড়ি হিসেবে এবং বাণিজ্যিক হিসেবে এই বিদ্যুৎ প্রদান করা হয়ে থাকে। তবে আমরা সকলেই জানি যে বিদ্যুৎ বিল তৈরি করার ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক মিটারে এক ধরনের বিল আসে এবং আবাসিক মিটারে এক রকমের বিল আসে। এই সংক্রান্ত তথ্যসমৃদ্ধ একটি পোস্ট আমাদের অন্য জায়গায় দিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং সেখান থেকে আপনারা বিদ্যুৎ বিল কিভাবে নির্ধারণ করা হয় অথবা বিদ্যুৎবিলের প্রতি ইউনিটের দাম কত সে বিষয়ে তথ্য জানতে পারবেন। তাছাড়া বিদ্যুৎ বিল সম্পর্কিত কোন তথ্য যদি জানতে চান তাহলে আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করতে পারেন
সাধারণত মিটার এবং সংযোগের ট্যারিফ অনুসরণ করে আপনারা যখন বিদ্যুৎ বিল এর জন্য মিটার আবেদন করেন তখন আপনাদের যাবতীয় প্রসেস অনুসরণ করে মিটার প্রদান করা হয় এবং খুঁটি থেকে সংযোগ প্রদান করা হয়। মাসের একটা নির্দিষ্ট সময়ে আপনাদের বিদ্যুৎ বিল একজন লিখে নিয়ে যায় এবং সেই বিদ্যুৎ বিলের ইউনিট থেকে তাই হিসাব করা হয়। এখন বিদ্যুৎ বিলের এই হিসাবগুলো জানতে চান তখন বলব যে যখন আপনাদের কে মিটার প্রদান করা হয় সেই মিটারে শূন্য ইউনিট থেকে কাউন্ট করা শুরু হয়। আপনাদের ব্যবহারের উপর নির্ভর করে প্রতি মাসে বিদ্যুৎ বিলের কাগজে আপনার বেল নাম্বারে বিল লিখে দেওয়া হয়।
পরবর্তী মাসে যখন আবার বিল লিখতে আসে তখন আপনার বিলের নাম্বার অনুসরণ করে আগের ইউনিট থেকে বর্তমানের ইউনিট বাদ দিয়ে চলমান মাসে কত ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার করেছেন তা লিখে নিয়ে যাওয়া হয়। অর্থাৎ পূর্বের ব্যবহৃত ইউনিট থেকে বর্তমানের ব্যবহৃত ইউনিটের পার্থক্য থেকে ইউনিট নির্ধারণ করা হয়। আর নির্ধারিত নিয়মের মধ্যে আপনারা যখন বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন তখন সেটার ফেজ অনুসরণ করে দাম নির্ধারণ করা হয়। ইউনিট ভিত্তিক এই দাম নির্ধারণ করার পরে ডিমান্ড চার্জ হিসেবে ত্রিশ টাকা, মিটার ভাড়া ১০ টাকা এবং ভ্যাট আপনার বিদ্যুৎ বিল এর ওপরে শতকরা পাঁচ ভাগ নির্ধারণ করা হয়। আর এভাবেই বিদ্যুৎ বিল নির্ধারণ করে আপনাদেরকে প্রদান করা হয় এবং নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে আপনাদেরকে তা পরিশোধ করতে হয়।
Leave a Reply