সাধারণত গর্ভাবস্থায় বাচ্চাদের পজিশন বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গাতে থাকতে পারে তাই এক্সাক্টলি শুধুমাত্র পজিশনের ওপর নির্ভর করে কেউ শিওর ভাবে বলতে পারবেনা এটা ছেলে বাচ্চা না মেয়ে বাচ্চা। তবে অবশ্যই কিছু সিমটমস আছে যার মাধ্যমে আগের দিনে ধারণা করা হতো পেটে থাকা সন্তানটি ছেলে না মেয়ে যেগুলো অনেকাংশেই মিলে যায়।
আজকে আমরা বর্তমান বিজ্ঞানের সঙ্গে আগের দিনে যে ধারণা আছে সেগুলোর একটি সংমিশ্রণ আর্টিকেল তৈরি করতে চেষ্টা করব এবং আপনাদের ভুল ভাঙানোর চেষ্টা করব। চলুন শুরু করা যাক আমাদের আজকের এই পোস্ট যার মাধ্যমে আপনারা সকলে অবগত হতে পারবেন আপনার পেটে থাকা সন্তান ছেলে অথবা মেয়ে সেটা বোঝার বেশ কয়েকটি উপায় সম্পর্কে। এর জন্য অবশ্যই আপনাদের ধৈর্য সহকারে আমাদের সঙ্গে থাকতে হবে।
মেয়ে সন্তান হওয়ার লক্ষণ সমূহ
সাধারণত গর্ভবতী মায়েরা সবসময় একটি বিষয় বেশি চিন্তা করেন তার গর্ভে যে সন্তানটি আছে সেটা ছেলে না মেয়ে। সাধারণত এটা চিন্তা করা ঠিক নয় তার কারণ হলো সৃষ্টিকর্তা আপনার জন্য যেটা দিয়েছেন সেটাই আপনার কাছে সর্বোত্তম এবং আপনি সেটা পরিবর্তন করতে পারবেন না। তাই সবার প্রথমে আল্লাহ তায়ালার শুকরিয়া আদায় করতে হবে এবং আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে দেওয়া এই নিয়ামতকে গ্রহণ করতে হবে আনন্দের সঙ্গে।
তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে পৃথিবীতে এমন কিছু নিয়ম তৈরি হয়েছে যেখানে ছেলে বাচ্চা এবং মেয়ে বাচ্চা হওয়ার মধ্যে বেশ কয়েকটি পার্থক্য পরিলক্ষিত করা যায় এবং বাচ্চা পেটে থাকা অবস্থাতেই এই সমস্যাগুলো তৈরি হয়।। অনেক সমাজে দেখা যায় যে ছেলে বাচ্চার গুরুত্ব বেশি দেওয়া হয় সেই সমাজে যাদের মেয়ে বাচ্চা হয় তারা একটু বেশি চিন্তা করেন আবার কোন সমাজেই মেয়ে বাচ্চা গুরুত্ব দেওয়া হলে সেই সমাজে ছেলে বাচ্চা নিয়ে অনেকে বেশি চিন্তা করেন।
তবে সকল ধারণার ঊর্ধ্বে আপনি যদি কৌতুহলবশত আপনার গর্ভে থাকা সন্তান ছেলে না মেয়ে সেটা জানতে চান তার জন্য অবশ্যই আপনাকে কিছু জিনিস ফলো করতে হবে বা কিছু লক্ষণ খেয়াল করতে হবে। যে লক্ষণ গুলোর মাধ্যমে আপনি সহজে বুঝতে পারবেন আপনার গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে। চলুন জানা যাক কন্যা সন্তান পেটের কোন পাশে থাকে এবং এগুলো জানার লক্ষণ।
গর্ভাবস্থায় এমনিতেই সকালের মর্নিং সিকনেস অনুভূত হয় এবং বেশ অলস লাগে যদি গর্ভের সন্তান পুত্র হয় তাহলে কম অলসতা লাগে আর কন্যা সন্তান বেশি হলে অলস মনে হয়। অনেক ক্ষেত্রে অনেকে ধারণা করে যে গর্ভবতী মায়ের চুল থেকে এটা ধারণা করা যায় যে গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে। সাধারণত গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়েদের চুল যখন পাতলা ও উজ্জ্বল হীন হয়ে পড়ে তাহলে এটা বোঝা যাবে যে এটি কন্যা সন্তানের লক্ষণ এবং গর্ভে যদি পুত্র সন্তান থাকে তাহলে বোঝা যাবে যে চুল আরও সুন্দর হয়ে উঠবে সেই লক্ষণ দেখে।
আবার কন্যা সন্তানের ক্ষেত্রে একটি লক্ষণ লক্ষ্য করা যায় যে গর্ভবতী মায়ের অনিচ্ছাকৃত কারণে ঘুমের ঘোরে ডান দিকে বেশি ফিরে শুয়ে পড়লে দেখা যায় যে সেই গর্ভে থাকা সন্তানটি কন্যা সন্তান হবে। আবার অনেকেই মনে করেন যে গর্ভবতী মায়ের ইউরিন টেস্টের মাধ্যমে সেটা কনফার্ম জানা যায় এবং এই ক্ষেত্রে প্রস্রাবের রং যদি পাল্টে সাদা ঘোলাটে হয় তাহলে আপনি কন্যা সন্তানের জন্ম দিতে চলছেন এটা ধারণা করা হয়।
সাধারণত এই ধারণাগুলো সম্পূর্ণই অভিজ্ঞতা ভিত্তিক তবে এর বাইরে বৈজ্ঞানিক কিছু ধারণা রয়েছে বা বৈজ্ঞানিক কিছু টেস্ট রয়েছে তবে এই টেস্টগুলো করার প্রয়োজনীয়তার প্রয়োজন নেই বললেই চলে। গর্ভাবস্থার শুধুমাত্র সেই পরীক্ষাগুলো করা উচিত যেই পরীক্ষাগুলোর মাধ্যমে গর্বে থাকা সন্তান এবং গর্ভবতী মায়ের সুস্থতা পরিমাপ করা যায় এর বাইরে অন্য কোন পরীক্ষা আপনাকে করা উচিত নয়।
Leave a Reply