গর্ভবতী মায়ের আমল কি কি জেনে নিন

গর্ভবতী মায়ের আমল

যে সকল মা গর্ভবতী রয়েছেন তারা অবশ্যই বিভিন্ন ধরনের আমল করার মধ্য দিয়ে আপনার সন্তান যাতে খুব সুন্দর ভাবে ভূমিষ্ঠ হতে পারে সেই জন্য ইবাদত বন্দেগি করতে পারেন। সাধারণত একজন মা যখন গর্ভধারণ করে থাকেন তখন তার যাবতীয় কেন্দ্রবিন্দু হয়ে থাকে গর্ভের সন্তানের উপরে। তাই গর্ভের সন্তান খুব সুন্দর ভাবে ভূমিষ্ঠ হওয়ার জন্য তিনি যেমন নিজের শরীরকে খুব সুন্দর ভাবে যত্ন নিতে পারেন তেমনিভাবে একটা সন্তানের উদ্দেশ্যে মহান আল্লাহ পাকের কাছে তিনি নেককার বান্দা যাওয়ার জন্য দোয়া করতে পারেন।

একজন মা যদি গর্ভ অবস্থায় বিভিন্ন ধরনের ইবাদত করেন এবং আল্লাহ পাকের দেখানো বিধি-নিষেধ অনুসরণ করে থাকেন তাহলে দেখা যাবে যে সেই সন্তান অবশ্যই একজন আদর্শ সন্তান এবং নেককার সন্তান হবেন। তাই গর্ভ অবস্থায় কোন ধরনের আমল করলে অথবা কোন ধরনের দোয়া করলে আপনার সন্তান খুব সুন্দরভাবে ভূমিষ্ট হবে এবং দুনিয়ার জীবনে আপনার সন্তান একজন ভালো সন্তান হবে তা আজকের এই পোস্ট থেকে জেনে নিন।

একজন নারী যখন মা হয়ে থাকেন তখন সেটা তার জীবনের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ হয়ে থাকে। শরীরের ভেতরে শরীর ধারণ করে একটা সময় যে সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়ে থাকে তখন তার আনন্দের সীমা থাকে না। সন্তানকে বড় হয়ে এটা বানাবে সেটা বানাবে এই ধরনের চিন্তা ভাবনা যখন কাজ করে তখন আপনাদের অবশ্যই চিন্তা করা উচিত দুনিয়ার ক্ষণস্থায়ী জীবনের সন্তানের বাহ্যিক ক্যারিয়ার গড়ে তোলার চাইতে তার মানসিক এবং ইসলামিক ক্যারিয়ার গড়ে তোলাটা জরুরী। এক্ষেত্রে আপনারা একজন আদর্শ অভিভাবক হিসেবে অথবা মুমিন বান্দা হিসেবে অবশ্যই মহান আল্লাহ পাকের কাছে গর্ভ অবস্থায় দোয়া করলে সেই দোয়া কবুল হবে।

তাই একজন মা যখন গর্ভ অবস্থায় থাকবেন তখন অবশ্যই ইসলামের বিভিন্ন হাদিস পড়বেন অথবা কোরআন তেলাওয়াত করবেন অথবা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বেন। অর্থাৎ আল্লাহপাক দৈনন্দিন জীবনে যে সকল কাজগুলো খরচ করে দিয়েছেন সেগুলো নিজের শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী অবশ্যই পালন করতে হবে।

তাছাড়া আপনারা যারা এই সময়ের আমল হিসেবে কোন দোয়া পেতে চান তাদেরকে বলবো যে আপনারা অবশ্যই সেই দোয়া আমাদের ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করে নিবেন। বিশেষ করে আপনারা এক্ষেত্রে যারা দোয়া পড়তে চাচ্ছেন তারা সূরা আল ইমরানের 35 নম্বর আয়াত পাঠ করবেন। যখন মরিয়ম আলাইহিস সাল্লাম এর মা যখন তাকে গর্ভধারণ করেন তখন সূরা আলে ইমরানের 35 নম্বর আয়াত পাঠ করেছিলেন।

তাই দুনিয়ার জীবনে সন্তানকে অবশ্যই আদর্শবান সন্তান বানাতে হবে এবং সেই সন্তান যেন আপনার পণ্যের কারণ হয়ে থাকে সে বিষয়গুলো আপনাকে মাথায় রেখে প্রত্যেকটি কাজ আল্লাহ পাকের দেখানো বিধি নিষেধ অনুসরণ করে করতে হবে। আপনারা যখন আপনাদের সন্তান পরহেজগার এবং নেককার হওয়ার জন্য আমল করতে চাইবেন তখন অবশ্যই নিচের দেখানো দোয়াটি পাঠ করবেন এবং এটার অর্থসহ প্রদান করা হলো বলে আপনারা তা সহজে বুঝতে পারবেন এবং আমল করার প্রতি এক অন্য ধরনের কাজ করবে।

রাব্বি হাবলি মিনলাদুনকা জুররিয়াতান তাইয়িবাতান ইন্নাকা সামিউদ্দুয়া’, অর্থাৎ, ‘হে আমার পালনকর্তা! আপনার পক্ষ থেকে আমাকে পুত-পবিত্র সন্তান দান করুন। নিশ্চয়ই আপনি প্রার্থনা শ্রবণকারী।

আপনারা যখন নেক নিয়তে পুত্র সন্তানের জন্য দোয়া করবেন তখন অবশ্যই নিচের দেখানো নিয়ম অনুসরণ করে দোয়া করবেন এবং এই দোয়ার অর্থ আপনাদেরকে প্রদান করা হলো।

নেক নিয়তে পুত্র সন্তানের জন্য পড়া যেতে পারে, ‘রাব্বি হাবলি মিনাস সালিহিন’, অর্থাৎ, ‘হে আমার প্রতিপালক! আপনি আমাকে সৎকর্মশীল পুত্র সন্তান দান করুন।’ (সুরা সাফফাত, আয়াত : ১০০)

যখন গর্ভধারণ করা হবে তখন সেই গর্ভও ধারণের সুসংবাদ মানুষকে অল্প ভাবে জানাতে হবে এবং এক্ষেত্রে ঢোল পিটিয়ে জানানোর কোন প্রয়োজন নেই। তবে সন্তান যখন ভুমিষ্ট হবে তখন আপনারা চাইলে তা সকলকে জানাতে পারেন। এক্ষেত্রে আমাদের রাসূল সাঃ বলেছেন কিছু খুশির সংবাদ গোপন রাখতে হয় কেননা প্রত্যেক খুশির সংবাদ শ্রবণকারী নিজেদের বন্ধু হয় না এবং এক্ষেত্রে অনেক সময় ক্ষতি করার চেষ্টা করে। তাই উপরের উল্লেখিত দোয়া গুলো পাঠ করার মাধ্যমে আপনারা খুব সুন্দর ভাবে ভূমিষ্ঠ হওয়া পর্যন্ত সন্তানের জন্য দোয়া করতে পারেন এবং অন্যান্য এবাদত করতে পারেন।

About শাহরিয়ার হোসেন 4780 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*