একজন মা গর্ভবতী হলে যে শুধু শুয়ে বসে সময় কাটাতে বিষয়টা এমন ভাবে না নিয়ে সেই মা যদি আল্লাহ পাকের কাছে সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়া থেকে শুরু করে এই পৃথিবীর বুকে আসার পরে যেন ভালো পথে চলতে পারে তার জন্য দোয়া করতে পারে অথবা আমল করতে পারে। একজন মায়ের মানসিকতা যেমন হবে ঠিক সেভাবেই সে সন্তান বৃদ্ধি পেতে থাকবে এবং সন্তানের সেই বিষয়গুলো আপনাকে ঠিকঠাক ভাবে নির্ধারিত করার জন্য আগে থেকেই আপনাকে অবশ্যই দিনের পথে আসতে হবে।
তাই আপনি যখন মা হিসেবে সন্তানের ভালোর জন্য বিভিন্ন মাসে আমল করতে চাইবেন তখন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার পাশাপাশি অন্যান্য যে সকল ফরজ ইবাদত রয়েছে সেগুলো করতে হবে। তাছাড়া কুরআন তেলাওয়াতের সময় যে সকল সূরা বা দোয়া পাঠ করতে হবে সেগুলো আমাদের ওয়েবসাইটে জানিয়ে দেওয়া হল যাতে করে আপনারা খুব সহজে এগুলো জেনে নিয়ে সন্তানের উপকারিতার কথা ভেবে আমল করতে পারেন।
একজন মা যেহেতু শরীরের ভেতরে আরেকটি শরীর ধারণ করেছে সেহেতু সেই শরীরকে এই পৃথিবীর বুকে মুখ দেখানোর জন্য যাবতীয় কাজকর্ম করতে হবে। যেহেতু আমরা ইসলাম ধর্মের অনুসারী সেহেতু আমাদেরকে এমন কিছু কাজ করতে হবে যেই কাজগুলোর মাধ্যমে আমাদের সন্তান জন্মগ্রহণ করার পর তাদের উপর সেই কাজের প্রভাব পড়ে। তাই একজন গর্ভবতী মা হিসেবে আপনারা বিভিন্ন মাসের আমল সম্পর্কে যখন আমাদের ওয়েবসাইট জানতে এসেছেন তখন বলব যে আপনাদেরকে অবশ্যই নিয়ম অনুসরণ করে প্রথম দ্বিতীয় এবং তৃতীয় মাসে সূরা লোকমান এবং সূরা ইনশিক্বাক পড়া উচিত। যেহেতু একজন গর্ভবতী মা এই আমলগুলো করতে চাচ্ছে সেহেতু অন্যান্য ইবাদতের পাশাপাশি অবশ্যই লোকমান সূরা এবং ইনশিক্বাক সূরা নিয়মিতভাবে পাঠ করে।
তাছাড়া গর্ভবতী অবস্থায় একজন মা পরবর্তী মাস গুলোতে অর্থাৎ পঞ্চম এবং ষষ্ঠ মাসে অন্য সূরা পড়বেন। এক্ষেত্রে একজন মাকে অবশ্যই সূরা ইউসুফ এবং সূরা আল ইমরান পাঠ করতে হবে। এই আমলগুলো ছাড়াও সপ্তম অষ্টম এবং নবম মাসে একজন মা চাইলেই সূরা মারইয়াম ও সূরা মুহাম্মদ পাঠ করতে পারবে। তাই নিয়ম অনুসরণ করে উপরের উল্লেখিত মাসগুলোতে আপনারা অবশ্যই সেই মাস অনুযায়ী উল্লেখিত সূরাগুলো পাঠ করবেন এবং অন্যান্য যে সকল সূরা পড়লে একটা সন্তানের জীবনে ব্যাপক প্রভাব পড়ে সেগুলো আপনাদেরকে এখন জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।
আপনি যদি আপনার সন্তানকে জ্ঞানী এবং তীক্ষ্ণ বুদ্ধি সম্পন্ন করতে চান অথবা একজন হেকমতওয়ালা সন্তান হিসেবে তাকে গড়ে তুলতে চান তাহলে অবশ্যই সূরা লোকমান পাঠ করাটা অত্যন্ত জরুরী। এছাড়াও সূরা ইনশিকাক পড়লে গর্ভের সন্তান সকল প্রকার ক্ষতি থেকে নিজেদেরকে নিরাপদ রাখতে পারবে এবং আল্লাহপাক এই ক্ষেত্রে অবশ্যই সাহায্য করবেন। আপনি যদি আপনার সন্তানকে রুহানি ও জিসমানি উভয় দিক থেকে সুন্দর হিসেবে গড়ে তুলতে চান তাহলে অবশ্যই সূরা ইউসুফ পাঠ করতে হবে। আর যদি সূরা আল ইমরান পাঠ করেন তাহলে দেখা যাবে যে গর্ভের সন্তান দ্বীনের পথে আহবানকারী হবে এবং দ্বীনের বিষয়ে তার অনেক জ্ঞান থাকবে। তাছাড়া সূরা মারিয়াম পাঠ করার মধ্য দিয়ে একজন সন্তান পরহেজগার এবং আল্লাহ ভীরু হয়ে উঠবে এবং মুহাম্মদ সুরা পাঠ করার মধ্য দিয়ে একজন সন্তান অবশ্যই সুন্দর চরিত্রের অধিকারী হবে।
উপরের উল্লেখিত এ সকল এবাদত করা ছাড়াও একজন মা অবশ্যই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বে এবং শরীরের অবস্থা যেমনই হয়ে থাকুক না কেন যে অবস্থায় থাকছেন সেই অবস্থাতে নামাজ পড়তে হবে। এতে করে আল্লাহ পাক সেই মায়ের নামাজের মধ্য দিয়ে এবং দোয়ার মধ্য দিয়ে সন্তান এই পৃথিবীর বুকে সুন্দরভাবে যেমন ভুমিষ্ট করাবেন তেমনিভাবে সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর সকল দিক থেকে আল্লাহ পাকের খেদমতে এবং হেফাজতে সেই সন্তান বড় হতে থাকবে। তাই একজন মা হিসেবে নিয়মিত মা নামাজ আদায় যেমন ভাবে করতে হবে তেমনি ভাবে ধর্মীয় বই পাঠ করার পাশাপাশি কোরআন তেলাওয়াত করতে হবে।
Leave a Reply