সরকারি হাই স্কুলের যে সকল শিক্ষকগণ চাকরি করে থাকেন তাদের মধ্যে যিনি সহকারী শিক্ষক রয়েছেন তার বেতন কত টাকা তা আজকের এই পোস্ট থেকে জেনে নিবেন। আমরা যেহেতু বিভিন্ন ধরনের সরকারি এবং বেসরকারি চাকরিজীবীদের বেতন কাঠামো নিয়ে আপনাদেরকে তথ্য প্রদান করছি সেহেতু এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা শুধু তথ্যগুলো জেনে নেবেন এবং যাদের এ বিষয়ে জানার আগ্রহ রয়েছে তারা শেষ পর্যন্ত পড়লে সকল তথ্য বুঝতে পারবেন।
তাছাড়া সরকারি হাই স্কুলে চাকরি করতে হলে কি ধরনের যোগ্যতা লাগে তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে আপনাদেরকে আলোচনা করে জানিয়ে দেব। তাই সরকারি হাই স্কুলে চাকরি করার জন্য অবশ্যই আপনাদেরকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুসরণ করে আবেদন করতে হবে এবং আবেদন সম্পন্ন হলেই পরীক্ষা দিয়ে এবং অন্যান্য ধাপ উত্তীর্ণ হওয়ার মধ্য দিয়ে নিয়োগ পেতে হবে। তাছাড়া সরকারি হাই স্কুলের চাকরি পেলে আপনাদের বেতন কাঠামো অথবা বেতন কত প্রদান করা হবে তা জেনে নিবেন।
যেকোনো ক্ষেত্রে একজন শিক্ষকের সম্মান সবকিছুর ঊর্ধ্বে এবং একজন শিক্ষক যেহেতু শিক্ষা প্রদান করে থাকেন তাহলে একজন শিক্ষার্থীর থেকে তিনি সম্মান প্রাপ্য ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত হবেন। একজন শিক্ষক যে শুধু পাঠ্যবই সম্পর্কে জ্ঞান প্রদান করেন বিষয়টা এরকম নয়। যিনি আদর্শ শিক্ষক তিনি সবসময় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করে থাকেন এবং শিক্ষার্থীদের অন্যান্য আচরণবিধি সম্পর্কে শিক্ষা প্রদান করে থাকেন। আমাদের দেশে প্রত্যেক বছর অনেক শিক্ষার্থী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হচ্ছে বলে নতুন নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের নিয়ম অনুসরণ করে সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আলাদা হবে যেমন শিক্ষক নিয়োগ প্রদান করা হয়ে থাকে তেমনিভাবে প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ এবং বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়ে থাকে।
তাই আপনি যখন শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা সম্পর্কে জানতে চাইবেন তখন বলব যে আপনাদেরকে অবশ্যই ডিগ্রী পাস ও সার্টিফিকেট কোর্স করার পাশাপাশি যদি সম্মান degree করার বা স্নাতক ডিগ্রি করা থাকে তাহলে আপনারা এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুসরণ করে আবেদন করতে পারবেন। বছরের বিভিন্ন সময়ে অথবা শূন্য পদ থাকা সাপেক্ষে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় সেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুসরণ করে আপনাদেরকে আবেদন করতে হবে। আবেদন করার পর আপনাদের তিন ভাবে পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনেক সময় দুই ধাপে পরীক্ষা গ্রহণ করে সরাসরি নিয়োগ প্রদান করা হয়ে থাকে।
আবার অনেকেই আছেন যারা বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের অধীনে যে বিসিএস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় সেই বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে ক্যাডার না পেলেও নন ক্যাডার পেয়ে থাকেন। দেখা যাচ্ছে যে অনেকেই নন ক্যাডার পেয়ে এই সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সহকারী শিক্ষক পদের জন্য নিয়োগ পেয়ে থাকেন। তাই আপনি যখন সহকারী শিক্ষক পদের বেতন কাঠামো সম্পর্কে জানতে চাইবেন এবং নন ক্যাডারের মাধ্যমে যদি কেউ নিয়োগ পেয়ে থাকে তাহলে তাদেরকে সাধারণত দশম গ্রেডে বেতন প্রদান করা হবে। সরকারি চাকরির নিয়ম অনুসরণ করে প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে যখন বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হয়ে থাকে তখন সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষককে যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হয়ে থাকে।
তাই সহকারী শিক্ষক পদে যে সকল ব্যক্তিবর্গ নিয়োগ পেয়ে থাকেন তারা দশম গ্রেডের বেতন কাঠামো অনুসরণ করে প্রত্যেক মাসে বেতন পাবেন। তাছাড়া সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হওয়ার কারণে বাড়ি ভাড়া থেকে শুরু করে চিকিৎসা পাতা এবং ছেলে থাকলে তাদের শিক্ষা খরচ সহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হবে। অর্থাৎ অধিদপ্তরের চাকরি অনুসরণ করে যত টাকা বেতন প্রদান করা হয় এবং যে সকল সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হয় সেই সকল সুযোগ-সুবিধা একজন সহকারী শিক্ষক পেয়ে যাবেন। তাই দশম গ্রেডের বেতন স্কেল সম্পর্কে এবং সেটার বেতন ভাতা দিয়ে কত টাকা প্রদান করা হয়ে থাকে তা দেখলে আপনারা বুঝতে পারবেন এবং মনে করে যে এই পোস্ট আপনাদেরকে সঠিক তথ্য প্রদান করতে পেরেছে।
Leave a Reply