বাচ্চাদের জন্মদিনের শুভেচ্ছা বার্তা

বাচ্চাদের জন্মদিনের শুভেচ্ছা বার্তা

আপনি বড়দের যেভাবে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাবেন বাচ্চাদের ক্ষেত্রেও ঠিক একই ভাবে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে পারেন না। বাচ্চারা হয়তো সব রকম ভাষা সহজে ধরতে পারবে না তাই তাদেরকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে হবে একদম সহজ ভাষায় যেন খুব সহজেই তারা বুঝতে পারে। আপনি যাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাবেন তার বয়স কত এবং সে কতটা বুঝতে পারে সে বিষয়গুলো মাথায় রেখেই জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে হবে।

অনেক বাচ্চা হয়তো জন্মদিন সম্বন্ধে কোন ধারনাই রাখে না তাই তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে গেলে আপনাকে সেভাবেই জানাতে হবে। আবার যারা জন্মদিন সম্বন্ধে ধারণা রাখে তাদের কি হয়তো শুভেচ্ছা জানানো খুব সহজ হবে। চলুন একটু আলোচনা করা যাক বাচ্চাদের জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর উপায় গুলো কি কি হতে পারে তা নিয়ে।

প্রথমত বাচ্চাদের জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে গেলে আপনাকে উপহার দিতেই হবে। বড়দের জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর সময় আমরা যদি উপহার না দেই তবে বিষয়টি হয়তো খুব বেশি প্রভাব ফেলে না কিন্তু বাচ্চাদের যদি আমরা এই বিশেষ দিনটিতে কোন গিফট না দেই তবে তারা মন খারাপ করতেই পারে। আমরা নিশ্চয়ই চাইব না বিশেষ এই দিনটিতে শিশুরা মন খারাপ করুক। সাধারণত ছোট বয়সে বাচ্চারা অনেক আনন্দের সাথে এই দিনটি উদযাপন করে থাকে। সব পিতামাতা চেষ্টা করে তার সন্তানের জন্মদিনটি সবাইকে নিয়ে উদযাপন করতে।

যদিও যাদের সামর্থ্য কম তারা খুব ছোট পরিসরে এই দিনটি উদযাপন করে। আপনার আত্মীয় স্বজন অথবা প্রতিবেশীদের মধ্যে যদি কোন ছোট বাচ্চার জন্মদিন আসে তবে তাকে শুভেচ্ছা জানানো আপনার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে কারণ এই ছোট বয়সে আপনি যদি তার সাথে ভালো আচরণ করেন সে সারা জীবন আপনাকে মনে রাখবে। তার সাথে আপনার সম্পর্কের গভীরতা অনেকটা বেড়ে যাবে যদি এই বিশেষ দিনে তাকে শুভেচ্ছা জানাতে পারেন। আমাদের উচিত ছোট বাচ্চাদের সাথে সবসময়ই হাসিমুখে কথা বলা। ছোট বাচ্চাদের আমরা যেভাবে শেখাবো তারা সেভাবে শিখবে তাই কখনোই করা ভাষায় তাদের সাথে কথা বলা উচিত নয় কিংবা খারাপ কোন শব্দ উচ্চারণ করা উচিত নয়।

এখন প্রশ্ন আসতে পারে ছোট বাচ্চাদের জন্মদিনে আমরা কোন ধরনের উপহার গুলো দিতে পারব। এই বিশেষ দিনে তাকে এমন কোন উপহার দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে যা তার কাছে সারা জীবন থেকে যাবে। হ্যাঁ এছাড়াও আমরা এমন কিছু উপহার দিতে পারি যেগুলো তার বাস্তব জীবনে অনেক বড় প্রভাবকের কাজ করতে পারে।

যেমন আমরা যদি তাকে একটি কবিতার বই উপহার দিই তবে সে নতুন নতুন অনেক কবিতা শিখতে পারবে। কবিতার বই থেকে অনেক নতুন নতুন শব্দ শেখা সম্ভব। এছাড়াও আমরা যদি তাকে একটি পেন্সিল বক্স উপহার দেই তবে সেটি দিয়ে সে লেখালেখি করতে পারবে। এছাড়াও ছোট বাচ্চাদের দেয়ার মত অনেক উপহার রয়েছে যেগুলো আমরা নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারি।

এ তো গেল সামনাসামনি কিভাবে শুভেচ্ছা জানাবেন সেই কথা, সামনাসামনি না থেকে যদি কোন বাচ্চাকে দূরে থেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর প্রয়োজন পড়ে তখন কি করবেন? অর্থাৎ আপনি অনেক দূরে আছেন সেই বাচ্চাটি অনেক দূরে আছে কিন্তু তাকে আপনি জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে চান এই পরিস্থিতিতে কি করা যায়।

এক্ষেত্রে আমরা একটা কাজ করতে পারি তা হলো সেই বাচ্চাটির কাছে একটি শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়ে দিতে পারি। এক্ষেত্রে আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাহায্য নিতে পারি কিংবা এমন কোন প্লাটফর্মে সাহায্য নিতে পারি যার মাধ্যমে টেক্সট অথবা ভয়েস কিংবা ভিডিও বার্তা পাঠানো সম্ভব। যদি সম্ভব হয় আমরা ছোট বাচ্চাদের কাছে ভিডিও বার্তা পাঠানোর চেষ্টা করব কারণ এতে খুবই স্পষ্ট ভাবে তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো সম্ভব হবে।

About শাহরিয়ার হোসেন 4780 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*