
আজকে আপনাদের সুবিধার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে ভ্যালেন্টাইন ডে এর ইতিহাস জানিয়ে দেওয়া হবে। আসলে আমরা এই দিনটি কেন পালন করে থাকি সে বিষয়ে যদি আপনারা জানতে পারেন তাহলে আপনাদের কাছে এই দিনটি পালন করা সার্থকতা হয়তো চলে আসবে। কমবেশি প্রত্যেকটি ঘটনার পেছনে কোন না কোন ঘটনা থাকে অথবা প্রত্যেকটি দিবসের পেছনে কোন নির্দিষ্ট ঘটনা থেকে থাকে বলে আমরা এগুলো জানতে পারি এবং সে অনুযায়ী বিভিন্ন দিবস পালন করতে পারি। আপনারা যখন ভ্যালেন্টাইন ডে যে আমাকে ভালোবাসা দিবস পালন করে থাকেন তখন এই দিনটি পালন করার পেছনে কোন ইতিহাস লুকায়িত আছে তা যদি জানতে চান তাহলে আমরা আপনাদেরকে সেই তথ্য জানিয়ে দিতে পারি।
দৈনন্দিন জীবনে অনেক তথ্য বর্তমান সময়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যায় বলে আমরা বিভিন্ন তথ্য সঠিকভাবে এবং যুক্তি নিরূপভাবে জেনে নিতে পারি। সাধারণত আমাদের দেশে ভ্যালেন্টাইন দিবস মানে ভালোবাসা দিবস হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে এবং এই দিবসে একে অন্যকে ফুল থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের গিফট প্রদান করার পাশাপাশি মনের কথাগুলো খুলে বলতে পারে। কারণ একটা মেয়ে যেমন তার মনের কথা শোনার জন্য অপেক্ষা করে থাকে অথবা একটা ছেলে তাকে প্রপোজ করবে এমন ধরনের আশা নিয়ে বসে থাকে এভাবে একটা ছেলে যদি কাউকে পছন্দ করে থাকে তাহলে এই বিশেষ দিনে যদি প্রপোজ করে এবং একে অন্যের যদি পছন্দের হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই দুইজনে রাজি হয়ে যাবে।
তবে যাই হোক আপনারা যখন ভ্যালেন্টাইন ডে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা করে রেখেছেন তখন পালন করার ক্ষেত্রে কোন ইতিহাসের উপর নির্ভর করে পালন করা হয় তা জানিয়ে দেয়া হবে। আপনারা শুধু আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করেছেন বলে এই পোষ্টের মাধ্যমে সকল তথ্য জানতে পারবেন এবং আমরা আপনাদেরকে সকল তথ্য জানিয়ে দিতে পারলে ভ্যালেন্টাইন ডে কেন পালিত হয় তা সম্পর্কে সঠিক তথ্য জেনে নিতে পারবেন। উইকিপিডিয়া থেকে প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে আপনাদেরকে সহজ ভাবে জানিয়ে দেবো যাতে করে এই সহজ তথ্যের উপর ভিত্তি করে আপনারা এ সকল বিষয়ে জানতে পারেন এবং এই দিনটি আসলেই কেন পালিত হয় অথবা এর পেছনে পালন হওয়ার কোন কারণটি আছে তা জানিয়ে দেওয়া হবে।
অনেকদিন আগে রোমের নগরীতে সেন্ট ভ্যালেন্টাইন নামক একজন চিকিৎসক এবং পাদ্রী ছিলেন এবং তিনি খ্রিস্টান ধর্ম প্রচার করে আসছিলেন। ধর্ম প্রচারের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। তিনি যখন কারাগারে বন্দি ছিলেন তখন জানতে পারেন যে সেই কারারক্ষীর একটি মেয়ে আছে যিনি অন্ধ এবং তিনি চিকিৎসক হওয়ার কারণে খুব সহজেই সেই অন্ধ মেয়েটির চিকিৎসা করে দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের এই বদান্যতা দেখে সকলেই তার প্রতি মুগ্ধ হয়ে যায় এবং তার জনপ্রিয়তা শীর্ষে উঠে যায়। কিন্তু রাজা এর সবশত তাকে ফেব্রুয়ারি মাসের ১৪ তারিখে ফাঁসি দিয়ে দেয় এবং সেই দিনটি ১৪ তারিখ হওয়ার কারণে valentine ডে হিসেবে পালিত হয়ে থাকে।
অর্থাৎ নির্দিষ্ট ব্যক্তির নাম অনুসারে এবং সেদিন তার মৃত্যুদিন হওয়ার কারণে এই দিনটা পালিত হয়ে থাকে। কিন্তু বর্তমান সময়ে পশ্চিমে সংস্কৃতি এবং আমাদের দেশে এই দিনটা ভালোবাসা দিবস হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে এবং একই দিনে আমাদের দেশে পহেলা ফাল্গুন পালন হওয়ার কারণে আমরা এই দিনটি খুব উৎসব মুখর এবং আনন্দমুখর হিসেবে পালন করে থাকি। ১৪ই ফেব্রুয়ারি অথবা পহেলা ফাল্গুন খুব সমারোহে আমাদের দেশে পালন করা হয়ে থাকে এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পালন করার পাশাপাশি সকল মেয়েরা চুলের ভেতরে নতুন নতুন ফুলের ডালা দিয়ে খুব সুন্দরভাবে সেজেগুজে বের হয়ে থাকে। তাই সকলের কাছে এই দিনটি অত্যন্ত উপভোগ্য একটা দিন।
Leave a Reply