বিকাশ এজেন্ট হতে কত টাকা লাগে

বিকাশ এজেন্ট হতে কত টাকা লাগে

আপনি যদি একজন দোকানদার হয়ে থাকেন এবং দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন ধরনের লেনদেন সম্পন্ন করতে চান তাহলে বিকাশে এজেন্ট হয়ে যেতে পারেন। ধরি আপনার একটা মোদির দোকান আছে এবং সেই মোদির দোকানে ব্যবসা কে আরও সুন্দরভাবে পরিচালনা করার জন্য একটি বিকাশের সেবা নিয়ে কাস্টমারদের উদ্দেশ্যে প্রচার-প্রচারণা চালালেন।

অথবা যাদের দোকানে গিয়ে আমরা বিকাশের টাকা পাঠিয়ে থাকি অথবা উত্তোলন করে থাকি সেই ধরনের সেবা যদি আপনারা নিজ দায়িত্বে প্রদান করতে চান তাহলে আপনাকে বিকাশ এজেন্ট হতে হবে। তাই আপনি যখন বিকাশ এজেন্ট হবেন তখন আপনাকে এই এজেন্ট হওয়ার জন্য কত টাকা খরচ করতে হবে অথবা বিকাশ কোম্পানি আপনাদের থেকে কত টাকা আমানত হিসেবে গ্রহণ করবে সে বিষয়ে আজকের আমরা তথ্যগুলো প্রদান করতে চলেছি।

বর্তমানে অনলাইন ব্যাংকিং এর মাধ্যমে আমরা খুব সহজেই দেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে অথবা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে এই মাধ্যম ব্যবহার করে থাকি। আপনি যখন বিকাশ একাউন্ট রাখবেন তখন বিদেশ থেকেও অনেকে আপনার একাউন্টে চাইলেই বিকাশে টাকা পাঠাতে পারবেন। বর্তমানে মানুষজন ঘরোয়া হয়ে গিয়েছে এবং

বিভিন্ন কাজ ঘরে বসে সম্পাদন করছে বলে অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রোডাক্ট সেল থেকে শুরু করে সেই টাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রে বিকাশ এজেন্টকে ব্যবহার করছেন। তাই আগের চাইতে বর্তমান সময়ে বিকাশের লেনদেন ব্যবস্থা অনেক সচল হয়েছে এবং মানুষজন এখন লেনদেন করার ক্ষেত্রে অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করা বাদ দিয়ে বিকাশ বেশি ব্যবহার করে।

যদিও বিকাশে টাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রে বেশি টাকা গ্রহণ করা হয়ে থাকে এবং অন্যান্য সেক্টরে কম গ্রহণ করা হয়ে থাকে তারপরও পূর্ব থেকেই মানুষজন বিকাশ একাউন্ট খুলেছে এবং বিকাশ একাউন্টের নাম বললে খুব সহজে চিনতে পারে বলে আমরা বিকাশ অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করার প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করি। আপনি লক্ষ্য করে দেখবেন যে বেশিরভাগ মানুষের মোবাইলে

বিকাশ একাউন্ট রয়েছে এবং অন্যান্য অ্যাকাউন্টের পরিমাণ খুবই কম রয়েছে। তবে যাই হোক আপনি যদি বিকাশ এজেন্ট হতে চান তাহলে অনেকেই আপনার দোকানে আপনার নাম্বার ব্যবহার করার মাধ্যমে টাকা যেমন পাঠাতে পারবে তেমনি ভাবে আপনার নাম্বারে ক্যাশ আউট করতে পারলে আপনি সেই টাকা নিয়ম অনুযায়ী গ্রাহককে প্রদান করতে পারবেন।

দৈনন্দিন জীবনে এই অনলাইন ব্যাংকিং সুবিধা আমাদের জীবনকে অনেক গতিশীল করে দিয়েছে এবং আমরা চাইলে দেশের ভেতরে কমপক্ষে একদিনে অনেক টাকা পাঠাতে পারি। আপনার যদি বিকাশ এজেন্ট হওয়ার সুযোগ থাকে অথবা আপনি যদি দোকানে বিকাশ এজেন্ট হয়ে ব্যবসা করতে চান তাহলে বিকাশ কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।

তারা আপনাদেরকে একটি ফরম প্রদান করলে সেখানে আপনার দোকানের নাম এবং ন্যাশনাল এনআইডি কার্ডের নাম্বার প্রদান করতে হবে।এগুলো করার পরে আপনারা দোকানে ট্রেড লাইসেন্স নাম্বার প্রদান করবেন এবং দোকানের নাম থেকে শুরু করে অন্যান্য যে সকল শর্ত পূরণ করার কথা বলা হয়েছে সেগুলো পূরণ করে কোম্পানির হাতে অথবা অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে যারা সাহায্য করে থাকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।

এক্ষেত্রে আপনারা হয়তো জানতে চাচ্ছেন বিকাশ এজেন্ট হতে কত টাকা লাগে তাদের উদ্দেশ্যে বলবো যে বিকাশ এজেন্ট হওয়ার জন্য কোন ধরনের টাকা লাগে না। এটা বিকাশ কোম্পানির সম্পূর্ণ একটা ফ্রি সেবা এবং এই সেবা গ্রহণ করার মাধ্যমে আপনি দোকানে একটা একাউন্টের ব্যবসা করতে পারলে খুব সহজেই টাকা উত্তোলন করার মাধ্যমে কাজের ফাঁকে

ফাঁকে লাভবান হতে পারবেন। তাই আপনি যখন বিকাশ এজেন্ট হবেন তখন আপনাকে বুঝতে হবে দৈনন্দিন জীবনে আপনার দোকানে কতজন গ্রাহক আসছে এবং লেনদেনের পরিমাণ কিরূপ হচ্ছে। তাহলে সেই অনুযায়ী আপনার একাউন্টে টাকা থাকলে আপনারা ক্যাশ ইন এবং ক্যাশ আউট দুটোই করতে পারবেন। ধন্যবাদ।

About শাহরিয়ার হোসেন 4780 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*