শিশু ভাতা কার্ড | শিশু ভাতা কত টাকা

শিশু ভাতা কত টাকা

দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকার পর অবশেষে শিশু ভাতা কার্ড আবার নতুন করে চালু করা হয়েছে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদপ্তরে আপনাদের জন্য এই ধরনের সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে বলে আপনারা যারা অন্তঃসত্তা রয়েছেন তারা আবেদন করতে পারেন। আপনাদের জন্য বর্তমান সময়ে কর্তৃপক্ষ এই ভাতা প্রদান করে আসছে বলে দরিদ্র পরিবারের অনেক মা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত এই টাকা উত্তোলন করতে পারবেন বলে নিজেদের ভরণপোষণের অনেক খরচ পরিচালনা করতে পারবেন। তাই দুস্থ পরিবারের যে সকল মা অন্তঃসত্ত্বা রয়েছেন তারা চাইলেই অনলাইনে আবেদন করে নির্দিষ্ট সময়ের ভেতরে শিশু ভাতা কার্ড পেয়ে যেতে পারেন।

আপনাদের জন্য শিশু ভাতা কার্ড মাঝপথে কিছুটা কারণে বন্ধ থাকলেও বর্তমান সময়ের জানুয়ারি মাস থেকে আবার এটা চালু করা হয়েছে। এই যে সকল মায়েরা শিশু ভাতা কার্ড তৈরি করতে চান অথবা গর্ভকালীন ভাতা পেতে চান তাদের উদ্দেশ্যে কর্তৃপক্ষ অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করার জন্য বলেছেন। বর্তমান সময়ে আমাদের দেশের অনেক নারী এই ভাতা পাচ্ছেন। প্রথম দিকে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শুরু করে পৌরসভার দিকে বিভিন্ন ওয়ার্ডে এই ভাতা প্রদান করা শুরু হয়ে থাকলেও বর্তমানে সিটি কর্পোরেশনও এই ভাতা প্রদান করা হবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। অর্থাৎ সিটি কর্পোরেশনের যে সকল দরিদ্র পরিবার রয়েছে তারা চাইলেই অনলাইনে আবেদন করে এই ভাতা পেয়ে যেতে পারেন।

তবে শিশু ভাতা কার্ড পাওয়ার জন্য আপনাদেরকে বেশ কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে এবং এই শর্তের ভিত্তিতে আপনাদেরকে ভাতা প্রদান করা হবে। বিশেষ করে অন্তঃসত্ত্বা মায়ের যদি এটা প্রথম অথবা দ্বিতীয় সন্তান হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই অনলাইনের মাধ্যমে দরিদ্রতার ভিত্তিতে আবেদন করতে পারেন। আর যদি তৃতীয় অথবা চতুর্থ সন্তান হয়ে থাকে তাহলে আবেদন করে আপনারা কখনোই এই ভাতা পাবেন না।

এছাড়া সেই মায়ের বয়স অবশ্যই এনআইডি কার্ড অনুযায়ী ২০ বছরের নিচে হওয়া যাবে না এবং ৩৫ বছরের উর্ধ্বে হওয়া যাবে না। গর্ভবতী মায়ের বয়স যদি ২০ এর ওপরে হয়ে থাকে এবং ৩৫ এর নিচে হয়ে থাকে তাহলে আপনারা এটা করতে পারবেন এবং ভাতা পাবেন।পরিবারের যে সদস্য ইনকাম করছেন তার ইনকাম যদি মাসে ৮ হাজার টাকা এর নিম্ন হয়ে থাকে তাহলে এই আবেদন করে আপনারা টাকা পেতে পারেন। তাই শিশু ভাতা কার্ড পাওয়ার জন্য আপনাদেরকে উক্ত শর্ত পূরণ করতে হবে।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদপ্তরে আপনারা আবেদন করার জন্য সরাসরি মাতৃত্বকালীন ভাতা লিখে সার্চ করলেই আপনাদের সামনে আবেদন সংক্রান্ত অফিসিয়াল ওয়েবসাইট চলে আসবে। সেখানে গিয়ে আপনারা আবেদনকারীর তথ্য বিস্তারিত ভাবে পূরণ করবেন এবং আবেদনকারী কোন মাধ্যমে এই টাকা পেতে চাই তা উল্লেখ করবেন। ব্যাংক একাউন্ট থেকে শুরু করে মোবাইল ব্যাংকিং এর একাউন্টে এই টাকা নেওয়া যাবে বলে অবশ্যই ব্যাংকিং একাউন্টের নাম্বার প্রদান করবেন।

যদি সকল শর্ত পূরণ করা সাপেক্ষে আপনারা ভাতা পাওয়ার জন্য মনোনীত হয়ে থাকেন তাহলে এখান থেকে আপনারা টানা তিন বছর অর্থাৎ ৩৬ মাস টাকা পাবেন। প্রত্যেক মাসে ৮শ টাকা করে প্রদান করা হবে বলে আমরা জানতে পেরেছি এবং এই টাকা আপনাদেরকে প্রত্যেক ছয় মাস পর পর প্রদান করা হবে। অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময় পর আপনাদের মোবাইল ব্যাংকিং এর একাউন্টে 4800 টাকা করে চলে আসবে।

তাই শিশু ভাতা কার্ড কত টাকা প্রদান করা হয়ে থাকে অথবা এই টাকা পাওয়ার জন্য কিভাবে আবেদন করতে হয় তা আপনাদেরকে জানিয়ে দেওয়া হলো। সমাজের অনেক নারী অথবা মা রয়েছেন যারা টাকার অভাবে বাচ্চাদের সঠিকভাবে পরিচর্যা করতে পারেন না এবং এই কারণে বাচ্চা অপুষ্টির শিকার হয়। কিন্তু সরকারি এই সহায়তা যখন পাবে তখন প্রত্যেকটি মা তাদের সন্তানদেরকে সঠিকভাবে লালন পালন করার জন্য প্রয়োজনীয় বিষয়াদি কিনতে পারবে এবং বাচ্চাকে লালন পালন করতে পারবে। ধন্যবাদ।

About শাহরিয়ার হোসেন 4780 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*