দরখাস্ত সাধারণত আবেদনপত্র নামে পরিচিত। বিভিন্ন প্রয়োজনে যেমন ছুটির প্রয়োজন হলে বা অন্য কোন সমস্যা হলে অফিশিয়াল ভাবে দরখাস্ত বা আবেদন পত্র লেখার প্রয়োজন হয়। আর তাই আমাদের দরখাস্ত লেখার নিয়মটি শিখতে হবে। কেননা আমাদের বিভিন্ন প্রয়োজনে বিভিন্ন সময় দরখাস্ত লিখতে হয়।
যেমন দেখা যায় স্কুল- কলেজে পড়াকালীন সময়ে আমাদের দরখাস্ত লিখতে হয়। স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটি, বিভিন্ন অফিসিয়াল কাজে অফিস, আদালত ইত্যাদি ক্ষেত্রে দরখাস্ত বা আবেদন পত্র লিখা হয়। তবে বর্তমানে দেখা যায় যে দরখাস্ত বা আবেদন পত্র লিখার প্রচলন কমে গেছে। কেননা বর্তমানে ইলেকট্রনিক্স প্রযুক্তির যুগে বিভিন্ন অনলাইনে দোকান থেকেই দরখাস্ত বা আবেদন পত্র লিখে নেওয়া হয়।
কিন্তু তারপরেও হাতের লেখা দরখাস্ত গুলোই অনেক সুন্দর হয়। আর আগের সময় হাতে লিখে বিভিন্ন জায়গায় দরখাস্ত বা আবেদনপত্র পাঠানো হতো। আবেদন পত্র লেখার সুন্দর নিয়ম রয়েছে। সেই নিয়মগুলো আমাদের শিখা দরকার। আবার আমরা বিভিন্ন প্রয়োজনে আমাদের বন্ধুদের নিকট বা বড়দের নিকট বা অফিসেও চিঠি লিখে থাকি।
এজন্য আমাদের চিঠি লেখার নিয়ম গুলো আয়ত্ত করা প্রয়োজন। যদিও বর্তমানে চিঠি লেখার মানসিকতা অনেক কমে গেছে। বর্তমানে যে কোন প্রয়োজন হলে মোবাইলের মাধ্যমে আমরা কথা বলতে পারছি। কিন্তু আগের সময়ে কথোপকথন বা তথ্য আদান-প্রদানের অন্যতম মাধ্যম ছিল এই চিঠি আদান প্রদান। বলা যায় যে এই চিঠি আদান-প্রদান ছিল প্রাচীন ঐতিহ্য।
তাই দেখা যায় যে বর্তমান সময়ে অনেকেই চিঠি লিখে থাকে। যদিও এর পরিমাণ অনেক কম গেছে। কিন্তু চিঠি যদিও কমে গেছে তারপরেও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে চিঠি লিখা শিখানো হয়। যেমন স্কুল-কলেজ বা ইউনিভার্সিটিতেও বিভিন্ন সময় চিঠি লেখার প্রয়োজন হয়।
তাই আমাদের অবশ্য চিঠি লিখার নিয়ম গুলো শিখে রাখতে হবে৷ কিন্তু অনেকে দেখা যায় যে চিঠি কিভাবে লিখতে হবে বা কিভাবে লিখে চিঠিটি ভালো হবে, এই বিষয়গুলো জানতে চায়। মূলত তারা যেন খুব সহজে আবেদনপত্র বা দরখাস্ত এবং চিঠি লেখার নিয়ম গুলো পেয়ে যায়, এজন্য আমাদের আজকের আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে। আশা করি এখান থেকে আপনি দরখাস্ত, চিঠি লেখার সুন্দর সুন্দর নিয়ম গুলো সংগ্রহ করে নিতে পারবেন।
আমরা বিভিন্ন অফিসিয়াল প্রয়োজনে আবেদন পত্র লিখে থাকি। যেমন আমাদের কোন প্রতিষ্ঠান থেকে বা অফিস থেকে যদি ছুটি প্রয়োজন হয়, তাহলে আমাদের আবেদনপত্র দেওয়ার মাধ্যমে সেই অফিসকে অবগত করতে হবে। কিন্তু আবেদন পত্রটি যদি সুন্দরভাবে লিখা না যায়, তাহলে তা অফিস বা প্রতিষ্ঠানটি গ্রহণ নাও করতে পারে। এজন্য অবশ্যই আবেদন পত্রটি সুন্দর নিয়মে এবং সুন্দরভাবে লিখে জমা দিতে হবে।
আর আবেদন পত্রে ভুল হলে বা সেই ভুলটি কেটে দিলে খারাপ দেখায়, এজন্য ভুল যদি হয়ে যায়, তাহলে ওই আবেদনপত্র বাতিল করে নতুন ভাবে আবেদন পত্র লিখে পাঠাতে হবে। আবার আবেদন পত্রের মধ্যে অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা না লেখাই ভালো। যে কথাগুলো না লিখলেই নয় বা ছোট করে আসল কারণ গুলো লিখে উপস্থাপন করতে পারলেই বেশি ভালো হয়।
তাই একটি দরখাস্ত কি কারনে লেখা হচ্ছে বা কি কারণে ছুটির প্রয়োজন এ বিষয়গুলো সুন্দরভাবে দরখাস্তের মধ্যে উল্লেখ করলে ভাল হয়। যদি এ বিষয়গুলো উল্লেখ না করা হয়, তাহলে কি কারনে দরখাস্ত বা আবেদন পত্র দেওয়া হচ্ছে, তা কর্তৃপক্ষ নাও বুঝতে পারে। তাই অবশ্যই মূল বিষয়গুলো সুন্দরভাবে উল্লেখ করতে হবে।
আবার চিঠি লেখার ক্ষেত্রেও সতর্কতার সাথে চিঠি লিখতে হবে। চিঠি কার কাছে লিখা হচ্ছে এবং কে লিখছে এ বিষয়টি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কেননা যদি সঠিকভাবে না লেখা হয় তাহলে চিঠিটি সঠিক মানুষের কাছে পৌঁছাতে না পারে। আবার পৌঁছালেও কে পাঠিয়েছে তা বুঝতে সমস্যা হতে পারে। এজন্য এ বিষয়গুলো সুন্দর ভাবে লিখে বা উপস্থাপন করে প্রাপকের নিকট পাঠাতে হবে।
Leave a Reply