অনেকের কাছে স্বপ্নের দেশ হিসেবে আমেরিকা পরিচিত। তাই আমেরিকাতে আপনারা যদি কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চান তাহলে সেখানে যেতে যেমন এক রকমের খরচ হবে তেমনিভাবে স্টুডেন্ট ভিসায় গেলে আরেক রকমের খরচ হবে। আপনি বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে চাইলে কোন প্রসেস অবলম্বন করার মাধ্যমে যেতে চান সেটা আগে নিশ্চিত হতে হবে এবং সেটার উপরে আপনার খরচ নির্ধারণ করা হবে।
স্বপ্নের দেশ হিসেবে পরিচিত অথবা শিল্প-সংস্কৃতিতে পরিপূর্ণ এই দেশে যদি আপনারা যেতে চান তাহলে হয়তো আপনাদের জীবন ধারার মান অনেক উন্নত হবে এবং এটাই মনে করে অনেকেই আমেরিকাতে পারি জমান। তাছাড়া বাংলাদেশের অনেক মানুষ রয়েছেন যারা আমেরিকাতে কাজ করতে পছন্দ করেন এবং আমেরিকাতে গিয়ে যদি কাজ করতে চান তাহলে আপনাকে আগে থেকেই নির্দিষ্ট কাজে দক্ষতা অর্জন করে সেই অনুযায়ী ভিসার জন্য এপ্লাই করতে হবে।
যারা আমেরিকাতে গিয়ে কাজ করার জন্য পুরোপুরিভাবে নিয়ত করে ফেলেছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলবো যে আমেরিকায় গিয়ে কাজ করার জন্য আগে থেকে আপনাকে নির্দিষ্ট কাজের ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আপনি যদি নির্দিষ্ট একটা কাজে দক্ষতা অর্জন করেন অথবা ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে গিয়ে থাকেন তাহলেও আপনাকে সেই অনুযায়ী যোগ্যতা অর্জন করার ভিত্তিতেই কাজ করতে হবে। সাধারণত আপনি যদি ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে যেতে চান তাহলে বাংলাদেশী টাকাই আপনাকে কমপক্ষে ৪ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে হবে এবং আমেরিকার কমপক্ষে ১০ জন লোককে আপনার কর্মস্থলে কাজ দেওয়ার সুযোগ প্রদান করতে হবে।
একইভাবে আপনি যদি গবেষণার উদ্দেশ্যে আমেরিকাতে যেতে চান তাহলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রমাণপত্র হিসেবে সাবমিট করতে হবে এবং এফবিতে আপনি খুব সহজে আমেরিকাতে এই ভিসা পেয়ে যাবেন। আপনারা যদি সেখানে পড়ালেখার উদ্দেশ্যে যেতে চান তাহলে বর্তমান সময়ের নিয়ম অনুযায়ী আইএলটিএস এর স্কোর খুব বেশি হতে হবে এবং আপনি যদি এই স্কোর কম করেন তাহলে ভিসার জন্য অ্যাপ্লাই করে হয়তো খুব একটা কুলাতে পারবেন না। সকল দিক বিবেচনা করে আপনারা যে কাজে পারদর্শী অথবা কাজের ভিসা পেতে চাইলে সেই অনুযায়ী সেই কাজের দক্ষতা সাবমিট করার মাধ্যমে আমেরিকাতে যেতে পারেন।
আমেরিকাতে যাওয়ার পর আপনারা যে কাজ করবেন সেই কাজগুলো আগে থেকে নির্ধারণ করতে পারলে অথবা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাবমিট করার মাধ্যমে যখন নির্ধারণ করে ফেলবেন তখন সেটা অনুযায়ী আপনার কাজ করতে অনেক সুবিধা হবে। তাই আমেরিকাতে গিয়ে কাজ করার উদ্দেশ্যে আপনারা যে বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে চান অথবা আমেরিকাতে
যেতে হলে কত টাকা লাগবে তা জানতে চান তাদের উদ্দেশ্যে বলবো যে আপনার ভিসার উপরে এই টাকার পরিমাণ নির্ধারণ করবে। তাছাড়া আপনাকে প্রয়োজনীয় সকল শর্ত পূরণ করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যাংক ব্যালেন্স যদি প্রদর্শন করতে না পারেন তাহলে সেটাও অনেক সময় ক্যান্সেল হয়ে যেতে পারে। তাই বাংলাদেশ থেকে আমেরিকাতে অনেকেই চিকিৎসা ভিসার মাধ্যমে যেমন গিয়ে থাকেন তেমনি ভাবে কাজের উদ্দেশ্যে ও ভ্রমণের উদ্দেশ্যেও গিয়ে থাকেন।
তাই বর্তমানে বাংলাদেশী টাকায় আপনারা যদি আমেরিকার জন্য ভিসার আবেদন করেন তাহলে ১৪ থেকে ১৭ হাজার টাকা পর্যন্ত শুধু ভিসা প্রসেসিং খরচ লাগবে। তাছাড়া আপনারা যে এজেন্সির মাধ্যমে যাবেন সেই এজেন্সির মাধ্যমে যেতে হলে যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে আপনাদেরকে কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করতে হবে। অর্থাৎ আপনার কোন অভিজ্ঞতা ছাড়া অথবা নির্দিষ্ট কোন কাজের দক্ষতা ছাড়া সেখানে প্রবেশ করার সুযোগ নেই।
তাই আমেরিকায় যখন যাবেন তখন অবশ্যই প্রয়োজনীয় কাজ শিখে যাবেন এবং লেখাপড়ার উদ্দেশ্যে যেতে হলো সেখানে আপনাকে পার্মানেন্ট ভিসা প্রদান করা হবে না বলে প্রয়োজনীয় নিয়ম অনুসরণ করে ভালো ফলাফল অর্জন করার মাধ্যমে সেখানে পার্মানেন্ট হওয়া সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন। বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে হলে কোন কোন পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে অথবা এক্ষেত্রে কোনো বিষয় জানা থাকলে কমেন্ট বক্সে লিখে জানাবেন।
Leave a Reply