ইফতারের সময়সূচি ২০২৪ সৌদি আরব রিয়াদ

ইফতারের সময়সূচি সৌদি আরব রিয়াদ

আমাদের ওয়েবসাইটটি বেঁছে নেয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমাদের ওয়েবসাইটের আজকের আর্টিকেলটির আলোচ্য বিষয় হচ্ছে সৌদি আরবের রিয়াদ শহরটির ইফতারের সময়সূচি ২০২৩। আপনি কি সৌদি আরবের বিভিন্ন শহরের ইফতারের সময়সূচি খুঁজছেন বা নিজের সঙ্গে রাখতে চাচ্ছেন? আবার কোন সময় সেহরি করতে হবে বা কোন সময় সেহরি শেষ হবে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন?

তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসে পৌঁছেছেন। আর আমাদের আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য বিশেষ হতে যাচ্ছে। কারণ আমাদের আজকের আর্টিকেলটি মূলত ইফতারের সময়সূচি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এখান থেকে আপনি খুব সহজেই সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি সংগ্রহ করে নিতে পারবেন। আর এগুলো দেখে সঠিক সময়ে রমজান মাসে রোজা রাখতে বা সিয়াম পালন করতে পারবেন বলে আশা করছি।

মুসলমানদের নিকট সবচেয়ে পবিত্র এবং রহমতময় মাস হচ্ছে রমজান মাস। এই মাসে অন্যান্য মাসের তুলনায় ধর্মপ্রাণ মুসলমান ব্যাক্তি আল্লাহর ইবাদতে বেশি মশগুল থাকে এবং আল্লাহর ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করে। তবে সবচেয়ে বেশি ইবাদত করে সিয়াম সাধনার মাধ্যমে বা রোজা রাখার মাধ্যমে। আল্লাহ তায়ালা সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য নিয়তের সাথে সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার থেকে বিরত থাকাকে সিয়াম বা রোজা বলে।

সিয়াম আরবি শব্দ এবং রোজা ফার্সি শব্দ। সিয়াম পালনের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা অনেক বেশি খুশি হন এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা যায়। তাছাড়া সিয়াম পালনকারী ব্যক্তির উপর আল্লাহর রহমত বর্ষিত হয়। এজন্য ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ রমজান মাসে রোজা রাখে বা সিয়াম পালন করে। আর এর মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্ট অর্জনের চেষ্টা করে।

রমজান মাসে দেখা যায় যে প্রতিটি মুসলিম পরিবারই রোজা রাখে বা সিয়াম পালন করে। পরিবারের সব ব্যক্তিরা সাধারণত রমজান মাসের রোজা রাখে। দেখা যায় যে ছোট ছোট বাচ্চারাও রমজান মাসে রোজা রাখে বা সিয়াম পালন করে। এর মাধ্যমে বাচ্চারা ছোটবেলা থেকে আল্লাহ তায়ালার তাকওয়া অর্জন করতে পারে বা আল্লাহর প্রতি ভয় এবং ভালোবাসা তৈরি হয়। তাছাড়া ছোটবেলা থেকেই আল্লাহর ইবাদত করতে শিখে। এর ফলে বাচ্চাদের মধ্যেও ইবাদতের মানসিকতা তৈরি হয় এবং রমজান মাসে রোজা পালনের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের পাশাপাশি গরীব দুঃখী ও অভাবী মানুষের দুঃখ কষ্ট বুঝতে পারা যায় বা অনুধাবন করা যায়।

এর ফলে মানুষ দানশীল হয়ে ওঠে। তাই দেখা যায় যে রমজান মাসে মানুষের দানের পরিমাণও বেড়ে যায় এ বিষয়টিও আল্লাহ উৎসাহিত করেছেন এবং ধনীদেরকে দান প্রদান করতে উৎসাহিত করা হয়েছে। ইসলাম ধর্ম অনুসারে কোন ধনী ব্যক্তি যদি দান করে তাহলে তার ধন- সম্পত্তি কমে না বরং তার সম্পত্তির পবিত্রতা অর্জিত হয় এবং সেই সম্পত্তির উপর আল্লাহর রহমত বর্ষিত হয়।

এছাড়া রমজান মাসের মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কুরআন নাজিল হয়েছিল রমজান মাসে। শবে কদরের রাতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর উপর পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কুরআন নাযিল হয়েছিল। এই ধর্মগ্রন্থ আল কুরআন মুসলমান জাতির সমস্ত দিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে এবং এই কোরআন অনুসারে যদি কোন ব্যক্তির জীবন অতিবাহিত করে তাহলে তার জন্য রয়েছে পরকালীন শান্তির ব্যবস্থা। আর আল্লাহ তায়ালার রহমত রয়েছে। তাছাড়া যে ব্যক্তি কুরআন অনুসারে জীবন পরিচালনা করে তাকে আল্লাহ তায়ালা যেমন পছন্দ করে বা ভালোবাসে তেমনি ভাবে পৃথিবীতে অন্যান্য মানুষও তাকে অনেক বেশি পছন্দ করে। তাই প্রত্যেকটি মুসলমান ব্যক্তির উচিত প্রাত্যহিক জীবন পরিচালনা করা কুরআনের বিধান অনুসারে।

রোজা রাখার ক্ষেত্রে অবশ্যই সঠিক নিয়মের দিকে খেয়াল রাখতে হবে এবং সেহরি ও ইফতারের নির্দিষ্ট সময়েই সেহরি ও ইফতার করতে হবে। আপনি আমাদের আজকের আর্টিকেল থেকে খুব সহজেই সৌদি আরবের রিয়াদ শহরের ইফতারের সময়সূচি ২০২৩ পেয়ে যাবেন বলে আশা করছি।

About শাহরিয়ার হোসেন 4780 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*