মুসলমান জাতির কাছে রোজা একটি বিশেষ নিয়ামত সম্পূর্ণ ইবাদত। রোজা ফার্সি শব্দ। রোজার আরবি শব্দ হলো সিয়াম। মূলত আরবি রমজান মাসের পুরো সময়টা ধরে সিয়াম পালন করা হয় অর্থাৎ রোজা পালন করা হয়। রোজার দিনগুলোতে মুসলমান জাতি বিভিন্ন ধরনের ইবাদতে সারাদিন মশগুল থাকে। এই রমজান মাস অর্থাৎ রোজার সময় গুলো মুসলমান জাতির কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়।
তাই দেখা যায় অনেক সময় অনেকেই এই রোজার দিনগুলো নিয়ে রোজা সম্পর্কে বা সিয়াম সাধনার সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য অনলাইনে খুঁজে থাকে। আপনি কি এ ধরনের রমজান বা রোজা নিয়ে বিভিন্ন তথ্য খুঁজছেন? তবে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। আর এই পোস্টটা আপনার জন্য উপকারী হতে পারে। কেননা আজকের পোস্টটি সাজানো হয়েছে রোজা নিয়ে বিভিন্ন কথার মাধ্যমে। এই পোষ্টের সাহায্যে আপনি রোজা সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় জানতে পারবেন এবং এ পোস্টের দ্বারা উপকারী হবেন বলে আশা করছি।
মুসলমান জাতি মনে করে রমজান মাস হচ্ছে পাপ ঝরানোর মাস, পাপ মুক্ত হয়ে পবিত্র হওয়ার মাস। এই সময় আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় মুসলমান জাতি সারাদিন সমস্ত অন্যায়ের কাছ থেকে বিরত থাকে এবং সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার নিদ্রা ও পানাহার থেকে বিরত থাকে। আর এভাবে বিরত থেকে আল্লাহর ইবাদত করার একটাই কারণ যেন আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করা যায়। আর তাই যত কষ্টই হোক না কেন তারা সারাদিন অর্থাৎ সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার বা খাবার গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকে। এতে করে যেমন শারীরিক ইবাদত সম্পন্ন হয় তেমনি ভাবে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করা সম্ভব হয়।
রমজান মাসের রোজা রাখার মাধ্যমে সকলেই বুঝতে পারে যে আসলে যারা অসহায় মানুষ তারা সারাদিন না খেতে পেয়ে কতটা কষ্ট পাই। এর ফলে গরিবের কষ্টগুলো অনুধাবন করতে শিখে আর তাদের মধ্যে বিভিন্ন রকমের দান করে। এতে করে গরিব মানুষেরাও একটু সুখে থাকে। আর গরীব দুঃখীদের যাতে সাহায্য করা যায় সে মন মানসিকতা তৈরি হয় রমজান মাসের রোজা রাখার মধ্য দিয়ে। যেহেতু রোজা রাখার মধ্য দিয়ে সবাই সারাদিন সকল প্রকার পানাহার থেকে বিরত থাকে, তাই খুব সহজেই দুঃখী মানুষের, অভাবী মানুষের না খেয়ে থাকার কষ্টগুলো অনুধাবন করতে পারে। এর ফলে তাদের মধ্যে মানবিক গুণাবলীর বৃদ্ধি ঘটে এবং গরিব দুঃখীদের দান করার মানসিকতা তৈরি হয়।
অনেকে আবার রমজান মাস থেকে শিক্ষা নিয়ে সারা জীবনই ভালো কাজ করে। আসলেই রমজান মাস থেকে অনেক কিছু শিখার দরকার। এ সময় ধনীদের মাঝে দান- খায়রতের পরিমাণ বেড়ে যায়। তারাও আল্লাহর ইবাদতে মশগুল থাকে। ধনী -গরিব, ছোট- বড় নির্বিশেষে সকলেই আল্লাহর ইবাদতের জন্য সিয়াম পালন করে। এবং সকল অন্যায় কাজ থেকে বিরত থাকে। রমজান মাস থেকে তাই বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে শিক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়। এজন্য প্রাচীনকাল থেকে মুসলমান জাতি এই রমজান মাসে সিয়াম পালন করে আসছে।
সকলেরই উচিত রমজান মাস থেকে শিক্ষা নিয়ে তা বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করা। আর অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানো। সেই সাথে সাথে আল্লাহর ইবাদতের জন্য নিজেকে নিয়োজিত করা। মূলত সিয়াম পালনের মাধ্যমে মানুষের মনে তাকওয়ার সৃষ্টি হয়। কেননা মানুষ চাইলেই একে অপরকে লুকিয়ে চুপচাপ খাবার খেয়ে নিতে পারে বা পানি পান করতে পারে। কিন্তু তারা এ ধরনের কোন কিছুই করে না। সারাদিন কোন খাবারই গ্রহণ করে না। আর এর একটাই কারণ তারা মনে করে যে আল্লাহ সবকিছু জানেন, দেখেন এবং শুনেন। আর আল্লাহর প্রতি ভয় বা তাকওয়া তৈরি হয় তাদের মনে আরো বেশি করে।
তাই প্রত্যেকটা মুসলমানদের জীবনের রমজান মাস অর্থাৎ সিয়াম পালন অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ। আর এ সময় সবাই সিয়াম পালনের মাধ্যমে নিজেকে আল্লাহর কাছে সমর্পণ করে। নিজের ভুলগুলো বুঝতে পারে এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই।
Leave a Reply