
আপনারা যারা ইসলামী শরীয়া মোতাবেক বিবাহ করতে চান তাদের জন্য আজকে আমাদের ওয়েবসাইটে ইসলামে বিয়ে করার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। একটি পবিত্র সম্পর্কের নাম এবং এর মাধ্যমে সামাজিক ভাবে এবং ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দুইজন নর-নারী একসঙ্গে বসবাস করার সুযোগ পাবে এবং এই সম্পর্কের ভিত্তিতে ভবিষ্যতে পরবর্তী প্রজন্ম জন্মদানের জন্য যাবতীয় ইসলামিক বৈধতা পেয়ে যাবেন। তবে বিয়ের নামে বর্তমান সময়ে যে ধরনের বেলেল্লাপনা অথবা যে সকল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে তাতে দেখা যায় যে এখানে একজন নারীর সম্মান তো থাকেই না বরং একজন মানুষ প্রচুর পরিমাণে টাকা খরচ করে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকেন।
কিন্তু আপনি আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী যদি ইসলামিক নিয়ম অনুসরণ করে বিবাহের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করেন তাহলে দেখা যাবে যে পবিত্র এই সম্পর্ক খুব সুন্দরভাবে সম্পন্ন করা যাচ্ছে এবং এক্ষেত্রে আপনাকে পরবর্তীতে আর্থিক সংকটে পড়তে হচ্ছে না। তাই বিয়ে করা নিয়ে আপনারা যারা বিভিন্ন ধরনের সামাজিক বাধার সৃষ্টি করেছেন অথবা সামাজিক বাধা দৃষ্টিকোণ থেকে আপনারা যারা বিয়ে করতে পারছেন না তাদেরকে বলব যে ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে এবং ইসলামিক নিয়ম অনুসরণ করে আপনারা যদি বিয়ে করতে পারেন।
তাছাড়া লোকদেখানো অনুষ্ঠান এর পরিবর্তে যদি এটা শরিয়াসম্মত অনুষ্ঠানে করতে পারেন তাহলে দেখা যাবে যে আপনার অনেক টাকা নষ্ট হবে না এবং আপনিও অল্প খরচে এই সুন্দর সম্পর্কের মাধ্যমে একটি নতুন জীবন শুরু করার সুযোগ পাচ্ছেন। বিয়ের মধ্যে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো এখানে দুই পরিবারের সম্মতি থাকতে হবে এবং দুই পরিবার যদি খুব সুন্দরভাবে পাত্র এবং পাত্রী পছন্দ করে থাকে এবং দেনমোহর নিয়ে থাকে তাহলে আপনাদেরকে অবশ্যই পরবর্তী ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে।
আপনারা যদি চান তাহলে আপনাদের সামর্থ্য অনুযায়ী সমাজের প্রত্যেকটি মানুষকে দাওয়াত করে খাওয়াতে পারেন আবার যদি আপনার সামর্থ্য না থাকে তাহলে এই অনুষ্ঠান আপনি না করলেও হবে। যদি অল্প খরচে বিবাহের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে চান তাহলে একজন মাওলানা দেখে ছেলে এবং মেয়ের জন্য দোয়া করে এবং অন্যান্য নিয়ম সম্পন্ন করে আপনারা উভয়পক্ষের কবুল শুনে নিয়ে সকলের জন্য দোয়া করে এই বিবাহের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে পারেন। তবে ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিবাহের জন্য যে কামিননামা বা দেনমোহর নির্ধারণ করা হয়েছে তা পরিশোধ করতে হবে।
তাই প্রার্থীর পক্ষে যতটুকু কাবিন দেওয়া সম্ভব সেই অনুযায়ী আপনারা যদি কাবিননামা নির্ধারণ করেন তাহলে সেটাই হবে সবচাইতে ভালো যাতে তিনি পরিশোধ করতে সক্ষম হয়ে থাকেন। তাছাড়া আপনাদের ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিয়ে করতে হলো সরকারিভাবে বিয়ের জন্য নিবন্ধন রেজিস্টার করতে হবে। এই ক্ষেত্রে বিবাহের অনুষ্ঠানে একজন কাজী উপস্থিত থাকবেন এবং তিনি বিবাহের যাবতীয় তথ্য তিনি সরকারি খাতায় লিপিবদ্ধ করে এই তথ্যগুলো নিবন্ধন করবেন যাতে পরবর্তীতে ওয়ার সংক্রান্ত অথবা অন্য সরকারি সুযোগ সুবিধা সংক্রান্ত সমস্যা না হয়ে থাকে। মূলকথা হলো এই পবিত্র সম্পর্ক গঠনের জন্য প্রত্যেকটি মানুষের সম্মতি থাকতে হবে এবং সকলেই যাতে এই নতুন দুই জীবনের জন্য দোয়া করে তাদের পরবর্তী জীবন সুখে শান্তিতে কাটাতে পারে এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে কাজ করতে হবে।
Leave a Reply