বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলে অবস্থিত একটি জেলা হিসেবে খুলনা পরিচিত এবং এটা একটা বিভাগীয় জেলা। তাই আপনারা যারা খুলনায় বসবাস করেন অথবা বাইরের জেলার মানুষ খুলনা এসে বসবাস করছেন তাদের সুবিধার্থে খুলনা জেলার মানচিত্র পিডিএফ ফাইল আকারে ডাউনলোড করার ব্যবস্থা করা হলো। আশা করছি এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা খুলনা জেলার মানচিত্র পিডিএফ ফাইল আকারে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন এবং যে উদ্দেশ্যে এই মানচিত্র সংগ্রহ করতে এসেছেন সেই উদ্দেশ্য আপনাদের সফল হবে।
খুলনা জেলার অবস্থান এবং এর অভ্যন্তরে যে সকল উপজেলা রয়েছে সেগুলোর নাম জেনে নেওয়ার পাশাপাশি আপনারা অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এখান থেকে জেনে নিতে পারলে নিজের সাধারণ জ্ঞানকে বৃদ্ধি করে রাখতে পারবেন। তাই খুলনা জেলার মানচিত্র এখান থেকে ডাউনলোড করে নিন এবং দেশের তৃতীয় বৃহত্তম নগর হিসেবে পরিচিত এখানকার মানচিত্র সংগ্রহ করে রাখতে পারলে জীবনের কোন না কোন মুহূর্তে কাজে আসবে।
খুলনা নদীর উপর দিয়ে বয়ে চলেছে তিনটি নদী এবং এই তিনটি নদীর নাম হল রুপসা, ভৈরব এবং ময়ূর নদী। প্রাচীনকালে যেহেতু যাতায়াতের এবং পণ্য আনা নেওয়ার ক্ষেত্রে একমাত্র ব্যবস্থা হিসেবে নদী বন্দর গুলোকে ব্যবহার করা হতো সেই হিসেবে এটা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং বাণিজ্যিক শিল্প এলাকা। ব্যস্ততম নদী বন্দর গুলোর ভেতরে যে নদী ছিল তার মধ্যে খুলনা জেলার ভেতরে অবস্থিত অনেক গুরুত্বপূর্ণ নদী ছিল। তাছাড়া দেশের বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর হিসেবে পরিচিত পশুর নদীর তীরে যে নদীবন্দর রয়েছে তা খুলনা জেলার ভেতরে অবস্থিত।
বর্তমান সময়ে খুলনা শহরে যদি আপনি পৌঁছাতে চান তাহলে দেখা যাবে যে সড়ক পথে এর দূরত্ব অনেক কমে এসেছে এবং পদ্মা সেতু স্থাপিত হওয়ার পর থেকে এই দূরত্ব ২১২ কিলোমিটার দাঁড়িয়েছে। স্থূল পথ ছাড়াও আকাশ পথ এবং জলপথ ব্যবহার করে বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করা যাবে।
তাছাড়া বাংলাদেশ রেলওয়ে পরিষেবার মাধ্যমে আপনারা খুলনা জেলার ভেতরে অন্যান্য জেলার মধ্যে আন্তঃসংযোগ স্থাপন করতে পারবেন। তাই খুলনা জেলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা জেলা এবং এই জেলাতে বিভিন্ন ধরনের ঐতিহাসিক নিদর্শন থাকার পাশাপাশি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা মেডিকেল কলেজ রয়েছে। এছাড়াও এখানে বিভিন্ন ধরনের উন্নতিমূলক কাজের জন্য খুলনা নগর ভবন স্থাপিত হয়েছে।
প্রাচীনকালে বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষিতে খুলনা নগরীকে ডাকা হতো শিল্পনগরী অথবা সাদা সোনার শহর। এছাড়াও সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত এই খুলনা নগরীতে আমরা যখন পৌঁছায় তখন অনেকেই সুন্দরবন না দেখে ফিরে আসি না। ১৯৯০ সালে সিটি কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে খুলনা শহরের ভাবমূর্তি এবং সৌন্দর্যের পরিবর্তন আসে।
বর্তমান সময়ে এখানকার অনেক উন্নতি সাধিত হয়েছে এবং এখানকার শিক্ষার হারের ক্ষেত্রেও অনেক তথ্য এবং পরিসংখ্যান বৃদ্ধি পেয়েছে। তাছাড়া খুলনা জেলার ঐতিহাসিক নিদর্শন হিসেবে খানজাহান আলীর মাজার যেমন রয়েছে তেমনি ভাবে তাঁর স্থাপিত ষাট গম্বুজ মসজিদ পৃথিবীর অন্যতম সৌন্দর্যের একটি নিদর্শন। তাছাড়া খুলনা জেলার কিছু অংশ জুড়ে সুন্দরবন রয়েছে বলে অনেকেই এই জেলাটি কে খুব সহজে চিনে থাকেন।
তবে যাই হোক আপনারা যেহেতু খুলনা জেলার মানচিত্র ডাউনলোড করার মধ্য দিয়ে ব্যক্তিগত জীবনে বিভিন্ন তথ্য জানতে চান সেহেতু এটা ডাউনলোড করে নেওয়াটাই ভালো হবে। আপনাদের উদ্দেশ্যে আমরা খুলনা জেলার মানচিত্র এই কারণে প্রদান করলাম যে যারা বাইরে থেকে এই জেলাতে আসবেন এবং বিভিন্ন জায়গায় যেতে চাইবেন তাদের জন্য মানচিত্রটি প্রয়োজন হবে।
কারণ এখানে বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থানের অবস্থান এবং অনেক উপজেলার নাম প্রদান করা আছে। তাই খুলনা জেলার মানচিত্র আপনি যদি সংগ্রহ করে রাখতে পারেন তাহলে এটা আপনার ব্যক্তিগত প্রয়োজনে কাজে আসবে। তাছাড়া আপনি যদি ফিল্ড পর্যায়ের কাজ করে থাকেন তাহলে খুলনা জেলার বিভিন্ন জায়গায় যেতে আপনার এই মানচিত্র অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
Leave a Reply