সাধারণত ডায়াবেটিস আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক একটি রোগ। রাতে শর্করার পরিমাণ অতিরিক্ত বেড়ে গেলে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়। তাই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আগেই সচেতন হওয়া উচিত এবং সকলকে চেষ্টা করা উচিত নিজের শরীরের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতেন। নিজের শরীরের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে হলে সবার কথা আপনাকে যে কাজটি করতে হবে সেটা হচ্ছে নিজের খাবারের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে।
কোন খাবারগুলো আপনি পেট ভরে খেতে পারেন এবং ডায়াবেটিস হবে না সে সম্পর্কে যদি আপনার জ্ঞান থাকে তাহলে আপনি সুস্থও থাকতে পারবেন এবং ডায়াবেটিস থেকে দূরে থাকতে পারবেন। সাধারণত আমাদের অনেকের মাঝে এমন একটি ধারণা আছে যে যত বেশি কম খাওয়া যাবে তত বেশি সুস্থ থাকা যাবে। তবে বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত যে এটা একেবারেই ভুল ধারণা আপনি যতটা কম খাবেন আপনার শরীর তত বেশি দুর্বল হবে এবং আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ততটাই কমে যাবে।
তখন আপনার শরীরে ডায়াবেটিস হবে না কিন্তু ডায়াবেটিসের থেকে বড় অসুখ আঘাত হানবে যেটা আপনি শারীরিকভাবে মোকাবেলা করতে পারবেন না। তাই না খাওয়ার প্রবণতা ছেড়ে দিন এবং খাওয়ার চেষ্টা করুন কিন্তু যেটাই খাবেন সেটা যেন খাটি এবং ভেজালমুক্ত হয় এবং যেটা খেলে আপনার শরীর সুস্থ থাকবে সেই জিনিসটা খান। অবশ্যই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে এবং ডায়াবেটিস থেকে মুক্ত থাকতে আপনি যে খাবারগুলো খেতে চাচ্ছেন তার একটি তালিকা আমাদের কাছে আছে এবং এই তালিকা থেকে আপনারা খুব সুন্দর ভাবে জানতে পারবেন কোন খাবারগুলো খেলে ডায়াবেটিস হওয়ার প্রবণতা কম থাকে।
কোন খাবার খেলে ডায়াবেটিস হবে না
সবার প্রথমে বলতে চায় আপনি চিনি জাতীয় খাবার বর্জন করুন তার কারণ হলো চিনি জাতীয় খাবার ডায়াবেটিস হবার মূল কারণ। অনেকে মনে করেন চিনি জাতীয় খাবার বলতে শুধু বোঝানো হয়েছে চিনিকে এছাড়াও অন্যান্য যে মিষ্টি জাতীয় খাবার আছে সেগুলোকে বলা হয়নি। তবে এটা ভুল ধারণা যে খাবারে বেশি চিনি রয়েছে এবং মিষ্টি রয়েছে সেই খাবারগুলো একেবারেই বর্জন করতে হবে এটা হতে পারে ফলমূল এটা হতে পারে বিভিন্ন ধরনের শস্য সবগুলোকে আপনাকে বর্জন করতে হবে।
চিয়া বীজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। যদিও চিয়া বীজ বাংলাদেশের কোন শস্য নয় এটা উত্তর আমেরিকাতে চাষ করা হয় তবে গোটা বিশ্বব্যাপী যে খাবারের গবেষণা চালানো হয় তার মধ্যে শীর্ষ কয়েকটি খাবারের মধ্যে এই বীজ রয়েছে। এই খাবারে সবথেকে ভালো দিক হলো আপনি যে কোন খাবারের সঙ্গে এটা মিশিয়ে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখে খেয়ে নিতে পারেন। এটা আপনার শরীরের ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে এবং এখানে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি এবং ফ্যাটি এসিড যা আপনার শরীরের জন্য খুবই ভালো কার্যকরী কিছু উপাদান।
ডায়াবেটিস কে দূরে রাখতে নিয়মিত টক দই খাওয়ার চেষ্টা করুন। টক দই প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে এবং টক দই রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভালো ব্যাকটেরিয়া। এর পাশাপাশি টক দই হচ্ছে দুগ্ধ জাতীয় খাবার এবং এই টক দই চিনি পরিমাণ খুবই কম যেটা আপনার শরীরের জন্য সবথেকে বেশি উপকারী খাদ্য উপাদানের মধ্যে একটি। সিম জাতীয় খাবার অথবা শুঁটি জাতীয় খাবার ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে উপযুক্ত একটি খাবার। অতিরিক্ত সোডিয়াম যুক্ত সিম নয় সিম এ রয়েছে গ্লুকোজ উপাদান কিন্তু সেটা খুবই কম। রক্তের সুগারে নিয়ন্ত্রণে সিম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তাই আপনি চাইলে এই খাবারটি খুব সুন্দর ভাবে খেতে পারেন।
পৃথিবীতে বেরি জাতীয় খাবার বহু রয়েছে। এই খাবারগুলোতে প্রচুর পরিমাণে এমন কিছু উপাদান সমৃদ্ধ রয়েছে যে উপাদানগুলোকে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে অনেক বেশি ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়। এর পাশাপাশি কুমড়ো বীজ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ অনেক বেশি ভূমিকা পালন করে তাই নিয়মিত কুমড়ো বীজ খান যেটা খেতে অনেক সুস্বাদু একটি খাবার। আপেল ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার। আপেলে প্রচুর পরিমাণে আঁশ রয়েছে এবং এটা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে পারে প্রায় ২৭%। খেজুর আমাদের প্রিয়নবীর অনেক পছন্দের একটি খাবার এই খাবারটি আমরা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে খেতে পারি।
Leave a Reply