সাধারণত কোষ্ঠকাঠিন্য আমাদের জন্য অনেক কষ্টের একটি ব্যাপার। কোষ্ঠকাঠিন্য এমন একটি জিনিস শিশু বাচ্চা থেকে শুরু করে বুড়ো বয়স্ক মানুষদের মধ্যে এই রোগের বিস্তার রয়েছে। স্বাভাবিক চোখে দেখলে মূলত এটা কিছুই না। কিন্তু এটা যদি দীর্ঘ সময় ধরে আপনার শরীরে থেকে যায় তাহলে এটা আপনার বিভিন্ন অস্বস্তির কারণ এবং অনেক বড় ধরনের অসুখ-বিসুখের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
সাধারণত যারা বহুদিন ধরে কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে ভুগছেন তাদের হাতের কাছে এমন কিছু জিনিস আছে যেগুলো নিয়মিত সেবনের মাধ্যমে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্য অথবা পায়খানা শক্ত হওয়ার সমস্যা নির্মূলে সবার থেকে বেশি কাজ করে হাতের আশেপাশে থাকা এই খাদ্য উপাদান গুলো। যেগুলোর নিয়মমাফিক নিয়মিত সেবনে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়া আপনি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে পারবেন। তবে এর জন্য অনেক তথ্য আপনাকে জানতে হবে এবং অনেক কিছু মেনে চলতে হবে।
কি খেলে বাচ্চাদের পায়খানা নরম হবে
সাধারণত কোষ্ঠকাঠিন্যতা এমন একটি জিনিস যেটা ছোট বাচ্চাদের দেখা যায়। শিশু বাচ্চা এখন পর্যন্ত দুনিয়ার কিছুই শিখতে পারেনি সে হঠাৎ করেই কষা পায়খানাতে অনেক বেশি কষ্ট করে। বাবা-মা হিসেবে আপনার দায়িত্ব সন্তানকে একটি সুস্থ শরীর উপহার দেওয়া এবং এটাতে আপনি তাকে সাহায্য করতে পারেন। এর জন্য অবশ্যই আপনাকে তার খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন আনতে হবে এবং চেষ্টা করতে হবে তাকে সব সময় শাকসবজি খাওয়াতে।
আপনি যদি একজন ভালো শিশু স্পেশালিস্ট ডাক্তারের কাছে যান এবং এই সমস্যার কথা বলেন তাহলে তিনি বলবে এটা একেবারে স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে দীর্ঘদিন ধরে যেন সেই বাচ্চা কোষ্ঠকাঠিন্যতায় না ভোগে সেটা লক্ষ্য রাখা বাবা-মায়ের দায়িত্ব। তার জন্য চেষ্টা করতে হবে তাকে একেবারেই তেল যুক্ত খাবার বর্জন করে এবং আঁশযুক্ত শাকসবজি বেশি বেশি খাওয়াতে। এছাড়া প্রচুর পরিমাণে পানি খাওয়াতে এবং নিয়মিত খেলাধুলা করাতে। এই নিয়মগুলো মানলেই মূলত কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে দূরে থাকা যায়।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায়
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো সব থেকে বেশি কার্যকরী। আদিম কাল থেকে এই ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করে মানুষ কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে আরাম পাচ্ছে এবং কোন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়া এই ঘরোয়া পদ্ধতিতে থাকা উপকরণ গুলো অল্প মূল্যে আমরা পেয়ে যাচ্ছি। তাই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ঘরোয়া পদ্ধতি সারা জীবন ছিল এবং সারা জীবন থাকবে আশা করা যায়।
আপনারা প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। শুধুমাত্র যে সাদা পানি পান করবেন এমন নয় তরল জাতীয় খাবার খান এবং প্রচুর পরিমাণে আঁশযুক্ত খাবার খাবার চেষ্টা করুন। আঁশ যুক্ত খাবারের মধ্যে আপনার খাদ্য তালিকায় থাকতে পারে গোটা শস্য এর পাশাপাশি শাকসবজি ফলমূল ও অন্যান্য ফল যেমন পেঁপে এই ধরনের খাবার।
মানসিক চাপ মুক্ত থাকতে হবে। এটা একমাত্র আপনার নিজের ওপর নিজের কন্ট্রোলের ফলে হবে। আপনাকে যে যতই বলুক না কেন আপনি যদি নিজে থেকে নিজের মানসিক প্রশান্তি নিয়ে আসছেন না পারেন তাহলে কোন ভাবে আপনি সুস্থতা অনুভব করবেন না। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে দুশ্চিন্তা বা মানসিক চাপমুক্ত থাকতে হবে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সবথেকে ঘরোয়া পদ্ধতির মধ্যে বেশি ব্যবহৃত হয় ইসবগুলের ভুসি এছাড়াও অ্যালোভেরা ও ঘৃতকুমারীর মতো ঘরোয়া টোটকা। এ টোটকা গুলো আপনি নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও এর পাশাপাশি ইসবগুলের ভুষির সাথে অনেকেই চিয়া সিড ব্যবহার করতে পারেন। কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূর করতে সবার প্রথমে আপনাকে যে কাজটি করতে হবে সেটা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ব্যথা নাশক ওষুধ ঘনঘন খাওয়া যাবে না। আয়রন ও ক্যালসিয়ামের বড়ি ঘন ঘন খাওয়া যাবে না। ফাস্টফুড জাতীয় খাবার একেবারেই বর্জন করতে হবে এবং কফি জাতীয় খাবার পরিত্যাগ করতে হবে।
Leave a Reply