যাদের উচ্চতা ভালো এবং শারীরিক দিক থেকে স্বাস্থ্যবান তারা অনেকে হয়তো সেনাবাহিনীতে চাকরি করার জন্য নির্দিষ্ট দিনে সেনাবাহিনীর লাইনে দাঁড়ান এবং সেখান থেকে অনেকের হয়তো চাকরি হয়ে যায় অথবা অনেকে রিজেক্টটেড হয়ে যান। সে ক্ষেত্রে অনেকেই উচ্চতা ভালো থাকা সত্ত্বেও জানতে চান কি কি সমস্যা থাকলে সেনাবাহিনীর চাকরি হয় না অথবা কি কি সীমাবদ্ধতা এক্ষেত্রে রয়েছে। তাই আপনাদের জন্য আজকে আমাদের ওয়েবসাইটে কি কি সমস্যা থাকলে সেনাবাহিনীর চাকরি হয় না সে সম্পর্কিত তথ্য আলোচনা করব।
কারণ অনেকের দেখা যায় যে পর্যাপ্ত পরিমাণে উচ্চতা রয়েছে এবং শারীরিক দিক থেকে সকল বিষয়গুলো ফিটকার্ট থাকলেও অনেক সময় সেখানে বিশেষ কিছু পরীক্ষার মাধ্যমে আপনার শরীরের ত্রুটি গুলো বের করে এবং এর মাধ্যমে আপনি রিজেক্টটেড হয়ে যান। আর সেজন্য আপনারা যদি ঘরে বসে আপনাদের সমস্যা গুলো বুঝতে পারেন তাহলে দেখা যাবে যে সেনাবাহিনীতে আপনার চাকরি হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু রয়েছে অথবা কোন ধরনের সমস্যা না থাকলে আপনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সেনাবাহিনীর লাইনে দাঁড়াতে পারবেন এবং সেখানে আপনার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার মাধ্যমে এবং অন্যান্য পরীক্ষার মাধ্যমে আপনাকে উত্তীর্ণ করিয়ে সেনাবাহিনীতে চাকরি প্রদান করা হবে।
তাহলে চলুন আমরা কথা না বাড়িয়ে জেনে নিয়ে কি কি সমস্যা থাকলে অথবা কি যোগ্যতা থাকার পরে অনেক সময় সেনাবাহিনীর চাকরির ক্ষেত্রে বাদ দেওয়া হয়। সাধারণত যে সার্কুলার আসবে সেই সার্কুলার অনুসারে আপনার যদি এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৩.০০ পেয়ে থাকেন তাহলে আপনি আবেদন করতে পারবেন। তাছাড়া আপনার উচ্চতার দিক থেকে ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি এবং বুকের মাপ ৩২ ইঞ্চি হলে আপনি আবেদন করতে পারবেন। এগুলো হলো সাধারণ দিকনির্দেশনা এবং এগুলোতে যদি আপনি উত্তীর্ণ হতে পারেন তাহলে সেনাবাহিনীর লাইনে যখন দাঁড়াবেন তখন আপনার শারীরিক অন্য কোন সমস্যা থাকলে আপনাকে হয়তো বাদ দেওয়া হতে পারে।
সে ক্ষেত্রে কি কি সমস্যা থাকলে বাদ দেওয়া করতে পারে তা জেনে নেওয়ার চেষ্টা করি। আপনি যখন সেনাবাহিনীর লাইনে দাঁড়াবেন তখন আপনি যদি সোজা হয়ে দাঁড়ানোর পরে আপনার দুই হাতের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাঁকা না থাকে তাহলে আপনাকে ক্ষেত্রে বাদ দেওয়া হবে। অনেকের শারীরিক উচ্চতা এবং বুকের মাপ এবং অন্যান্য দিক থেকে সঠিক থাকলেও চোখের সমস্যার কারণে অথবা চোখের দৃষ্টি শক্তি কম থাকলে বাদ দেওয়া হতে পারে। তাছাড়া আপনার উচ্চতা পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকার পরেও যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে ওজন না থাকে তাহলে এই ক্ষেত্রে আপনাকে যোগ বলে বিবেচিত করবে না।
নিজের ইচ্ছাকৃত শরীরের কোন কাটা দাগ যদি তারা দেখতে পায় অথবা বড় ধরনের এক্সিডেন্টের কারনে আপনার শরীরে যদি কোন ধরনের কাটার দাগ থেকে থাকে তাহলে আপনাকে ক্ষেত্রে বাদ দেওয়া হবে। যদি আপনার দাঁতে কোন সমস্যা থাকে অথবা দাঁতভাঙ্গা থাকে তাহলে মেডিকেল ডাক্তার যদি আপনাকে অযোগ্য বলে বিবেচিত করে তাহলে কিছু করার নেই এবং আপনার যদি নাকে পলিপাস থাকে তাহলে আপনাকে ক্ষেত্রে বাদ দেয়া হবে।
আপনার পিতা-মাতা যদি কখনো রাষ্ট্রদ্রোহী কাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকে তাহলে সেই হিসেবে অনুযায়ী আপনাকে সেনাবাহিনী পদে নিয়োগ করা হবে না। এ সকল শারীরিক যোগ্যতা থাকার পরেও আপনার লিখিত পরীক্ষা এবং ভেবে পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে এবং অনেক সময় দেখা যায় যে আপনার শারীরিক যোগ্যতা আছে এবং লিখিতভাবে পরীক্ষা নূন্যতম পান পেয়ে পাস করেছেন, সেক্ষেত্রে আপনাকে চূড়ান্ত নিয়োগ প্রদান করা হবে। আর যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও লিখিত পরীক্ষা এবং ভাইভা পরীক্ষায় কেউ বেশি নাম্বার পেয়ে থাকে তাহলে দেখা যাবে যে প্রাপ্ত নাম্বারের ভিত্তিতে আপনাকে মনোনীত করা হবে।
যদি একই দিনে পর্যাপ্ত সংখ্যক লোকের চাইতে অধিক পরিমাণ লোক থাকে এবং প্রত্যেকে যদি শারীরিক দিক থেকে ফিট হয় এবং অন্যান্য দিক থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ নাম্বার পেয়ে থাকে তাহলে তাদের মধ্য থেকে যারা ভাল নম্বর অর্জন করতে পেরেছে এবং ভালো সুস্বাস্থ্যের অধিকারী তাদেরকে চূড়ান্ত ভাবে নিয়োগ দেওয়া হবে।আমরা মনে করি যে এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা সেনাবাহিনীতে কোন কোন সমস্যা থাকলে বাধ্য হতে পারে তা বুঝতে পেরেছেন এবং এক্ষেত্রে আপনার এই বিষয়গুলো যদি ঘরে বসে চেক করতে পারেন তাহলে দেখা যাবে যে আপনার চাকরি হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু রয়েছে।
Leave a Reply