বাংলাদেশের সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে যে গ্রেডে চাকরি পেয়ে থাকে সেই গ্রেটে চাকরির ক্ষেত্রে কত টাকা বেতন নির্ধারণ করা হয়েছে তা আজকের এই পোস্ট থেকে জেনে নিবেন। আপনারা অনেকে আছেন যারা সরকারি চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন এবং বিভিন্ন চাকরিতে আবেদন করেছেন। তবে যখন আপনারা আবেদনপত্র দেখে চাকরির জন্য আবেদন করে থাকেন তখন সেখানে বেতন স্কেল লেখা থাকে। সেই বেতন স্কেল ছাড়াও আরো অন্যান্য ক্ষেত্রে বিশেষ সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হয় যেগুলো বেদনের সাথে সংযুক্ত হয়ে প্রত্যেক মাসে আপনাদেরকে প্রদান করা হয়।
তবে যাই হোক আপনি যখন আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করেছেন এবং এই ভিজিট করার ফলে বাংলাদেশের সরকারি চাকরির গ্রেডের বিভিন্ন বেতন এর পরিমাণ সম্পর্কে তথ্য জানতে চেয়েছেন সেহেতু এই পোষ্ট শেষ পর্যন্ত পড়লে বুঝতে পারবেন। নিচের দিকে আপনাদের জন্য কোন গ্রেডের কত বেতন এবং ২০২৪ সালে তা কত টাকা এগিয়ে দাঁড়িয়েছে তা জেনে নিবেন।
বাংলাদেশ সরকার ২০১৫ সালে সর্বশেষ বেতনের গ্রেড আপডেট করেছে এবং সেই বেতন গ্রেড অনুসরণ করে বর্তমান সাল পর্যন্ত বেতন প্রদান করা হচ্ছে। প্রথম গ্রেট থেকে শুরু করে ২০ তম গ্রেডের বেতন কত টাকা তা আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটের প্রদান করার লিস্ট থেকে জানতে পারবেন এবং এখান থেকে বেতনের পাশাপাশি অন্যান্য কি কি ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হয় তাও জেনে নিতে পারবেন। আমরা মনে করি যে আপনাদের এই ধরনের ধারণা অর্জন হলে আপনারা বিভিন্ন গ্রেড সম্পর্কে ধারণা অর্জন করতে পারবেন এবং কোন গ্রেডে কত টাকা বেতন প্রদান করা হয় সে বিষয়ে আপনাদের ভেতরে সঠিক ধারণা চলে আসবে।
বাংলাদেশের সরকারি চাকরির নিয়ম অনুসরণ করে চারটি ধাপে চাকরিজীবীদের ভাগ করা হয়ে থাকে। প্রথম গ্রেড থেকে শুরু করে নবম গ্রেড পর্যন্ত ফার্স্ট ক্লাস ধরা হয়। যেটা দশম গ্রেডের চাকরি সেটাকে দ্বিতীয় ক্লাসে চাকরি ধরা হয় এবং ১১ গ্রেড থেকে ১৬ গ্রেড পর্যন্ত তৃতীয় শ্রেণীর চাকরি ধরা হয়। আর যারা ১৭ থেকে ২০ গ্রেডের চাকরি করেন তাদেরকে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী বলা হয়। তবে কোন শ্রেণীর কর্মচারী এটা নির্ভর না করে কোন গ্রেডে চাকরি করছে তার ওপরে নির্ভর করে বেতন প্রদান করা হয়ে থাকে। আপনারা যখন চাকরির জন্য আবেদন করে থাকেন তখন সেই আবেদনের পদের নিচেই লেখা থাকে সেটা কোন গ্রেডে চাকরি এবং সেটার স্টার্টিং স্যালারি কত হবে এবং চাকরি শেষ সময়ে স্যালারি কত টাকা হবে।
চাকরির নিয়ম অনুসরণ করে প্রত্যেক বছর ৫% ইনক্রিমেন্ট বৃদ্ধি পেতে থাকে। অর্থাৎ সরকারি বেতনের মূল হিসাব অনুযায়ী আপনাকে যে বেসিক প্রদান করা হবে সেই বেসিক থেকে প্রত্যেক বছর শতকরা হিসেবে 5% ইনক্রিমেন্ট বা বেতন বৃদ্ধি পাবে। বেতনের সঙ্গে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা সেখানে প্রদান করা হবে এবং সেই সকল সুযোগ-সুবিধা আস্তে আস্তে ক্রমানুসারে প্রত্যেক বছর জুন মাসে বৃদ্ধি পেয়ে যাবে। আপনি যখন যে পোস্টে চাকরি করে থাকুন না কেন অথবা যে গ্রেডেরই চাকরি করে থাকুন না কেন আপনাকে যে সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হবে তার মধ্যে যে ব্যাটিং বেতন রয়েছে তার থেকে শতকরা 10 ভাগ বেতন প্রত্যেক বছর কেটে নেওয়া হবে।
আপনার থেকে শতকরা ১০ ভাগ যে বেতন কেটে নেওয়া হচ্ছে সেটা প্রভিডেন্ট ফান্ড হিসেবে সংযুক্ত হবে এবং প্রত্যেক বছর আপনাদেরকে মোট চারটি করে বোনাস দেওয়া হবে। তিনটি বোনাস আপনাদেরকে মূল বেসিকের সমান প্রদান করা হবে এবং একটি বোনাস বেতনের শতকরা ২৫ ভাগ প্রদান করা হবে। এছাড়াও আপনারা অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ভেতরে ভেতরে বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা সন্তানের লেখাপড়ার খরচ এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পাবেন। তাই আপনারা যখন মূল বেতন সম্পর্কে ধারণা অর্জন করতে পারবেন তখন মূল বেতনের সঙ্গে অন্যান্য হিসাব যদি সংযুক্ত করেন তাহলে সকল তথ্য সঠিকভাবে সংগ্রহ করে নিতে পারবেন।
Leave a Reply