প্রত্যেক বছর রমজান মাসের শেষ দশ দিনে লাইলাতুল কদর পালন করা হয়ে থাকে। আপনি যদি লাইলাতুল কদরের ইবাদত করতে চান এবং বিভিন্ন ধরনের আমল করতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের এই পোস্ট আপনাদেরকে সাহায্য করবে। পবিত্র রমজান মাস কোরআন নাজিলের মাস এবং পবিত্র লাইলাতুল কদরের রাতে কুরআন নাযিল হয়েছে সেহেতু এই রাতটিকে আমরা হাজার বছরের চেয়ে উত্তম রাত হিসেবে মনে করে থাকি।
এই রাতে একটি মহিমান্বিত রাত এবং হাজার বছরের মাসের রাতের চেয়েও উত্তম রাত হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে বলে আমরা এই রাতে নিজেদের যাবতীয় কাজ শেষ করে ইবাদত করতে চাই। বিশেষ করে আমাদের দেশ মুসলিম প্রধান দেশ হওয়ার কারণে এই বিশেষ রাতটি পালন করার জন্য পরের দিন অফিস আদালত ছুটি প্রদান করা হয়ে থাকে। যাইহোক আপনি যখন লাইলাতুল কদরের রাতের ইবাদত এবং আমল সম্পর্কে জানতে চাইবেন তখন আপনাদেরকে এ বিষয়ে সঠিক তথ্য জানিয়ে দেব।
আমাদের সর্বশেষ নবী এবং সর্বকালের শ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত মুহাম্মদ সাঃ সব সময় লাইলাতুল কদরকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রদান করেছেন। তিনি যেহেতু লাইলাতুল কদরের রাত্রি পাওয়ার চেষ্টা করেছেন সেহেতু রমজান মাসের প্রথম ১০ দিন অপেক্ষা করেছেন এবং লাইলাতুল কদরের জন্য ইবাদত করেছেন।
এভাবে প্রথম দশ রাত এবং দ্বিতীয় দশ রাত লাইলাতুল কদর পাওয়ার জন্য ইবাদত করার পাড়েও যখন এটা পাননি তখন ঘোষণা এসেছে যে এই লাইলাতুল কদর শেষ ১০ দিনের ভেতরে লুকায়িত আছে। তখন তিনি শেষ দশ রাত গীতিকার করার মাধ্যমে এই মহিমান্বিত রাত হওয়ার চেষ্টা করেছেন। রাতের বিশেষত্ব রয়েছে এবং একজন মুসলিমের জীবনে এই রাত বছরে একবার আসে সেহেতু অবশ্যই আপনারা এটা পালন করবেন।
পবিত্র লাইলাতুল কদর পাওয়ার জন্য আমাদের দেশে শুধু রমজান মাসের ২৭ তারিখে এটা পালন করা হয়ে থাকে। রমজান মাসের শেষ ১০ দিন বেজোড় রাতগুলোতে লাইলাতুল কদর যে কোন একদিন পালিত হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সেহেতু আপনি যদি লাইলাতুল কদর পেতে চান এবং হাজার বছরের চাইতেও শ্রেষ্ঠ একটা দিন হিসেবে এ রাতে ইবাদত করতে চান সেহেতু আপনাদেরকে অবশ্যই বিজোড় রাতগুলোতে ইবাদত বন্দেগী করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনারা ২১, ২৩, ২৫,২৭, ২৯ রমজানের দিবাগত রাতে এটা পালন করতে পারেন এবং যাবতীয় আমল ও ইবাদত বন্দেগী করতে পারেন।
এই আমল করার জন্য আপনারা রাতের বেলায় অর্থাৎ সেই দিবাগত রাতে মসজিদে উপস্থিত থেকে দুখূলিল মার্সিতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করতে পারেন। তারপরে আপনি দুই রাকাত দুই রাকাত করে 12 রাকাত নামাজ আদায় করবেন এবং শেষ রাতে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করবেন। যেহেতু প্রত্যেকটি মানুষের জীবনে তাহাজ্জুদের নামাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং মনের আশা এ পূরণ করার জন্য তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় জরুরী সেহেতু আপনি অবশ্যই এই নামাজ আদায় করতে ভুল করবেন না। সালাতুল তাজবি নামাজ আদায় করা যদি সম্ভব হয় তাহলে অবশ্যই আদায় করবেন। বিভিন্ন ধরনের জিকির-আজগার করতে পারেন এবং বেশি বেশি করে তওবা পাঠ এবং ইস্তিকফার পাঠ করতে পারেন।
আপনি যখন গভীর রাতে মহান আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য ধ্যানমগ্ন হয়ে থাকবেন এবং দুনিয়ার জীবনের ভুল ভ্রান্তি ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশি মনের যাবতীয় চাওয়া পাওয়া গুলো যখন আল্লাহ পাককে খাস দিলে জানাবেন তখন তিনি অবশ্যই আমাদের মনের আশা পূরণ করবেন। তাই আপনাদের জন্য আমরা বলব যে এই রাত যতটাই কষ্ট হোক আপনারা জাগবেন এবং জেগে উপরের দেখানো ইবাদতগুলো করবেন।
কারণ এই রাতে যদি আপনি পেয়ে থাকেন এবং আপনার ইবাদত যদি কবুল করা হয়ে থাকে তাহলে দেখা যাবে যে আপনি একজন ভাল মানুষ হিসেবে পরিগণিত হবেন। হিসেবে আমাদের জীবনের যে সকল গুরুত্ব রয়েছে সেগুলো যেমন পালন করতে হবে তেমনি ভাবে সকল ধরনের ফরজ কাজ করার পাশাপাশি দৈনন্দিন জীবনে আমাদেরকে সৎ থাকতে হবে।
Leave a Reply