উচ্চস্বরে কথা বলার কারণে আমাদের কি ক্ষতি হয়

উচ্চস্বরে কথা বলার কারণে আমাদের কি ক্ষতি হয়

আমরা যখন অনেক মানুষের মধ্যে বসবাস করি তখন দেখবো যে সেখানে অনেক মানুষ আছে যারা খুবই আস্তে আস্তে কথোপকথন চালিয়ে থাকে। তবে অনেক মানুষ আছে যারা অত্যাচারের কথা বলে থাকে এবং উচ্চস্বরে কথা বলার কারণে তাদের শব্দে আশেপাশের পরিবেশ গমগম করে। উচ্চস্বরে কথা বলার কারনে আমাদের কোন ক্ষতি হবে কিনা সে বিষয়ে সঠিক ধারণা প্রদান করব।

স্বাভাবিক দৃষ্টিকোণ থেকে উচ্চস্বরে কথা বললে এখন সমস্যা না হলেও পরবর্তীতে সমস্যা হবে কিনা এ বিষয়ে আপনারা জেনে নিতে পারলে আপনাদের জন্য অনেক সুবিধা হবে। তাই উচ্চস্বরে কথা বলার আগে চিন্তা ভাবনা করে কথা বলবেন এবং রাগের মুহূর্তেও আপনাদেরকে রাগ নিয়ন্ত্রণ করে শান্ত মেজাজে কথা বলাটাই সবচেয়ে ভালো হবে। উচ্চস্বরে কথা বললে কি ক্ষতি হয় তা আজকের এই পোস্ট থেকে জেনে নিন।

প্রত্যেকটি মানুষের গলার অথবা ভোকালের আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য থাকে। মানুষ তার নিজ ভোকাল দিয়ে কথা বলে এবং প্রত্যেকের ভোকাল আলাদা হওয়ার কারণে সকলের কণ্ঠস্বর যেমন এক না তেমনিভাবে সকলের কণ্ঠস্বর থেকে বের হওয়ার শব্দের মাত্রা এক নয়। তবে আমাদের আশেপাশে বাস করে এমন কিছু মানুষ রয়েছে যারা আস্তে কথা বললেও সেটা জোরে শোনায়। আপনি যখন উচ্চস্বরে কোন কথা বলবেন অথবা আপনার কথা যদি সকলের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে ফুটিয়ে তোলার জন্য জোরে জোরে কথা বলবেন তখনই জোরে কথা বলার কারণে কোন ক্ষতি হতে পারে কিনা তা জেনে নিবেন।

আমাদের কণ্ঠস্বর খুবই সূক্ষ্ম একটা বিষয় এবং এই কণ্ঠস্বর আমাদের যদি যত্ন না করে তাহলে এখানে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষ করে ঠান্ডার সময় আমরা বিভিন্ন ধরনের অসুবিধা ভোগ করে থাকি এবং এই অসুবিধা ভোগ করার জন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের ট্রিটমেন্ট গ্রহণ করি। আপনি যখন উচ্চস্বরে কথা বলবেন তখন আপনার ভোকালে যে ধরনের সুক্ষ রক্ত চলাচলের নালী রয়েছে সেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

অথবা আপনি যদি জোরে চিল্লাপাল্লা করে থাকেন তাহলে সেই নালীগুলো ছেড়ে যেতে পারে এবং সেখানে জ্বালা যন্ত্রণা হতে পারে। উচ্চস্বরে কথা বললে ক্ষতি হয় কিনা তাদেরকে বলব যে এটা ক্ষতি হয় কিছু কিছু ক্ষেত্রে এবং আপনি যখন অনেক জোরে কথা বলবেন তখন সেটা আপনার গলা ব্যথা হতে পারে।

কথা বলার ক্ষেত্রে শান্ত মেজাজে এবং ঠান্ডা স্বরে যদি কথা বলতে পারি তাহলে দেখা যাবে যে সেই কথা সকলেই মনোযোগ দিয়ে শুনছেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদে যারা থাকে তারা সব সময় নিম্ন পদের লোকজনদেরকে কাজের জন্য কৈফিয়ৎ প্রদান করতে হয়। এক্ষেত্রে দিন শেষে তাদের গলার ব্যথা হতে পারে। এই উচ্চস্বরে কথা বললে কণ্ঠস্বরের সূক্ষ্ম নালীগুলো ছেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি গলা ব্যথা হওয়াটা স্বাভাবিক। তাই গলার যত্ন নিতে হবে এবং ঠান্ডা জাতীয় কোন ধরনের খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি গরম গরম খাবার খেতে হবে এবং মাঝেমধ্যে চা খেলে গলা সুস্থ থাকবে।

তাছাড়া আপনি দৈনন্দিন জীবনে যে কাজই করে থাকুন না কেন নিজের গলার যত্নের জন্য একটু আস্তে কথা বললে এটা আপনার জন্য অনেক ভালো হয়। আপনি যখন আস্তে কথা বলবেন তখন সেই কথাটা একজন মানুষ যেমন মনোযোগ দিয়ে শুনতে পারবে তেমনি ভাবে আপনার কথার গুরুত্ব বুঝতে পারবেন। উচ্চস্বরে কথা বললেই যে একটা মানুষ আপনার কথা গুরুত্ব দিয়ে শুনবে বিষয়টা এরকম নয়। আপনি যখন ঠান্ডা মাথায় এবং ঠান্ডা সাথে কোন কথা বুঝিয়ে বলবেন তখন সেই কাজটি সবচাইতে ভালোভাবে হবে। তাই উচ্চস্বরে কথা বললে আমাদের এখন ক্ষতি না হলেও অল্প কিছুদিন পরেই ক্ষতি হবে এবং শীতের সময়ে অথবা ঠান্ডা জাতীয় খাবার থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি গলার যত্ন নিয়মিত ভাবে নিতে হবে।

About শাহরিয়ার হোসেন 4781 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*