
শিশুর নাম রাখা হয় মূলত পরিবারের সবাই মিলে। আগে পরিবার গুলো অনেক বড় ছিল এবং পরিবারের জ্যৈষ্ঠ সদস্যরা সবাই মিলে সন্তানের জন্য একটি সুন্দর নাম নির্ধারণ করতো। বর্তমানে ধীরে ধীরে বড় পরিবারগুলো ভেঙে ছোট হয়ে যাচ্ছে এবং শিশুদের নামগুলো রাখার প্রধান ভূমিকা পিতা-মাতারা পালন করছে। আগে নাম রাখার ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময় ধর্মীয়, সামাজিক ও পারিবারিক ঐতিহ্য ইত্যাদি বিষয় মাথায় রেখে নাম রাখা হতো।
বর্তমানে নাম রাখার ক্ষেত্রে মানুষের চাহিদা ও রুচির কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। আগের মত ধর্মীয় সামাজিক ইত্যাদি বিষয়গুলো অতটা বিবেচনা করা হয় না বরং যুগের সাথে তাল মিলিয়ে শিশুর জন্য নির্ধারণ করা হয় আধুনিক ও স্টাইলিশ নাম। এসব নামগুলো হাল ফ্যাশনের ট্রেন্ড অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়ে থাকে শিশুর জন্য পিতা-মাতারা নির্বাচন করেন।
ম দিয়ে হিন্দু ছেলেদের নাম
নাম রাখার কাজটি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখা হয় আর সচেতন অভিভাবকরা শিশুর নাম রাখার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সচেতনতা অবলম্বন করেন। যত দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করা হয় সেক্ষেত্রে প্রিয় পছন্দের একটি নাম বেছে নিতে হয় পিতা মাতাদের। পৃথিবীতে অসংখ্য নাম রয়েছে সেই সাথে এসব নামের ভিন্ন ভিন্ন নানান রকম অর্থ রয়েছে। উনি নিজের সন্তানের জন্য একটি মনের মত নাম খুঁজতে যাওয়া যায় তখন যেন আর সহজে পছন্দ করে বেছে নেওয়া যায় না নাম। নাম রাখার কাজটি আকর্ষণীয় আনন্দের হলেও নাম রাখাটা যতটা সহজ মনে করা হয় অতটা সহজ নয় বরং বেশ ঝামেলাপূর্ণ ও সময় ব্যয় করতে হয়।
বিভিন্ন ধর্মের নাম রাখা রীতিনীতি একটু আলাদা হলেও কিছু সাধারন দিক রয়েছে যেগুলো সবাই বিবেচনা করে। যেমন শিশুর নামের অর্থ যেন অবশ্যই পজেটিভ হয় তা না হলে একটি শিশু বড় হবার পরে নামের খারাপ অর্থ ও শিশুর স্বভাব চরিত্রের মধ্যে প্রতিফলিত হতে পারে যা মোটেও কাম্য নয়। তাছাড়া একটি সুন্দর নাম মানুষের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করে।
নাম যদি শুনতে শ্রুতিমধুর না হয় কিংবা নামের অর্থ যদি খারাপ কিছু প্রকাশ করে তখন সেই নাম নিয়ে একটি মানুষের বেশ বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হতে পারে যা একটি মানুষের মনোবল কমিয়ে দিতে যথেষ্ট। তাই শিশুর এমন কোন নাম রাখা উচিত নয় যার খারাপ প্রভাব একটি শিশুর মানসিক বিকাশ কে আঘাত করে। তাই নাম রাখার ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম চিন্তাভাবনা করা অতি আবশ্যক যেন শিশুর নাম সব মিলিয়ে বেশ সুন্দর হয় ও সকলের পছন্দ করে।
হিন্দু ধর্মের নাম রাখার ক্ষেত্রে ছেলে শিশুদের জন্য দেব দেবতা ও বড় বড় মনীষীদের নাম অনুসরণ করে নাম রাখা হয়। তাছাড়া রাশিফল, জন্মতিথি ইত্যাদি বিষয় বিশেষভাবে বিবেচিত হয়ে থাকে। এছাড়াও সামাজিক, পারিবারিক, ঐতিহ্যগত দিক বিবেচনা করেও নাম রাখতে দেখা যায়। শুধুমাত্র নাম দিয়ে চিহ্নিত করা যায় যে একটি মানুষ কোন ধর্মের অনুসারী আবার কোন জাতির মানুষ সেটাও নাম অনুসারে কিন্তু বোঝা যায়। তাই নামের গুরুত্ব একটি মানুষের জীবনের অপরিসীম।
দুই ও তিন অক্ষরের নাম
দুই অক্ষরের তিন অক্ষরের নাম গুলো অনেক জনপ্রিয় হয়ে থাকে বেশিরভাগ মানুষের নামের অক্ষর দুই অক্ষরের হয়। আজকে আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি স্বরবর্ণ ঈ দিয়ে হিন্দু ধর্মের ছেলে শিশুদের দুই অক্ষর ও তিন অক্ষরের নাম। যেহেতু দুই অক্ষর ও তিন অক্ষরের নামগুলো মানুষ বেশি পছন্দ করে থাকে তাই আমরা দুই অক্ষরের ও তিন অক্ষরে নাম গুলো সংগ্রহ করে অর্থসহ ক্রমান্বয়ে সাজিয়ে রেখেছি শুধুমাত্র আপনাদের সুবিধার জন্য। আপনাদের পছন্দের অক্ষর ঈ আমরা একগুচ্ছ নাম সংগ্রহ করেছি অর্থসহ। আশা করি যে এসব নাম গুলো আপনাদের অনেক পছন্দ হবে।
যখনই আপনাদের হিন্দু ধর্মের ছেলে শিশুদের জন্য ঈ অক্ষর দিয়ে দুই অক্ষরের ও তিন অক্ষরের নাম প্রয়োজন হবে আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারবেন। যেহেতু একটি অক্ষর দিয়ে এতগুলো নামের তালিকা অর্থসহ রয়েছে আশা করি যে আপনারা খুব সহজেই আমাদের ওয়েবসাইট থেকে আপনাদের কাঙ্খিত নামটি পছন্দ করে নিতে পারবেন। সময় ও শ্রম দুইটাই কম হবে এতে করে আপনাদের সেইসাথে মনের মতো একটি নাম খুব সহজেই পছন্দ করে নিতে পারবেন হিন্দু ধর্মের ছেলে শিশুদের জন্য।
Leave a Reply