
পৃথিবীতে সবচেয়ে শক্তিশালী শব্দ হচ্ছে মা। আর মাযের তুলনা কোন কিছু দিয়েই সম্ভব না৷ মায়ের তুলনা শুধুই মা। আর সামান্য কিছু শব্দ বা বাক্যের দ্বারা মাকে নিয়ে বলে শেষ করা সম্ভব না। মা। অনেক ছোট্ট একটি শব্দ। একটি মাত্র অক্ষরের নাম। কিন্তু এই নামটি মনে হয় পৃথিবীর সবচেয়ে আপন। এই নামের মাধুর্য্য যে কতটা বেশি তা বলে বা লিখে প্রকাশ করা সম্ভব নয়। একজন সন্তানের কাছে সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ তার মা। মা ছাড়া আসলে একজন সন্তানের কাছে অন্য কিছু এতটা মূল্যবান হতে পারে বলে আমি মনে করি না। বলা হয়ে থাকে মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেস্ত।
অনেক সময় দেখা যায় অনেকে মাকে নিয়ে বিভিন্ন কথা খুঁজে না। আপনি যদি মাকে নিয়ে বিভিন্ন কথা খুঁজে থাকেন, তাহলে আজকের পোস্টটি আপনার জন্য উপকারি হতে পারে৷ কেননা এই পোস্টটি মাকে নিয়ে বাস্তবধর্মী বিভিন্ন কথার দ্বারা সাজানো হয়েছে।
একটা হাদিসে পাওয়া যায় এমনটা যে একজন সাহাবি নবীজি (স) কে জিজ্ঞেস করেছিলেন যে কাকে সবচেয়ে বেশি সম্মান করতে হবে। নীজি (স) বলেছিলেন মাকে। আবার সেই সাহাবী বলেছিলেন তারপর কাকে। তখন নবীজি (স) বলেছিলেন মাকে। তারপর আবার সেই সাহাবী বলেছিলেন তারপর কাকে। তখনও নবীজি (স) তৃতীয়বারও বলেছিলেন মাকে। এবং চতুর্থবারে বলেছিলেন বাবাকে৷ তারমানে তিনবার মা তারপর একবার বাবার কথা বলেছিলেন। এখান থেকেই বুঝতে হবে মায়ের গুরুত্ব কতটা বেশি।
যেকোন বিপদে যাকে সবার আগে পাওয়া যায় সে হচ্ছে মা। যেকোন সফলতায় যে সবচেয়ে বেশি খুশি হয় সেও মা। সন্তানের জন্য মায়ের ভালোবাসা কখনো কমে না। সন্তানের মঙ্গলের জন্য মায়ের যে কি পরিশ্রম তা কখনো পরিমাপ করা সম্ভব হয় না। সন্তান জন্মদান থেকে শুরু করে সেই সন্তানের ভালো – মন্দ সবকিছুতে মায়ের অবদান সবচেয়ে বেশি। মাকে ছাড়া কোন সন্তানের জীবনই পরিপূর্ণ সুখী হতে পারে না। সন্তানের জীবনে মাযের ভালোবাসা হলো সবচেয়ে বড় আশীর্বাদ। তাই একজন সন্তান হিসেবে তার জীবনে সবচেযে গুরুত্বপূর্ন ব্যক্তি হিসেবে মাকে রাখা উচিত।
মাকে ছাড়া কোন পরিবারই পূর্ণতা পায় না। একটি সংসারকে মা যতটা আগলে রাখতে পারে, ততটা সুন্দর করে কেউ আগলে রাখতে পারে না৷ মা ই সবার ভালো- মন্দের বিষয়টি সবচেয়ে ভালো বুঝে৷ মায়ের মতো করে কেউ কখনো ভালোবাসতে পারে না৷ যত্ন নিতে পারে না। একজন সন্তানের কাছে সবচেয়ে ভরসার স্থল হলো তার মা৷ তাই মাকে কখনো কোন অবস্থাতেই কষ্ট দেওয়া উচিত না।
সন্তান যেমনই হোক না কেন। হোক সে পাগল অথবা অসুস্থ। সবাই তাকে ছেড়ে গেলেও মা কখনো তাকে ছেড়ে যায় না। যত কঠিক পরিস্থিতিই হোক না কেন মা সব সময় সন্তানকে আগলে রাখে। তাই প্রত্যেকটা সন্তানের উচিত মা যেমন ছোটবেলায় তাকে আগলে রেখেছে, ঠিক তেমন করেই শেষ বয়সে মাকেও আগলে রাখা। মায়ের সেবা করা। মাকে ভালো রাখা, তাকে ভালোবাসা। আর তাই তাকে বিদ্ধাশ্রমে না পাঠিয়ে তার যত্ন নিতে হবে। সবার সাথে বাসায় রাখতে হবে।
কিন্তু অনেক সময় অনেকেই মায়ের ভালোবাসার কথা মনে রাখে না। নিজেদেরকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। সফল হওয়ার পর অনেকেই ভূলে যায় যে তার সফলতার পিছনে কার অবদান সবচেয়ে বেশি ছিল। মা তার জন্য কত কিছু করেছিল এগুলো অনেকেই মনে রাখে না। আর তাই দেখা যায় সন্তানের কাছে যেই আশ্রয়টি সবচেযে নিরাপদ ছিল, সেই আশ্রয়স্থলটিকে অবহেলা করে কোন খোঁজ – খবর রাখে না। শেষ বয়সে তাকে যত্ন করে না।
মা যেমন করে সন্তানদের আগলে রাখে। ঠিক তেমনিভাবে প্রতিটা সন্তানের উচিত মাকেও আগলে রাখা। মায়ের সম্মান করা, সেবা-যত্ন করা।
Leave a Reply