সকাল সন্ধ্যার আমল কি কি

আপনারা যারা সকাল সন্ধ্যা আমল সম্পর্কে জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করেছেন তাদেরকে এই পোষ্টের মাধ্যমে নবী রাসুল (সা) যে পদ্ধতিতে সকাল সন্ধ্যার আমল করতেন তা জানিয়ে দেবো। সাধারণত আমরা আমাদের জীবনে অবশ্যই নবী রাসুলের সুন্নাহ মেনে চলবো এবং এক্ষেত্রে তিনি যে ধরনের আমলগুলো করতেন সেগুলো যদি আমরা করতে পারি তাহলে সবচাইতে ভালো হবে। আপনি যখন সকাল সন্ধ্যার আমল জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করেছেন তখন নবী-রাসূলের এই আমল সম্পর্কে আপনাদেরকে ধারণা প্রদান করলে আপনারা এগুলো করতে পারবেন এবং এই আমল করার ফলে বিভিন্ন ধরনের সুফল উপভোগ করতে পারবেন। ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিভিন্ন ধরনের ফরজ কাজ অবশ্যই পালন করার পাশাপাশি আমাদেরকে সুন্নত কাজগুলো পালন করতে হবে।

আমরা যেহেতু মুসলমান এবং আমাদের জীবন ব্যবস্থা ইসলামী শরীয়া মোতাবেক পরিচালনা করতে হবে সেহেতু প্রত্যেকটি কাজ যদি আমরা সঠিকভাবে করতে পারি তাহলে সবচাইতে ভালো হবে। মহান আল্লাহ পাক মানুষ এবং জিন জাতিকে সৃষ্টি করেছেন তাঁর ইবাদত করার জন্য। তাই আমরা দৈনন্দিন জীবনে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার পাশাপাশি প্রত্যেকটি কাজের ক্ষেত্রে ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে যদি চলতে পারি তাহলে জীবন হয়ে উঠবে সুন্দর এবং বরকতময়। মহান সৃষ্টিকর্তা এই পৃথিবীতে আমাদেরকে পাঠিয়েছেন পরীক্ষা দেওয়ার জন্য এবং এখানে থেকে আমরা কি ধরনের কাজগুলো করছি তার ওপরে আমাদের শেষ বিচারে বিচার করে নির্দিষ্ট জায়গায় রাখা হবে। তাই আপনি যখন আপনার পরকালের চিন্তা করছেন তখন ইহকালের চিন্তা করার সময়ই সুন্দর ভাবে তা কাটানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের আমল করাটা জরুরী।

আমরা এই পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করে মহান সৃষ্টিকপাকের একত্ববাদ যেমন গ্রহণ করে নিয়েছে তেমনি ভাবে আমরা যদি প্রত্যেকটি কাজ সঠিকভাবে করতে পারি এবং প্রত্যেকটি বিধি নিষেধ মেনে চলতে পারে তাহলে সেটা আমাদের জন্যই অনেক ভালো হবে। তাই আপনি যখন সৃষ্টি করতেন দেখানো পথে চলতে পারবেন অথবা নবী রাসুল যে ধরনের জীবন নির্বাহ করতে সেগুলো যদি আমরা করতে পারি তাহলে সবচাইতে ভালো হবে এবং এগুলো একজন মুমিনের পরিচয় হবে। তাই আপনার ইহকালকে সুন্দরভাবে কাটানোর পাশাপাশি পরকালের চিন্তা করতে হবে এবং সব সময় সৎ পথে থাকতে হবে ও আল্লাহ পাকের দেখানো পথে চলতে হবে।

তবে যাই হোক আপনারা যখন সকাল সন্ধ্যার ইবাদত বা আমল সম্পর্কে জানতে এসেছেন তখন বলব যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার পাশাপাশি বেশি বেশি করে ইস্তেগফার পাঠ করবেন। আপনারা আপনাদের মনের খায়েশ অনুযায়ী দোয়া করতে পারেন এবং এই দোয়াগুলো যদি কবুল হয় তাহলে আপনারাই দুনিয়ার জীবনে এবং পরকালে উপকার পাবেন। মহান আল্লাহ পাক যেহেতু এই পৃথিবীতে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য পাঠিয়েছেন সেহেতু এই পৃথিবীর বিভিন্ন ঝঞ্ঝা বিক্ষুব্ধ পরিবেশ উত্তোন হওয়ার মধ্য দিয়ে আমাদেরকে পরীক্ষায় অবশ্যই উত্তীর্ণ হতে হবে। তাই আপনারা নিজের দেখানো সকল সুন্দর এই আমলগুলো করতে পারলে সবচাইতে ভালো হবে এবং এর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের নফল ইবাদত গুলো করবেন।

আপনারা যখন আমাদের ওয়েবসাইটের এই পোস্ট ভিজিট করে বিভিন্ন ধরনের আমল সম্পর্কে জানতে এসেছেন তখন আপনাদেরকে এ বিষয়ে সঠিক তথ্য প্রদান করাটাই আমাদের কাজ। এ বিষয়ে হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ভোরে উপনীত হলে বলতেন-

أَصْبَحْنَا وَأَصْبَحَ الْحَمْدُ كُلُّهُ لِلَّهِ ، لا شَرِيكَ لَهُ ، لا إِلَهَ إِلا اللَّهُ ، وَإِلَيْهِ النُّشُورُ

তাই আপনারা উপরের উল্লেখিত আমল খুব সুন্দর ভাবে করুন এবং যথাযথ নিয়ম অনুযায়ী করলে এটা আপনাদের জন্যই প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে ভালো এবং মঙ্গলময় হবে।

আপনারা যখন সন্ধ্যার আমল সম্পর্কে জানার জন্য এসেছেন তখন নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে আমল করতেন তা নিচে আপনাদেরকে জানিয়ে দেওয়া হলো। নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সন্ধ্যায় উপনীত হলে বলতেন-

أَمْسَيْنَا وَأَمْسَى الْمُلْكُ لِلَّهِ ، وَالْحَمْدُ كُلُّهُ لِلَّهِ ، لا شَرِيكَ لَهُ ، لا إِلَهَ إِلا اللَّهُ ، وَإِلَيْهِ الْمَصِيرُ

তাছাড়া দৈনন্দিন জীবনে যাবতীয় অনিষ্ট থেকে বাঁচার জন্য আপনারা যখন বিভিন্ন ধরনের ইবাদত বন্দেগি করতে চাইবেন তখন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার পাশাপাশি অনিষ্ট থেকে বাঁচতে এই নিচের দোয়াগুলো করতে পারেন। অনিষ্ট থেকে বাঁচতে সকাল–সন্ধ্যার দোয়া

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় তিনবার বলবেন-

بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ، فِي الْأَرْضِ، وَلَا فِي السَّمَاءِ، وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ

উচ্চারণ : ’বিসমিল্লাহিল্লাজি লা ইয়াদুররু মাআসমিহি শাইউন ফিল আরদি ওয়া লা ফিস-সামায়ি ওয়া হুয়াস সামিউল আলিম।’