মাদ্রাসার দরখাস্ত লেখার নিয়ম

মাদ্রাসার দরখাস্ত লেখার নিয়ম

আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম । সাধারণত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দরখাস্ত লেখানো শেখানো হয় । আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ধরনের দরখাস্ত লিখতে দেওয়া হয়। সাধারণত শিক্ষার্থীদের কে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন দরখাস্ত লিখতে হয় কারণ তাদের দরখাস্ত পরীক্ষায় আসে। আর পরীক্ষার খাতায় না লিখতে পারলে ভালো নম্বর পাওয়া যাবে না । তাই তাদেরকে শেখানো হয়। কিন্তু তারপরেও অনেক শিক্ষার্থী দেখা যায় যে দরখাস্ত লিখতে ঠিকমতো পারে না বা দরখাস্ত কিভাবে লিখতে হবে সেই বিষয় অবগত থাকে না । এজন্য তারা বেশিরভাগ সময়ে ভুল করায় পরীক্ষায়ও ভালো নম্বর অর্জন করতে পারে না । তাই তারা যেন সঠিকভাবে দরখাস্ত লিখতে পারে এজন্যই আমাদের আজকের আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে । এই আর্টিকেলটা যদি আপনি দেখেন তাহলে এখান থেকে আপনি দরখাস্ত লেখার সঠিক নিয়ম গুলো সংগ্রহ করে নিতে পারবেন । আর এভাবে দরখাস্ত লিখলে পরীক্ষার খাতায় ভালো নম্বর পাবেন বলে আশা করছি।

সাধারণত জেনারেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো মাদ্রাসার মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও দরখাস্ত লেখানো হয়। আর মাদ্রাসার দরখাস্ত লেখার নিয়ম আর জেনারেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দরখাস্ত লেখার নিয়ম প্রায় একই। শুধুমাত্র স্কুলের নামের জায়গাতে মাদ্রাসার নামটি ব্যবহার করতে হবে। তাহলে মাদ্রাসার দরখাস্ত লেখা শিখা হয়ে যাবে। কিন্তু অনেক শিক্ষার্থী দেখা যায় যে এই মাদ্রাসার দরখাস্ত লিখা নিয়ে কনফিউশনে থাকে বা তারা ভাবে যে মাদ্রাসায় কিভাবে দরখাস্ত লিখলে সঠিক হবে এজন্য তারা মাদ্রাসার দরখাস্ত লিখতে অনেক সময় পারেনা। তাই তাদের জেনে রাখা দরকার যে মাদ্রাসার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দরখাস্ত আর জেনারেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দরখাস্ত এর মধ্যে তেমন কোন পার্থক্য নেই। শুধুমাত্র জেনারেল স্কুলের জায়গাতে মাদ্রাসার নামটি বসিয়ে দিতে হবে, আর ঠিকানার জায়গাতে মাদ্রাসার ঠিকানা দিতে হবে। তাছাড়া যেভাবে অন্যান্য ক্ষেত্রে দরখাস্ত লেখা হয় মাদ্রাসার ঐভাবে দরখাস্ত লিখতে হবে।

আমরা আমাদের প্রয়োজনে অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের দরখাস্ত লিখে থাকি। যেমন স্কুলে পরকালীন সময় আমরা পরীক্ষায় পাশ করার জন্য হোক বা ভালো রেজাল্ট করার জন্য হোক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে দরখাস্ত লেখানো শেখানো হয়। আর বিভিন্ন বিষয়গুলোতে দরখাস্ত লেখানো শিখে। আবার চাকরির ক্ষেত্রে দেখা যায় যে নানা প্রয়োজনে দরখাস্ত লিখতে হয়, ছুটির জন্য দরখাস্ত লিখতে হয় বা অন্যান্য প্রয়োজনেও দরখাস্ত লিখতে হয়। এই দরখাস্ত লেখার সঠিক নিয়ম না জানলে অনেক সময় ভোগান্তির শিকার হতে হয় এবং সঠিক নিয়ম না জানার কারণে ভুল দরখাস্ত লিখলে সে দরখাস্তটি গ্রহণযোগ্য হয় না। আবার অনেক সময় দেখা যায় যে ভুল দরখাস্ত লেখার কারণে অনেকে হাসাহাসি করতে পারে। তাই হাসাহাসির পাত্র না হয়ে সঠিক ভাবে দরখাস্ত লিখা সবারই উচিত।

মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের সাধারণত দরখাস্ত লেখার ক্ষেত্রে মনোযোগী হতে হবে। আর দরখাস্ততে কাটাকাটি, অস্পষ্টতা আনলে হবে না। কোন কারণে যদি দরখাস্তের মধ্যে কাটাকাটি হয়ে যায় তাহলে চেষ্টা করতে হবে আবার দরখাস্তটি লিখার। কারণ কাটাকাটি হলে সে দরখাস্তটি অনেকটাই গ্রহণযোগ্যতা হারিয়ে ফেলতে পারে। আবার যদি দরখাস্তের মধ্যে ভুল হয় তাহলে আবার দরখাস্তটি লেখা প্রয়োজন। দরখাস্ত লিখতে গেলে সঠিক ভাষা ব্যবহার করতে হবে। এখানে কঠিন বা অপ্রয়োজনীয় ভাষা ব্যবহার করা ঠিক নয়।

আবার দরখাস্ত যতটা সম্ভব সহজ ও সাবলীল ভাষায় লেখা উচিত। এখানে বেশি কথা লেখা ঠিক না। যতটা সংক্ষিপ্ত লেখা যাবে এবং সংক্ষিপ্তর মধ্যে সব কথাগুলো লেখা যাবে ততটাই ভালো। দরখাস্ত বেশি বড় করা ভালো নয়, দরখাস্ত সংক্ষিপ্ত হবে এবং সংক্ষিপ্ত দরখাস্তের মধ্যে প্রয়োজনীয় কথা গুলো লেখা থাকবে। আবার দরখাস্ত শেষে নিজের ঠিকানা অবশ্যই লিখতে হবে। কারণ নিজের পরিচয় না লিখলে সে দরখাস্তটি কার কাছ থেকে যাচ্ছে বা কে লিখেছে সে সম্পর্কে প্রতিষ্ঠানের প্রধান জানতে পারবে না। তখন আর ওই দরখাস্তটির কোন মূল্য থাকবে না।

About শাহরিয়ার হোসেন 4780 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*