সাধারণ জনগণ যদি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর কাজ সম্পর্কে ধারণা অর্জন করতে চান তাহলে অবশ্যই আমরা আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের সামনে সে বিষয়গুলো উপস্থাপন করব। কারণ দৈনন্দিন জীবনে আমরা বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হয়ে থাকি এবং এই সকল প্রশ্নের উত্তর আমাদেরকে জানা লাগে। বর্তমানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যুগে যে কোন তথ্য সঠিকভাবে জেনে নিতে ইন্টারনেটে সার্চ করলেই তথ্যগুলো আমাদের সামনে উপস্থাপন করা হয়ে থাকে বলে আমরা তো জানতে পারি।
তাই আপনার যখন জানার ইচ্ছা হবে তখন অবশ্যই আপনারা প্রশ্ন লিখে দিলে আমরা সেগুলোর উত্তর প্রদান করব এবং সেই ভিত্তিতে আজকের এই পোস্টে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাজ কি তা ধারণা প্রদান করব। একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হলে তাকে কি কি দায়িত্ব পালন করতে হয় এবং কোন কোন কাজগুলো সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা লাগে তা এই পোষ্টের মাধ্যমে উপস্থাপন করলে অনেকেই তা জানতে পারবেন এবং সকলের জন্যই তা ভালো হবে।
দৈনন্দিন জীবনে আমাদের আশেপাশের বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ ছড়িয়ে আছে এবং এ সকল পেশাজীবী মানুষ খুব সুন্দর ভাবে তাদের দায়িত্ব গুলো পালন করে আসছে। এমনও অনেক পদ বা পেশা রয়েছে যেগুলো শুধু আমরা নাম শুনে এসেছি এবং এই নামগুলো শোনার পরে আমাদের মনের ভেতরে হয়তো প্রশ্ন জেগেছে আসলে তাদেরকে কি কি কাজ করতে হয়। সাধারণত সরকারি অফিসের বিভিন্ন ব্যক্তির থাকলেও তাদের কাজ সম্পর্কে আমরা জানিনা অথবা সেখানে গিয়ে আমরা বুঝতে পারি না কি কি কাদের সঙ্গে তারা নিজেকে জড়িয়ে ধরে রেখেছেন অথবা তাদের পথ অনুযায়ী কি কি দায়িত্ব পালন করতে হয়।
একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে আপনি যদি কোন দায়িত্ব পালন করতে চান অথবা তাদের কাজ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে দেখা যাবে যে তাদের সঙ্গে পুলিশের একটা গভীর সম্পর্ক রয়েছে এবং পুলিশের কাজের সঙ্গে তারা এই সম্পর্ক বজায় রেখে চলেন বলে প্রত্যেকটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়।
কোন পুলিশ যদি আসামি ধরে থাকে এবং এই আসামী ধরার পেছনে যে সকল কারণগুলো রয়েছে সে সকল কারণ সহকারে কোন এক ব্যক্তির সামনে উপস্থিত হয় তাহলে সেই ব্যক্তিটি হবে অবশ্যই জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। তাই একজন পুলিশের কাজ হবে কোন আসামিকে অ্যারেস্ট করার পর অবশ্যই জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে উপস্থাপন করা এবং তার মাধ্যমে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পরবর্তীতে বিভিন্ন ধরনের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবেন।
জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে সেই আসামিকে উপস্থাপন করার পর আসামের রিমান্ড প্রসঙ্গে তিনি কাজ করবেন এবং আসামের যদি রিমান্ডের প্রয়োজন হয় তাহলে সে অনুযায়ী কাগজপত্র তৈরি করে রিমান্ডের বিষয়ে স্বাক্ষর করে দিবেন। এছাড়াও ফৌজদারী কার্যবিধির নিয়ম অনুসরণ করতে হবে এবং এখানে যে ১৬৪ ধারার নিয়ম অনুযায়ী জবানবন্দী প্রদানের কথা বলা হয়েছে সেই জবানবন্দী তাদেরকে প্রদান করতে হবে।
যদি এই ক্ষেত্রে নারী অথবা শিশু মামলা হয়ে থাকে অথবা ভিকটিমের বিষয়গুলো যদি নারী এবং শিশু পর্যন্ত গড়িয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই তাদের জবানবন্দী গ্রহণ করতে হবে এবং ভিকটিম যদি এক্ষেত্রে কোন ধরনের জিম্মা প্রদান করতে চাই তাহলে অবশ্যই সেটা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে গ্রহণ করবেন।
তাছাড়া পুলিশ যদি এই ক্ষেত্রে কোন ধরনের অসঙ্গতি লক্ষ্য করতে পারে তাহলে সে বিষয়ে চার্জশিট তৈরি করবে এবং চার্জশিট তৈরি করার পর সেটা সর্বপ্রথমে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে উপস্থাপন করলে তিনি যে ঘোষণা দেবেন অথবা যে আদেশ দিবেন সেই অনুযায়ী তাদেরকে কাজ করতে হবে।
তবে যে চার্জ সিট প্রদান করা হয়েছে সেটা দেখে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে বুঝতে হবে যে এটা আসলে কোন ধারায় বিচার করতে হবে এবং আইন অনুযায়ী তিনি সেটা দায়রা জজের কাছে প্রেরণ করলে সে অনুযায়ী পরবর্তীতে অন্যান্য যে সকল ব্যক্তিবর্গ রয়েছে অথবা দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছে তারা প্রত্যেকটি কাজে সরাসরি অংশগ্রহণ করে এটার একটা সমাধান করার চেষ্টা করবে ।
Leave a Reply