মাছ আমাদের কাছে জাতীয় খাবার এবং সেই মাছ চাষের জন্য বর্তমানে বাণিজ্যিকভাবে বহু চাষি চাষাবাদ করছেন। আমাদেরকে বলা হয় মাছে ভাতে বাঙালি কিন্তু এই মাসে ভাতে বাঙালি কথাটা আস্তে আস্তে কেন জানি না হারিয়ে যাচ্ছে। তার কারণ হলো দিন দিন মাছের দাম যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে একজন মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষেও মাসে একবার মাছ কিনতে পারাটা অসম্ভব হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
বাংলাদেশের জাতীয় মাছ যেটা ইলিশ সেটা খাওয়াতো একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে বছরে একবার খাওয়া অনেক কষ্টের ব্যাপার। মাছে ভাতে বাঙালি কথাটি আস্তে আস্তে হারিয়ে যাচ্ছে তার কারণ হলো বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষ বেশি হচ্ছে। আগে যেমন আমাদের বাড়ির আশেপাশে পুকুর নালা নদী খাল বিলে প্রচুর পরিমাণে মাছ পাওয়া যেত সেই পুকুর নালা খাল বিল এখন আর পানিতে ভরা থাকে না। পুকুরের সংখ্যা প্রচুর পরিমাণে কমে গেছে এবং বিলগুলো শুকিয়ে গেছে এবং নদীতে শুধুমাত্র বর্ষাকালে পানি দেখা যায় অন্য সময় নদীও শুকিয়ে যায়।
এত বড় জাতির মাছের চাহিদা পূরণের জন্য তাই বাণিজ্যিকভাবে বহু মাছ চাষী বর্তমানে মাছ চাষ করছে। তাই আপনি যদি একজন মাছ চাষী হতে চান এবং সফল উদ্যোক্তা হতে চান তাহলে অবশ্যই মাছের জন্য কোন কোন ঔষধ গুলো কার্যকরী সেটা আপনাকে জানতে হবে। তার মধ্যে সবথেকে প্রয়োজনীয় বিষয়টি হচ্ছে মাছের সঠিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে কোন ভিটামিন গুলো আপনি প্রয়োগ করতে পারেন সেগুলো। সরাসরি যে ভিটামিন গুলো মাছের বৃদ্ধির জন্য প্রয়োগ করা হয় সে সম্পর্কে আজকে জানবো।
মাছ বৃদ্ধির জন্য কোন ভিটামিন দিতে হবে
মাছ বৃদ্ধির জন্য অনেক ধরনের ভিটামিন বর্তমানে বাজারে আছে। এর মধ্যে অনেক বেশি ব্যবহৃত হয় ভিয়েতনামের একটি প্রোডাক্ট যে প্রোডাক্ট ১০০ গ্রাম এবং ৫০০ গ্রামের প্যাকেটে পাওয়া যায় বাংলাদেশের বাজারে। এই প্রোডাক্ট এর নাম হচ্ছে বাওমিন বি প্লাস সি। আজকে আমরা মাছ বৃদ্ধির জন্য ব্যবহৃত বা মাছের শক্তি বৃদ্ধিকারী ভিটামিন সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব।
Biomin B+C
মাছের শক্তি বৃদ্ধিকারী ভিটামিন হিসাবে এই ভিটামিন টি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এ ভিটামিন আপনারা চাইলে অনলাইন এর মাধ্যমে অর্ডার করতে পারেন। তবে এটা অর্ডার করার পূর্বে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে এই ভিটামিন কোন উপাদান দ্বারা তৈরি এবং এটার মাধ্যমে আপনার মাছের উপকার হবে। তবে এই ভিটামিনের ব্যবসার সঙ্গে আমরা কোনোভাবে জড়িত না আমরা শুধুমাত্র আপনাদের তথ্য দিচ্ছি এবং আপনাদের সতর্ক করছি।
ভিটামিনটি তে উপাদান হিসেবে রয়েছে এসকরবিক এসিড, সাইট্রিক এসিড, প্রোবায়োটিক প্রি বায়োটিক, ভিটামিন বি১ বি২ বি ৬ বি১২, এছাড়াও ভিটামিন সি সহ আরো অন্যান্য উপাদানে সমৃদ্ধ এই ভিটামিন টি আপনার পুকুরের মাছের শক্তি বৃদ্ধিতে অনেক কার্যকরী। এখানে অবশ্যই তারা এই ভিটামিন ব্যবহারের কিছু উপকারিতা প্যাকেটের গায়ে লিখে দিয়েছে যেটা এখন আমরা জানব।
সাধারণত মাছ ও চিংড়ির চাষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এই ভিটামিন এবং মাছ যখন পরিবহন করা হয় সেই পরিবহনের সময় যে ধকল হয় সেই ধকল প্রতিরোধে এই ভিটামিন কার্যকরী। অবশ্যই মাছের ও ভিটামিন সি এর প্রয়োজন রয়েছে তাই ভিটামিন সি এর অভাব পূরণ করে এই ভিটামিন এর পাশাপাশি ডিমের ফার্টিলিটি ও হ্যাজাবিলিটি বৃদ্ধি করে ভিটামিন সেবনে। মাছের মৃত্যুর হার কমায় এবং ত্বক মসৃণ করে এবং যেকোনো ধরনের ক্ষত থেকে মাছকে বাঁচাতে সাহায্য করে।
সাধারণত প্রতিরোধের জন্য দুই থেকে তিন গ্রাম প্রতি কেজি খাদ্যে ব্যবহার করুন এর পাশাপাশি চিকিৎসার জন্য আপনি চার থেকে পাঁচ গ্রাম প্রতি কেজি খাদ্যে ব্যবহার করতে পারেন। তবে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে এবং আপনাকে একজন মৎস্য বিশেষজ্ঞ এর পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ দিতে হবে তার কারণ হলো যে কোন ঔষধ একটু কম বেশি হওয়ার কারণে আপনার পুকুরের সকল মাছ একই সঙ্গে মারা যেতে পারে।
Leave a Reply