মাতৃত্বকালীন ভাতা পাওয়ার জন্য আপনারা যারা অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে চাইছেন তাদের উদ্দেশ্যে আমরা লিংক শেয়ার করার পাশাপাশি কোন কোন তথ্য প্রদান করার ভিত্তিতে আবেদন করা যায় তা জানিয়ে দেব। অনেক নারী রয়েছেন যারা গর্ভাবস্থায় সন্তানের পরিচর্যা করার পাশাপাশি নিজের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে আর্থিক সমস্যার কারণে করতে পারেন না। যেহেতু আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ এবং মায়ের শরীরের অবস্থা খারাপ থাকলে একটি শিশু পরিপূর্ণভাবে বিকাশ লাভ করতে পারে না সেহেতু গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদান করে আসছেন।
যদিও এটা এক ধরনের গর্ভবতী ভাতা প্রদান করা হচ্ছে তারপরও এই ভাতা পাওয়ার জন্য আপনাদেরকে সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিবর্তে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এগিয়ে যোগাযোগ করতে হবে। এক্ষেত্রে আমাদের এলাকায় যে সকল স্থানীয় মহিলা কাউন্সিলর বা জনপ্রতিনিধি রয়েছে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেই তারা আমাদেরকে এই ভাতা পেতে অথবা মাতৃত্বকালীন টাকা পেতে সহায়তা করবেন। তাই আপনারা যদি আবেদন করার পূর্বে তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে আবেদন করতে পারেন অথবা তাদের সুপারিশ গ্রহণ করতে পারেন তাহলে অনেক ক্ষেত্রে এটা আপনাদের জন্য কার্যকরী হয়ে যেতে পারে।
তাই বর্তমান সময়ের নিয়ম অনুযায়ী আমরা প্রতিনিয়ত এই বিষয়গুলো অনুসরণ করব। কারণ আপনাদের উদ্দেশ্যে যেহেতু গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রথা চালু করেছে সেহেতু এটা যদি আপনারা গ্রহণ করতে পারেন তাহলে দেখা যাবে যে আর্থিক স্বচ্ছলতা আসার পাশাপাশি মানসিক চিন্তা কমে যাবে এবং বাচ্চা পুরোপুরিভাবে ভূমিষ্ঠ হবে। কারন আমাদের দেশের অধিকাংশ গ্রামের মহিলারা আর্থিকভাবে সচ্ছল না হওয়ার কারণে এবং তাদের আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ার কারণে বাচ্চার পরিচর্যা ঠিকমতো করতে পারেন না।
তাই সকল দিক বিবেচনা করে আপনারা যদি কিছু শর্ত পূরণ করতে পারেন তাহলে অবশ্যই এই মাতৃত্বকালীন ভাতা পেয়ে যাবেন। মাতৃত্বকালীন ভাতা পাওয়ার পূর্ব শর্ত হলো আবেদনকারীর বয়স অবশ্যই ২০ বছরের নিচে হওয়া যাবেনা এবং ৩৫ বছরের উর্ধ্বে হওয়া যাবে না। অর্থাৎ এনআইডি কার্ড অনুযায়ী উল্লেখিত বয়স সীমার ভেতরে যদি থাকেন তাহলে অবশ্যই আবেদন করতে পারবেন এবং এই ক্ষেত্রে আপনার এটা যদি প্রথম সন্তান হয়ে থাকে অথবা দ্বিতীয় সন্তান হয়ে থাকে তাহলেই আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে।
অর্থাৎ তৃতীয় অথবা পরবর্তী সন্তানের ক্ষেত্রে এটা গ্রহণযোগ্য হবে না বলে প্রথম ও দ্বিতীয় সন্তানের ক্ষেত্রে আবেদন করে আপনারা এটা কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারেন। তাছাড়া পরিবারের যে সকল অভিভাবক রয়েছে অথবা সেই মহিলার স্বামী যদি প্রত্যেক মাসে ৮ হাজার টাকার কম ইনকাম করেন তাহলে আবেদন করার পর সেটা গ্রহণযোগ্য হবে। তাই এ সকল স্বার্থ পূরণ করার পর আপনারা যখন মাতৃত্বকালীন ভাতা পেতে চাইবেন তখন অবশ্যই আমরা আপনাদেরকে
http://103.48.16.6:8080/LM-MIS/applicant/onlineRegistration এই লিংক এখান থেকে কপি করে নিয়ে আবেদন করার কথা বলব।
প্রত্যেক অর্থ বছরে এই ভাতা নতুনভাবে আপডেট করা হয় অথবা প্রদান করা হয়ে থাকে বলে আপনারা টানা ৩৬ মাস প্রত্যেক মাসে ৮০০ টাকা করে পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন। তাই উপরের উল্লেখিত ওয়েবসাইট ভিজিট করার পর অর্থবছর নির্বাচন করার পর আবেদনকারীর নাম উল্লেখ করবেন। তাই সেখানে আপনাদের এনআইডি কার্ড অনুযায়ী প্রত্যেকটি তথ্য পূরণ করার জন্য বলা হলো যাদের তথ্যগুলো সঠিকভাবে ওয়েবসাইট গ্রহণ করতে পারে।
নিজেদের ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান করার পাশাপাশি ঠিকানা সংক্রান্ত তথ্যগুলো প্রদান করতে হবে এবং লাল চিহ্ন প্রদান করার ঘরের তথ্যগুলো বাধ্যতামূলকভাবে প্রদান করতে হবে। আপনারা যেভাবে টাকাটি গ্রহণ করতে চান সেখানে একটা একাউন্টে ধরন প্রদান করতে হবে এবং সেই একাউন্টের নাম্বার দিতে হবে। আবেদনকারীর ছবি এবং স্বাক্ষর প্রদান করা লাগবে। যদি স্বাক্ষর না থাকে তাহলে টিপসই দেওয়ার সুযোগ রয়েছে বলে সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করে সাবমিট করার পর আপনারা এটা উপজেলা ভিত্তিক যে অধিদপ্তর রয়েছে সেখানে গিয়ে জমা দিলেই কর্তৃপক্ষতা গ্রহণ করবে এবং পরবর্তীতে সেটা বিবেচনা করে আপনাকে টাকা প্রদান করবেন।
Leave a Reply