সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের এনজিও অথবা বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান মেয়ে কর্মজীবীদের মাতৃত্বকালীন ছুটি প্রদান করে থাকে। তাই একজন মানুষ যখন মাতৃত্বকালীন ছুটি কাটাবে তখন তাকে অবশ্যই ছয় মাস ছুটি প্রদান করতে হবে। কিন্তু আপনি যদি এই ছুটি গ্রহণ করতে চান তাহলে আপনাকে একটি আবেদন পত্র জমা দিতে হবে এবং চিকিৎসকের সার্টিফিকেট সেখানে সংযুক্ত করতে হবে।
সাধারণত বিভিন্ন ধরনের ছুটির জন্য আবেদন আমরা বিষয়বস্তু নির্ধারণ করে লিখতে পারলেও মাতৃত্বকালীন ছুটির আবেদন কিভাবে লিখতে হবে অথবা এক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয়ে জড়িত থাকার কারণে কোন কোন তথ্য উপস্থাপন করতে হবে তা অনেকেই জানেন না। তাই আপনাদের যাতে সুবিধা হয় সেই ব্যবস্থা আমরা আজকে আমাদের ওয়েবসাইটে গ্রহণ করেছি এবং এই পোষ্টের মাধ্যমে মাতৃত্বকালীন ছুটির জন্য যেভাবে আবেদন পত্র লিখবেন ঠিক সেভাবে তথ্যগুলো উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি।
একজন মেয়ে মানুষের জীবনে মা হওয়া একটি উল্লেখযোগ্য অংশ এবং এই সময়ে শরীরের ভেতরে শরীর ধারণ করানোর কারণে তাকে রেস্ট এর ভেতরে থাকতে হয়। তাই মাতৃত্বকালীন ছুটি গ্রহণ করার ক্ষেত্রে ছয় মাস পর্যন্ত ছুটি প্রদান করা হয়ে থাকে এবং ছয় মাস স্ববেতনে সেই কর্মজীবীকে ছুটি প্রদান করতে হবে এমনই ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক নীতিমালা রয়েছে। তাই আপনি যখন আপনার মাতৃত্বকালীন ছুটি গ্রহণ করতে চাইবেন অথবা অন্য কেউ যখন এটি লিখে দিবে তখন যে সকল তথ্য উপস্থাপন করতে হবে সেগুলো আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা লিখে জানিয়ে দিলে আপনারা সেই অনুযায়ী নিজ দায়িত্বে মাতৃত্বকালীন ছুটির আবেদন পত্র লিখতে পারবেন।
মাতৃত্বকালীন ছুটির আবেদন লেখার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের প্রধান বরাবর আবেদন পত্র লিখতে হবে অথবা সেটি হেড অফিসে প্রদান করার জন্য সেই বরাবর আবেদন পত্রটি উল্লেখ করতে হবে। তারপরে বিষয়ের জায়গায় মাতৃত্বকালীন ছুটির জন্য আবেদন দেখে বিস্তারিত ভাবে তথ্য গুলো উপস্থাপন করতে হবে। যদি ফর্ম আকারে এই ছুটির আবেদনপত্র পূরণ করে জমা দিতে চান তাহলে সর্ব প্রথমে আপনার নিজের নাম উল্লেখ করতে হবে এবং আপনি কোন পদে চাকরি করেন সেটা উল্লেখ করতে হবে। দপ্তর অথবা অফিসের নাম উল্লেখ করার পরে সন্তান প্রসবের সম্ভাব্য তারিখ উল্লেখ করতে হবে যাতে করে আপনাকে ছুটি প্রদান করার ক্ষেত্রে সঠিকতা অবলম্বন করতে পারে। এক্ষেত্রে আপনি কত তারিখ থেকে কত তারিখ পর্যন্ত ছুটি গ্রহণ করতে চান এবং এক্ষেত্রে ছয় মাসের ছুটি গ্রহণ করার জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা আপনাদেরকে উল্লেখ করতে হবে।
এরপরে আপনাকে উল্লেখ করতে হবে আপনি প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্ব পালন করার ভেতরে পূর্বে এরকম ধরনের কোনো ছুটি গ্রহণ করেছেন কিনা অথবা অল্প কিছুদিনের ছুটি অথবা নৈমিত্তিক ছুটি গ্রহণ করলেও সেটা আপনাদেরকে উল্লেখ করতে হবে। ছুটি পাওয়ার পর আপনি কোন ঠিকানায় অবস্থান করবেন সেই ঠিকানা আপনাদেরকে পরিষ্কার ভাবে উল্লেখ করতে হবে যাতে আপনাকে খুব সহজেই প্রতিষ্ঠান থেকে খোঁজ করলে পাওয়া যায়। সকল তথ্য সঠিকভাবে উপস্থাপন করার পর চিকিৎসকের মতামত উল্লেখ করতে হবে এবং বাচ্চা প্রসব সম্পর্কে তিনি কি কমেন্ট করছেন সেটা সেখানে উপস্থাপন করে চিকিৎসা করে স্বাক্ষর গ্রহণ করে নিতে হবে।
আপনি সেই প্রতিষ্ঠানের যে দায়িত্ব পালন করছিলেন সেই দায়িত্ব বর্তমান সময়ে কার ওপরে অর্পণ করে যেতে চান অথবা এই দায়িত্ব কে পালন করবে এ বিষয়ে সেই ব্যক্তি সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রদান করতে হবে। তাছাড়া আপনার মাতৃত্বকালীন ছুটি প্রসঙ্গে যিনি সুপারিশ করবেন এবং যিনি সুপারিশ করে হেড অফিস থেকে ছুটি নিয়ে দিবেন তার সেখানে স্বাক্ষর থাকতে হবে এবং বিস্তারিত কমেন্ট থাকতে হবে। এরপরে অন্যান্য সকল তথ্য পালন করার পর আপনারা আবেদন পত্রটি সরাসরি প্রধান অফিস বরাবর পাঠিয়ে দিলেই আপনাকে বেতন সহকারে এই ছুটি উপভোগ করার সুযোগ দিবেন।আপনাদের সুবিধার্থে আমাদের ওয়েবসাইটে এই আবেদন পত্রের ফরম্যাট প্রদান করা হলো যাতে করে আপনারা নিজেদের সুবিধামতো আবেদন পত্রটি খুব সুন্দর ভাবে লিখতে পারেন।
Leave a Reply