সাধারণত মেয়েরা কপালে টিপ পড়ে থাকে সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য। কিন্তু এই টিপ পরার পেছনের ইতিহাস রয়েছে তা যদি মুসলিম সম্প্রদায়ের মহিলারা জানে তাহলে তারা হয়তো আর এটা ব্যবহার করবে না। তার পরেও কোন মহিলা যদি কপালে টিপ ব্যবহার করে তাহলে সেটি তাদের জন্য ব্যক্তিগত বিষয় হিসেবে দাঁড়াবে। আজ সকল হিন্দু ধর্মালম্বী আছে এবং যেসব মহিলারা কপালে টিপ পরিধান করে তারা তাদের সংস্কৃতি অনুসারে এটি ব্যবহার করে থাকে। তবে আপনি যদি মুসলিম হয়ে থাকেন এবং মুসলিম হয়ে থাকার কারণে মেয়েদের কপালে টিপ দেওয়ার ইতিহাস সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের এই পোস্ট অবশ্যই পড়বেন।
টিপ পড়া প্রসঙ্গে একটি হাদিস হয়েছে এবং এই হাদীস যদি আপনারা জানতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটে তা গল্প আকারে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করা হলো। বর্তমান সময়ে হাল ফ্যাশনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিভিন্ন মহিলারা অথবা কমবয়সী মেয়েরা বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠানে অথবা বাড়িতে টিপ দিয়ে থাকে। কিন্তু এটি পরিধান করার পেছনে যে ইতিহাস রয়েছে তা যদি একজন মুসলমান নারী জানে তাহলে হয়তো তার ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এবং ধর্মের প্রতি ভালোবাসা থেকে কখনোই তা ব্যবহার করবে না। হযরত ইব্রাহিম (আ)-কে আগুনে পুড়িয়ে মারার জন্য একটি বিশাল অগ্নিকুণ্ড স্থাপন করা হয় এবং সেই অগ্নিকুণ্ড তে আগুন দিয়ে তাকে পোড়ানোর জন্য চেষ্টা করা হয়।
কিন্তু সেটা এতটাই বড় ছিল যে নমরুদের লোকেরা আমাদের এই নবীকে সেই অগ্নিকুন্ডে নিক্ষেপ করতে পারছিল না। পরবর্তীতে নবীকে অগ্নিকুন্ডে নিক্ষেপ করার জন্য একটি বড় ধরনের চরকা তৈরি করা হয় এবং সেই চরকার সঙ্গে তাকে বেঁধে ফেলা হয়। কিন্তু মহান আল্লাহ পাকের নির্দেশে ফেরেশতারা সেই চরকার এক পাশে অবস্থান করার কারণে নমরুদের লোকেরা সেই চরকা ঘটাতে সক্ষম হয় না এবং এই নবীকে কেউ আগুনে ফেলতে পারেনা। পরবর্তীতে শয়তান নমরুদ কে কুবুদ্ধি প্রদান করে এবং ফেরেশতাদের সেই স্থান ত্যাগ করার জন্য বেশকিছু পতিতা মেয়েকে সেই স্থানে আনে। এই ধরনের মহিলাদের উপস্থিতি ফেরেশতারা সেই জায়গা ত্যাগ করে এবং নমরুদের লোকেরা খুব সহজেই নবীকে আগুনে নিক্ষেপ করতে সক্ষম হয়।
এই ধরনের মহিলাদের সহায়তার কারণে যখন নবীকে আগুনে নিক্ষেপ করতে সক্ষম হল তখন নমরুদ এই মহিলাদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পুরস্কার প্রদান করল এবং কপালে তিলক এর মত আকৃতি প্রদান করল। আর সেই তিলক এর মত আকৃতি বর্তমান রূপ অনুসারে টিপ নাম ধারণ করেছে। তাই যেন মুসলমান প্রাণ এবং সবসময় ধর্ম মেনে চলেন তারা এই ইতিহাস জানার পরে আর টিপ পড়বেন কিনা সন্দেহ রয়েছেন।
আর যে সকল মা বোন এটি পরিধান করলেন তাদের জন্য এটা দুর্ভাগ্যের বিষয়। আশা করি আমাদের ওয়েবসাইটে মেয়েদের কপালে টিপ দেওয়ার ইতিহাস সম্পর্কে তথ্য জানতে পেরেছেন। আর যে সকল হিন্দু মেয়েরা টিপ কপালে দেয় তারা তাদের সংস্কৃতি অনুযায়ী তা দিয়ে থাকে। তাই টিপ নিয়ে হুলুস্থুল কাণ্ড না বাঁধিয়ে আপনারা উপরের হাদীস যদি পড়েন তাহলে এ সম্পর্কে সত্য এবং সঠিক তথ্য জানতে পারবেন।
Leave a Reply