মেয়েদের দ্রুত এবং তাড়াতাড়ি বিয়ে হওয়ার আমল

বিয়ে হলো প্রত্যেকটি মানুষের জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। বিয়ে মানুষের জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় এবং এই নতুন অধ্যায়ের মধ্য দিয়ে মহান আল্লাহ পাক বরকত সৃষ্টি করে থাকেন বলে সকলকেই প্রাপ্ত বয়সে বিয়ে করার জন্য তাগিদ প্রদান করা হয়েছে। বিয়ে করার মধ্য দিয়ে একজন মানুষ যেমন তার শারীরিক চাহিদা পূরণ করতে পারে তেমনি ভাবে মহান আল্লাহ পাকের দৃষ্টিকোণ থেকে একজন মানুষ পৃথিবীর বুকে খুব সুন্দর ভাবে নিজের জীবনকে পরিচালনা করতে পারে। তাছাড়া বিয়ের মধ্যে দিয়ে সন্তান-সন্ততি জন্মগ্রহণ করবে এবং সন্তান-সন্ততি মহান আল্লাহ পাকের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার পাশাপাশি তাঁর ইবাদত করবে। তাই কোন পরিবারে কোন মেয়ে যদি বিয়ে না হয়ে থাকে অথবা বয়স হয়ে যাওয়ার পরও যদি বিয়ের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে নিচের দেখানো আমল গুলো করলে মহান আল্লাহপাক অবশ্যই এ বিষয়ে সাহায্য করবেন।

পরিবারে কন্যা সন্তান রয়েছে এবং তাদের বিয়ের ব্যাপারে পিতামাতা চিন্তা করছেন তাদেরকে বলব যে অবশ্যই দ্রুত বিয়ে হওয়ার জন্য আপনারা নিচের আমলগুলো করতে পারেন। আল্লাহপাক বিয়ের বিষয়ে আপনাদের এ সকল বিষয়গুলো খুব দ্রুত দেখভাল করবেন এবং মহান আল্লাহ পাকের ইচ্ছা অনুযায়ী একটা ব্যবস্থা অবশ্যই করবেন। আপনি যখন দ্রুত বিয়ে করার চেষ্টা করতে চাইবেন অথবা কোন কন্যার যখন দ্রুত বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন তখন আমল করার ক্ষেত্রে বেশি বেশি করে ইস্তেগফার পাঠ করতে হবে। বেশি করে আপনারা যদি আস্তাগফিরুল্লাহ পাঠ করতে পারেন এবং পুরো দোয়াটি আমল করতে পারেন তাহলে দেখা যাবে যে আল্লাহ পাক আপনাদের সকল দুশ্চিন্তা দূর করে দিবেন এবং বিয়ে করার ক্ষেত্রে অবশ্যই একটা ব্যবস্থা করে দিবেন।

আমরা সকলেই জানি যে সুরা ইয়াসিনের সীমাহীন মর্যাদা এবং বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং এই দোয়ার বৈশিষ্ট্য থাকার কারণে আপনারা যারা তা পাঠ করবেন তাদের অবশ্যই এই সূরার ফজিলত প্রাপ্ত হবেন। তাই কোন মেয়ের দ্রুত বিয়ে দেওয়ার জন্য আপনারা সূরা ইয়াসিন যদি প্রতিদিন সকালে সূর্য প্রকাশে উঠবে তখন পাঠ করেন তাহলে সবচাইতে ভালো হয়। এছাড়াও সূরা আদ দোহা এবং সূরা কাসাস এর আয়াত গুলো পাঠ করলে মহান আল্লাহ পাক বের হওয়ার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বিয়ে হওয়ার পথকে এগিয়ে দিতে পারেন। তাই আপনারা যখন নিয়মিতভাবে সূরা আদ দাওহা এক বরাবাজ করে পাঠ করবেন তখন আল্লাহ পাক অবশ্যই সৎপাত্রের ব্যবস্থা করে দিবেন।

তাছাড়া সূরা তাওবার 129 নম্বর আয়াতটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যাদের বিয়ে হওয়ার ক্ষেত্রে দেরি হচ্ছে তারা যদি এটা আমল করতে পারেন এবং আয়াতটি সঠিকভাবে প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পরে ১৯ বার বিসমিল্লাহ সহকারে এটা আমল করতে পারে তাহলে অবশ্যই তার সুফল পাবে। এক্ষেত্রে ছেলে মেয়ে যদি না পারে তাহলে তাদের পিতা মাতা যদি এটা আমল করে তাও কাজে দিবে। সূরা মরিয়ম তেলাওয়াত করার মধ্য দিয়ে যাদের বিয়ে হচ্ছে না তাদের বিয়ে হওয়ার ক্ষেত্রে এই আমলটা অনেক কাজে আসে। এই সূরা মরিয়ম পাঠ করার মধ্য দিয়ে আপনারা অথবা অভিভাবকেরা ছেলে-মেয়ের অথবা কোন মেয়ের বিয়ের ব্যাপারে আমল করতে পারে এবং এই ক্ষেত্রে প্রতি ওয়াক্ত নামাজের পর এটা আদায় করতে হবে।

দ্রুত বিয়ে হওয়ার ক্ষেত্রে আপনারা যদি তাজবিহের ফাতেমি পড়তে পারেন তাহলে সবচাইতে ভালো হয়। এক্ষেত্রে আপনারা ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ 33 বার আলহামদুলিল্লাহ এবং ৩৪ বার আল্লাহ পাঠ করবেন। সূরা মুজাম্মিল পাঠ করার পাশাপাশি আপনারা যদি প্রতিদিন ফজরের নামাজের পর সূর্য ওঠার আগে ৪০ বার করে ইয়া ফাতাহু পাঠ করতে পারেন তাহলেও বিয়ে হওয়ার ক্ষেত্রে আপনারা অনেক উপকার পাবেন এবং খুব তাড়াতাড়ি বিয়ের ব্যাপারে আপনাদের একটা সুখবর আসবে। এছাড়াও বিয়ে হওয়ার ক্ষেত্রে অনেক আমল রয়েছে যেগুলো যদি একজন মানুষ করে এবং মন প্রাণ থেকে আল্লাহ পাকের কাছে এ বিষয়ে দোয়া করে তাহলে আল্লাহ পাক অবশ্যই দোয়া কবুল করে নেবেন।