মুরগির খামার করার পদ্ধতি

মুরগির খামার করার পদ্ধতি

যারা বাণিজ্যিকভাবে মুরগির খামার তৈরি করতে চাচ্ছেন অথবা মুরগির খামারের মাধ্যমে দৈনন্দিন জীবন পরিচালনা করার জন্য আর্থিক উপার্জন করতে চাচ্ছেন তারা আজকে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে মুরগির খামার করার পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নিন। বর্তমান সময় যুবক সমাজ যদি চাকরির পেছনে না ছুটে সৃজনশীল কাজের পেছনে ছুটে অথবা বিভিন্ন ধরনের উৎপাদনশীল খাতে নিজেদের বিনিয়োগ করে তাহলে দেখা যাবে যে সেখান থেকে তার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়ে যাচ্ছে।

তবে আমাদের দেশের লোকের মানসিকতা এরকম যে পড়ালেখা শেষ করে কেন আমি এই ধরনের কাজ করব। কিন্তু দিনশেষে একটা মানুষ যখন চাকরি না পেয়ে কেরানী পোষ্টের চাকরি করছে তখন তাতেই তারা সুখ খুঁজে পাচ্ছে। তবে এ ধরনের বিতর্কিত বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা না করে আপনাদেরকে জানিয়ে দিতে চাই মুরগির খামার করতে হলে কি কি পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে।

দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার দৈনন্দিন জীবনের চাহিদা মেটানোর জন্য ডিম একটি অত্যন্ত পুষ্টি কর খাদ্য। ডিমের চাহিদা দিনকে দিন বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে এবং ডিমের এই যে চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে তার জন্য যোগান বৃদ্ধি করতে হবে। আপনার যদি সেই পরিমাণ টাকা থাকে এবং আপনার যদি স্থান থাকে তাহলে আপনি খুব সুন্দর ভাবে একটি মুরগির খামার স্থাপন করতে পারেন।

একদিকে মাংস উৎপাদনশীল মুরগির খামার করতে পারেন এবং অন্যদিকে ডিমের জন্য মুরগির খামার করতে পারেন। তবে মুরগির খামার করতে হলে যেটা সব চাইতে বেশি প্রয়োজন হবে সেটা হল তাদের যত্ন নেওয়া। কঠোর পরিশ্রম করার মানসিকতা যদি থাকে এবং সেখানকার মুরগিগুলোকে লালন পালন করার জন্য যদি আপনি সদা তৎপর থাকেন তাহলে সেখান থেকে লাভবান হয়ে উঠে আসতে পারবেন।

তাই আপনাকে মুরগির খামার করার জন্য যে সকল বেসিক ধারণা রাখা প্রয়োজন সেগুলো এখানে প্রদান করতে চলেছি। যখন আপনি মুরগির খামার করতে চাইবেন তখন আপনাকে এমন একটি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে যার মাধ্যমে সেই স্থানে অনুকূল পরিবেশে মুরগি লালন পালন করা যায়। এক্ষেত্রে পুকুরের চারিপাশে যদি এই খামার তৈরি করা যায় তাহলে সেখানে মাছ চাষ করা যেমন সুবিধাজনক হবে তেমনি ভাবে আপনি অন্য দিক থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হবেন। তাই আপনাকে স্থান নির্বাচনের ব্যাপারে সতর্কীকে পালন করতে হবে এবং তাদের বসবাসের জন্য ঘর তৈরি করার বিষয়ে আলাদাভাবে চিন্তাভাবনা করতে হবে।

মুরগির বসবাসের জন্য ঘর আপনারা যদি সঠিকভাবে লোক দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন তাহলে সেটা সবচাইতে ভালো হবে। এখন মুরগির বাচ্চা ক্রয় করে এনে তাদেরকে নিয়মিতভাবে লালন পালন করতে হবে এবং নিয়মিতভাবে খেতে দিতে হবে। যদি দল থেকে কোন মুরগি অসুস্থ হয়ে পড়ে তাহলে তাকে আলাদাভাবে রাখতে হবে এবং তার আলাদা চিকিৎসা প্রদান করতে হবে। অর্থাৎ সব সময় তাদেরকে কেয়ারিং এর ভেতরে রাখতে হবে এবং কোন মুরগি যদি না অসুস্থ হয়ে যায় তাহলে তাকে আলাদাভাবে রেখে চিকিৎসা প্রদান করলে সে সুস্থ হয়ে যাবে। এসকল কেয়ারিং এর ব্যবস্থা গ্রহণ করার পাশাপাশি নিয়মিতভাবে তাদেরকে সময় অনুযায়ী খেতে দিতে হবে।

তারপরে তাদের ডিম সংগ্রহ থেকে শুরু করে যে সকল তত্ত্বাবধান এবং আবহাওয়া সঙ্গে যাতে তারা সকলেই খাপ খাওয়াতে পারে এ বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে হবে। এভাবে মুরগির খামারে আপনি যদি নিয়মিতভাবে পরিশ্রম করতে পারেন তাহলে দেখা যাবে যে মুরগির খামারের পেছনে যে খরচটা হচ্ছে সেটা আপনার লাভ হচ্ছে। তবে বর্তমান সময়ে ফিড জাতীয় খাবারের দাম এবং অন্যান্য পণ্যের দাম বেশি হয়ে যাওয়ার কারণে অনেক মুরগির খামারিরা লস করছেন।

এক্ষেত্রে আপনি যদি নিজের সচেতনতার সঙ্গে এই কাজগুলো করতে পারেন তাহলে দেখা যাবে যেদিন শেষে আপনি সেখান থেকে লাভ করতে পারছেন এবং একজন সফল ব্যবসায়ী হিসেবে এলাকায় পরিচিত হতে পারছেন। মুরগির খামার কিভাবে পরিচালিত করবেন এ সংক্রান্ত টপিক অনুযায়ী ভিডিও আপনারা ইউটিউব থেকে দেখে নিতে পারেন।

About শাহরিয়ার হোসেন 4780 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*