যে সকল ব্যক্তি বয়স্ক ভাতা কত সালে চালু হয়েছে তা জানতে চান তাদের উদ্দেশ্যে আমরা এখানে এই সাল উল্লেখ করার পাশাপাশি বয়স্ক ভাতা কাদের প্রদান করা হয় সে প্রসঙ্গে আলোচনা করব। সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে সারাদেশের বৃদ্ধ ও বয়স্ক ব্যক্তিদের প্রতি তিন মাস পর পর বয়স্ক ভাতা দেওয়ার সিস্টেম নির্দিষ্ট একটা সময় থেকে চালু করা হয়েছে। অতীতে প্রত্যেকটা উপজেলায় বয়স্ক ভাতা প্রদান করার একটা নির্দিষ্ট সংখ্যক কার্ড এসে থাকলেও বর্তমান সময়ে অনলাইনের মাধ্যমে কার্ড আসার পরিবর্তে আবেদন করার সুযোগ প্রদান করা হচ্ছে।
অর্থাৎ আপনার বয়স যদি পূর্ণ হয়ে থাকে এবং আপনার এই বয়স যদি এনআইডি কার্ড অনুযায়ী হয়ে থাকে তাহলে খুব সহজেই অনলাইন এর মাধ্যমে আবেদন সাবমিট করতে পারলে প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করা সাপেক্ষে এটা পেয়ে যাবেন। সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী আমরা বর্তমান সময়ে নতুন করে বয়স্ক ভাতার আবেদন করতে চাইলে মাই গভ বিডি এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে। তারপরে সেখান থেকে ভাতা সংক্রান্ত যে অপশন দেওয়া আছে সেখানে ক্লিক করতে হবে এবং আপনাদেরকে ধাপে ধাপে প্রত্যেকটি বিষয় সম্পন্ন করতে হবে।
এই ক্ষেত্রে কিভাবে বয়স্ক ভাতা পাওয়ার জন্য আবেদন করতে হয় সে প্রসঙ্গে আমরা আমাদের ওয়েবসাইটের অন্যান্য পোস্টে আলোচনা করেছি বলে আপনাদের বুঝতে সুবিধা হবে। তাই বয়স্ক ভাতা পাওয়ার জন্য যারা অপেক্ষা করছেন অথবা যাদের বয়স পুরুষ হিসেবে 65 বছর হয়েছে এবং নারী হিসেবে 62 বছর হয়েছে তারা অবশ্যই আবেদন করবেন।তবে মৌখিক তথ্য অথবা অন্যান্য তথ্যের উপর ভিত্তি না করে এনআইডি কার্ডের তথ্য অনুযায়ী এটা যাচাই করে দেখা হবে। যদি এটা যাচাই করে নির্দিষ্ট বয়স অতিক্রম করতে পারে তাহলেই তাদেরকে আবেদন করার সুযোগ প্রদান করা হবে।
তাছাড়া বয়স্ক হতে পাওয়ার ক্ষেত্রে আপনাকে যে যাবতীয় শর্ত পূরণ করতে হবে এমন কোন সিস্টেম না রেখে বয়স পূর্ণ হলেই আপনারা আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে যদি কোন আবেদনকারীর আর্থিক অবস্থা ভালো হয়ে থাকে এবং অন্যান্য শর্ত আরোপ করা থাকে তাহলে সেই শর্তগুলো পূরণ করা খুবই সহজ হবে। অর্থাৎ বয়স্ক ভাতার ক্ষেত্রে কোন ধরনের বাধ্যবাধকতা নেই এবং এখানে আপনারা আবেদন করলে সঠিক নিয়ম অনুযায়ী আবেদন করার ভিত্তিতে নির্দিষ্ট সময় পরপর টাকা পাওয়ার জন্য মনোনীত হবেন।
বয়স্ক ভাতা এমন একটা বয়সের মানুষকে প্রদান করা হয়ে থাকে যে বয়সে একজন মানুষ কাজ করার জন্য শারীরিকভাবে সমর্থ্য হয়ে ওঠেনা। তাই সে সকল ব্যক্তি পরিবারের যাতে বোঝে না হয়ে ওঠে অথবা তাদের দৈনন্দিন জীবনে টুকিটাকি খরচের জন্য এই বয়স্ক ভাতা টাকা প্রদান করা হয়ে থাকে। তাই যখন কেউ বয়স্ক ভাতা পাবে তখন অবশ্যই তাকে মোবাইল ব্যাংকিং এর একাউন্ট নাম্বার প্রদান করতে হবে যাতে করে তিন মাস পরপরই টাকা চলে আসে।
তবে আপনারা যেহেতু বয়স্ক ভাতা কত সাল থেকে দেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন সেহেতু আপনাদের উদ্দেশ্যে বলবো যে ১৯৯৭ সালে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়ে থাকল ১৯৯৮ সাল থেকে এটা গৃহীত হয়। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে ১৯৯৮ সাল থেকে বয়স্ক ভাতা প্রদান করার কার্যক্রম পুরোপুরিভাবে শুরু হয়ে গিয়েছিল। আর সেটা অনুযায়ী আপনারা বয়স্ক ভাতা পেয়েছেন। আর এই কার্যক্রম বর্তমান সময় পর্যন্ত চলছে এবং আগের চাইতে অনেক সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে।
তাই এনআইডি কার্ড অনুযায়ী যাদের বয়স পরিপূর্ণ হয়েছে তারা অবশ্যই অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারলেই এবং নগদ মোবাইল ব্যাংকিং এর একাউন্ট প্রদান করতে পারলে প্রত্যেকটি এলাকার বয়স্ক ব্যক্তিদের এটা প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। তাছাড়া কত সাল থেকে বয়স্ক হতে প্রদান করা হয়েছে প্রসঙ্গে উপরের দিকে তথ্যটি জানিয়ে দেওয়া হলো বলে আপনাদের আশা করি আর কোন প্রশ্ন নেই। তবে আপনাদের যদি আবেদন সংক্রান্ত কোনো তথ্য জানার থাকে অথবা নির্দিষ্ট কোন বিষয়ে প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে কমেন্ট সেকশনে জানিয়ে দিন।
Leave a Reply