আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে মূলত আলোচনা করা হয়েছে মহিলা সাহাবীদের নাম। বেশিরভাগ মুসলমান মানুষ তাদের বাচ্চাদের নাম ইসলাম অনুসারে রাখতে চাই। এজন্য ইসলামিক নাম খোঁজ করে। আবার অনেকে তাদের আত্নীয়-স্বজনদের অথবা প্রতিবেশীদের নামও ইসলাম অনুসারে রাখতে চাই। তাই সুন্দর সুন্দর ইসলামিক নাম খোঁজ করে। আবার অনেক পিতা-মাতাই তাদের মেয়ে শিশুদের নাম রাখার জন্য অনেক ইসলামিক নাম খুঁজে। সুন্দর সুন্দর ইসলামিক নামের অর্থ খুঁজে। আবার অনেকেই সাহাবীদের নাম অনুসারে নিজের বাচ্চাদের নাম রাখতে চাই।
বিশেষ করে মেয়ে শিশুদের নামও মহিলা সাহাবীদের নাম অনুসারে রাখতে চাই। এজন্য অনেকে সময় দেখা যায় অনেকেই মহিলা সাহাবীদের নাম ও সেই সকল নামের অর্থ সার্চ করেন। এজন্য তারা যেন খুব সহজেই মহিলা সাহাবীদের নাম খুঁজে পায় আর তাদের মেয়ে বাচ্চাদের নাম এরকম রাখতে পারে, এজন্য আজকের আর্টিকেলটি সাজানো হয়েছে। আপনি যদি এধরনের মহিলা সাহাবীদের নাম খুঁজে থাকেন এবং আপনার ছোট্ট বাচ্চাটির নাম মহিলা সাহাবীদের নাম অনুসারে রাখতে চান তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি আপনার জন্য বিশেষভাবে সহায়ক হবে।
আমরা যদি বিভিন্ন হাদিস দেখি তাহলে অনেক মহিলা সাহাবীদের নাম দেখতে পাই। যারা নবী রাসূলের আমলে অনেক ইসলাম ধর্মের অনুসারি ছিলেন এবং নিজেদের জীবন দিয়ে ইসলাম ধর্ম পালন করতেন। ইসলামের প্রতি অগাধ বিশ্বাসী তাদের আরও বেশি সম্মানিত করেছে। ইসলাম ধর্মে যে সকল মানুষ ইসলামের উপর বিশ্বাস এনেছে এবং মনেপ্রাণে ইসলামকে বিশ্বাস করে, ইসলাম অনুসারে জীবন যাপন করেছে তারা অনেক বেশি সম্মানীত হয়েছে। এজন্য মহিলা সাহাবীরা অনেক বেশি সম্মানিত হয়েছেন। কেননা তারাও ব্যক্তিগত জীবনে ইসলাম অনুসারে জীবন পরিচালনা করেছেন। তাছাড়া ইসলাম ধর্ম প্রচারের ক্ষেত্রেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তারা পালন করেছেন। এজন্য মুসলিমদের জীবনে সাহাবীগণের অবদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আমরা যদি সাহাবীদের জীবনযাপন সম্পর্কে খেয়াল করি বা তাদের জীবনী পড়ি তাহলে দেখতে পাই যে সাহাবীরা খুবই সাধারণ জীবন যাপন করত। কিন্তু সাধারণ জীবন যাপন করার মাঝেও তারা ধর্মের ব্যাপারে খুবই অসাধারণ ভূমিকা পালন করেছে। ধর্মের জন্য তারা নিজের জীবন দিতেও কখনো পিছপা হননি। আবার নবীর পাশে থেকেছে সব সময়। বিভিন্ন বিপদ-আপদে নবীর পাশে যারা আগে দাঁড়িয়েছে তারা হচ্ছে সাহাবীরা। নবীর সকল আদেশ নিষেধ সব সময় মনে প্রানে মেনে চলতো, নবীকে প্রচুর পরিমাণে ভালোবাসতো এবং সম্মান করতো। এর ফলে নবীও সাহাবীদের অনেক ভালোবাসতো এবং তাদেরকেও অনেক সম্মান করতো।
আমরা যদি মহিলা সাহাবীদের জীবনী দেখি তাহলে দেখতে পাবো যে মহিলা সাহাবীরা অনেক সংগ্রামী ছিল। তারা অনেক কষ্টের মধ্যে জীবন অতিবাহিত করলেও ইসলাম ধর্মের প্রতি অগাধ বিশ্বাসী ছিল। তাদের ইসলাম অনুসারে জীবন যাপন পদ্ধতি তাদের অনন্যতা দান করেছিল। সেই সকল পদ্ধতি অনুসরণ করে আমাদেরও চলা উচিত। আমাদের মুসলিম মেয়েদেরও সেই সকল জীবন যাপন পদ্ধতি অনুসরণ করাটা খুবই জরুরী ব্যাপার। হাদিস পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে যে মহিলা সাহাবীরা পর্দানশীল ছিল। তারা পর্দার সাথে বিভিন্ন কাজ করতো এবং জীবন যাপন করতো। আর ইসলাম ধর্ম গভীরভাবে পালন করত। তাই ইসলাম তাদেরকে অনেক মর্যাদা দান করেছে। আমাদের প্রত্যেকটা মুসলিম মেয়েদের উচিত সেরকম ভাবে আমাদের জীবন যাপন পদ্ধতি মেনে চলা। আর পর্দার সাথে সকল কাজ সম্পন্ন করা।
তাছাড়া আমাদের উচিত মুসলিম সাহাবীগণের নিকট থেকে শিক্ষা লাভ করা। আর তাদের মত করে জীবন পরিচালনা করতে পারলে আমরা তাদের মত আল্লাহ এবং রাসূল (সা) এর প্রিয় বান্দা হিসেবে জীবন পরিচালনা করতে পারব। তাই আমাদের উচিত সাহাবীদের মত করে আমাদের জীবন পরিচালনা করা। কিছু মহিলা সাহাবীদের নাম নিম্নরূপ:
১. উমাইরা (রাঃ
২. উম্মে হানী (রাঃ)
৩. তামীমা (রাঃ)
৪. জামীলা (রাঃ)
৫. হাবিবা (রাঃ)
৬. হাফসা (রাঃ)
৭. হাওয়া (রাঃ)
৮. রযীনা (রাঃ)
৯. রুকাইয়া (রাঃ)
১০. রায়হানা (রাঃ)
Leave a Reply