যে সকল ব্যক্তিদের নির্দিষ্ট বয়স হয়েছে অথবা বয়স্ক ভাতা পাওয়ার জন্যযোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছেন তারা অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করবেন। বয়স্ক ভাতা আবেদন ফরম অনলাইন এর মাধ্যমে পাওয়া যাচ্ছে এবং এটা যখন অনলাইনের মাধ্যমে পূরণ করে সাবমিট করবেন তখন পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করার ব্যবস্থা করা হবে। এমআইএস ভাতা নামক একটা অফিশিয়াল ওয়েবসাইট চালু হয়ে থাকলেও পরবর্তীতে মাই গভ বিডি এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে বয়স্ক ভাতার আবেদন সংক্রান্ত লিংক পাওয়া যাচ্ছে। তাই সেই লিংক এর ওপরে ক্লিক করে আপনারা সরাসরি আবেদন করতে পারেন এবং যারা বয়স্ক ভাতা পাওয়ার যোগ্য তারা অবশ্যই এই টাকা পাওয়ার জন্য সঠিক নিয়ম অনুসরণ করতে পারেন।
অতীতে দরিদ্র ব্যক্তিদের বয়স্ক ভাতা দেওয়ার প্রচলন থাকলেও বর্তমান সময়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী বয়স হবে এমন সকল ব্যক্তিদের আবেদন করার জন্য বলেছেন। কারণ বৃদ্ধ বয়সে নিজেদের ব্যক্তিগত খরচের জন্য এই টাকাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনার বয়স যদি তাদের নিয়ম অনুযায়ী সঠিকভাবে হয়ে যায় তাহলে অবশ্যই এনআইডি কার্ডের তথ্য অথবা এন আই ডি কার্ডের নাম্বার প্রদান করার ভিত্তিতে অটোমেটিক ভাবে চেক করে দেখতে পারবেন।
অর্থাৎ আবেদন করার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আপনারা এনআইডি কার্ডের নাম্বার দিলেই সেখানে বয়স ক্যালকুলেটর মাধ্যমে আপনি বয়স্ক ভাতা পাওয়ার যোগ্য কিনা তা জানিয়ে দেওয়া হবে। তাই আপনাদের এই ক্ষেত্রে আমরা মাই গভ বিডি এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য বলবো। সেখানে ভিজিট করলেই আপনারা ভাতা এবং ঋণ সংক্রান্ত একটা অফিসিয়াল অপশন পেয়ে যাবেন যেখানে ক্লিক করলে অনেক অনেক অপশন আপনাদেরকে দেখানো হবে। তাই নিজ দায়িত্বে আপনারা সেই অপশনটিতে ক্লিক করার পর বয়স্ক ভাতা মঞ্জুরীর আবেদন নামক অপশনের উপরে ক্লিক করুন।
অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করার ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি আবেদনকারীর সেখানে একটি অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। যেহেতু আপনারা আবেদনের পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করতে চাইছেন সেহেতু এটা সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন করার অপশনটিতে ক্লিক করলেই মোবাইল নাম্বার এবং পাসওয়ার্ড সেট করার মাধ্যমে তা করা যাবে। তাই খুব সহজ নিয়ম অনুসরণ করে সেখানে একটা অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করে পরবর্তীতে লগইন অপশনে ক্লিক করবেন।
লগইন অপশনে আপনার মোবাইল নাম্বার ও পাসওয়ার্ড প্রদান করে যখন অসম্পূর্ণ প্রোফাইল আপনাদেরকে দেখানো হবে তখন সেখানে প্রবেশ করে আপনাদের তথ্যগুলো ধাপে ধাপে পূরণ করতে হবে। বিশেষ করে বয়স্ক ভাতার তথ্যগুলো পূরণ করার ক্ষেত্রে সর্ব প্রথমে আপনাদের জাতীয় পরিচয় পত্র ও জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্য যাচাই করতে হবে। এছাড়া যদি পাসপোর্ট থেকে থাকে অথবা অন্যান্য ডকুমেন্টস থেকে থাকে তাহলে সেগুলো দিয়েও আপনার বয়স যাচাই করে দেখা যাবে।
এরপর আপনাদের ব্যক্তিগত তথ্যের ঘরে চলে আসতে হবে এবং যার জন্য বয়স্ক ভাতার আবেদন করছেন তার নাম বাংলায় ও ইংরেজিতে এনআইডি কার্ড অনুযায়ী প্রদান করতে হবে। ঠিক একই ভাবে আবেদনকারীর পিতা ও মাতার তথ্য প্রদান করতে হবে এবং অন্যান্য যে সকল ব্যক্তিগত তথ্য যাওয়া হয়েছে সেগুলো আপনারা অপশনের মাধ্যমে অথবা লিখে লিখে প্রদান করবেন। সঠিক নিয়ম অনুযায়ী আপনারা পরবর্তী ধাপে গিয়ে ঠিকানা সংক্রান্ত তথ্য এবং আরো যে সকল বিষয় চাওয়া হবে সেগুলো পূরণ করতে পারলেই আপনার আবেদন মোটামুটি ভাবে হয়ে যাবে।
অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করে সেটা সংরক্ষণ করার সুযোগ রয়েছে অথবা আবেদন সম্পন্ন করার পর আপনাদেরকে পিডিএফ ফাইল আকারে ডাউনলোড করার সুযোগ প্রদান করবে বলে এটা ডাউনলোড করতে পারবেন। তবে আবেদন সাবমিট করার পর আপনাদের যে ট্রাকিং আইডি প্রদান করবে সেটা অবশ্যই সংগ্রহ করে রাখবেন যাতে পরবর্তীতে আপনার আবেদনের অগ্রগতি সম্পর্কে ধারণা অর্জন করা যায়। মোটকথা হলো যে, আবেদন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করে সাবমিট করতে পারলে পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করে নিতে পারবেন এবং সেটা সমাজসেবা অধিদপ্তরের যে স্থানীয় অফিস রয়েছে সেখানে প্রদান করতে পারবেন।
Leave a Reply