বর্তমান সময়ে আপনাদের বয়স যদি এনআইডি কার্ড অনুযায়ী পুরুষদের ৬৫ এবং নারীদের ৬২ হয়ে থাকে তাহলে বয়স্ক ভাতা অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করে ফেলুন। তবে একজন বৃদ্ধ মানুষ হিসেবে আপনারা যদি এটা করতে না পারেন তাহলে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরকে এ বিষয়ে জানালে তারা আপনাদেরকে সহায়তা করতে পারে। তাছাড়া সরাসরি যদি আপনারা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপজেলা ভিত্তিক যে অফিস রয়েছে সেখানে গিয়ে যোগাযোগ করতে পারেন তাহলে তারাও আপনাদেরকে সহায়তা করতে পারেন। তবে বাড়ি থেকে যদি উপজেলা অফিস দূর হয়ে থাকে তাহলে এলাকার যে সকল জনপ্রতিনিধি রয়েছে তাদের মাধ্যমেও আপনারা এই কাজগুলো করে নিতে পারেন।
এর আগে প্রত্যেকটি উপজেলায় নির্দিষ্ট সংখ্যক কার্ড আসতো বলে নির্দিষ্ট সংখ্যক ব্যক্তিকে বয়স্ক ভাতা প্রদান করা হতো। কিন্তু বর্তমান সময়ে এই নিয়মের পরিবর্তণ এসেছে এবং আপনার বয়স যদি ৬৫ বছর হয়ে থাকে এবং আপনি যদি বয়স্ক ভাতা পাওয়ার জন্য শর্তগুলো পূরণ করতে পারেন তাহলে নিশ্চিতভাবে তা পাবেন। তাই বয়স্ক ভাতা পাওয়ার জন্য আপনাকে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে এবং আপনার এনআইডি কার্ড অনুযায়ী বয়স ৬৫ বছর এবং নারীদের ৬২ বছর হতে হবে।
তাই বয়স্ক ভাতা অনলাইন রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করার জন্য আপনাদেরকে এখন এমআইএস ভাতা গভ বিডি এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এর পরিবর্তে সরাসরি চলে যেতে হবে মাই অফ বিডি এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে। কারণ এই অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনাদেরকে আবেদন করার সুযোগ প্রদান করা হবে বলে সেখান থেকে ভাতা ও ঋণ প্রদান নামক যে অপশন রয়েছে সেখানে ক্লিক করলে ২ নাম্বারে আপনারা বয়স্ক ভাতার আবেদন করার পেজ পেয়ে যাবেন।
নিয়ম অনুযায়ী অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করার সঠিক জায়গাতে আপনারা যেতে পেরেছেন বলে সেখানে গিয়ে সর্ব প্রথমে যার বয়স্ক ভাতা করবেন তার জন্য একটা মোবাইল নাম্বার ও পাসওয়ার্ড দিয়ে একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে। যখন এটা রেজিস্ট্রেশন করে নিতে পারলেন তখন আপনাদেরকে এনআইডি কার্ড অথবা জন্ম নিবন্ধন অথবা অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে বয়স যাচাই করতে হবে। আর বয়স যদি এনআইডি কার্ড অথবা জন্ম নিবন্ধন সনদ অনুযায়ী হয়ে যাই তাহলে সেটা অবশ্যই আবেদন করার সুযোগ প্রদান করবে।
অনলাইনে তথ্য রেজিস্ট্রেশন করার জন্য আবেদনকারীর নিজের নাম এবং তার পিতা মাতার নাম সেখানে সুন্দরভাবে যে নিয়ম অনুসরণ করে প্রদান করার কথা বলা হয়েছে সে নিয়ম অনুসরণ করে প্রদান করুন। এছাড়াও ঠিকানা সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করার পাশাপাশি আপনাদের ইনকামের উৎস অথবা আপনি পেশাগত জীবনে কি ছিলেন সে সকল বিষয় উল্লেখ করতে হবে। অর্থাৎ একটি আবেদনের ক্ষেত্রে সরকারিভাবে আপনাদের থেকে যে সকল তথ্য যাওয়া হয়েছে সেগুলো সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।
যদি আপনাদের থেকে ছবি চাওয়া হয় তাহলে আপনারা সেগুলো সঠিকভাবে পূরণ করবেন এবং সেখানকার লাল স্টার চিহ্ন প্রদান করা প্রত্যেকটি ঘরের তথ্য বাধ্যতামূলকভাবে প্রদান করতে হবে। এভাবে অনলাইনের মাধ্যমে বয়স্ক ভাতা সংক্রান্ত কাজগুলো সম্পন্ন করার পর আবেদনপত্র যখন সাবমিট করবেন তখন আপনাদেরকে একটা নির্দিষ্ট ট্রাকিং আইডি প্রদান করা হবে। অবশ্যই নিজ দায়িত্বে এই ট্রাকিং আইডি সংগ্রহ করে রাখবেন যাতে পরবর্তীতে আপনারা সেই আইডি নাম্বার দিয়ে আপনার আবেদনের অগ্রগতি কতদূর সাধন হয়েছে তা চেক করে দেখতে পারেন।
অনলাইনে তথ্য রেজিস্ট্রেশন করার ক্ষেত্রে কোন ধরনের ভুল ভ্রান্তি করা যাবে না। আবেদনপত্র যদি আপনাদেরকে উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের অফিসে জমা দিতে বলে তাহলে সেখানে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে জমা দিন। তবে আবেদন সঠিকভাবে সাবমিট করতে পারলে আপনারা নিশ্চিত ভাবে এটা পেয়ে যাবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। বর্তমান সময়ে প্রত্যেকটি বয়স্ক ব্যক্তিকে বয়স্ক ভাতা প্রদান করবে বলে জানিয়েছেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই বয়স অতিক্রম করতে পারলেই আপনারা এই ভাতা পেয়ে নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর যে টাকা প্রদান করা হবে সেটা দিয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় প্রয়োজনগুলো সম্পন্ন করুন।
Leave a Reply