মাস্টার্সে ভর্তি হওয়ার জন্য যারা অঙ্গীকারনামা ফরম কিভাবে কি করতে হবে বুঝতে পারছেন না তারা যদি আমাদের এই পোস্ট করেন তাহলে খুব সহজেই সমাধান পাবেন এবং আপনাদের কাছে এই অঙ্গীকারনামা ফরম সম্পর্কে ধারণা আছে তা স্পষ্ট হয়ে যাবে। আমাদের এই পোষ্টের মাধ্যমে আজকে আপনারা মাস্টার্সের অঙ্গীকারনামা ফরম কি এবং কিভাবে পূরণ করতে হয় এবং কোথায় পাওয়া যায় তা বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন।
অঙ্গীকারনামা ফরম হলো এমন একটি ফ্রম যেটি আপনি কম্পিউটারের দোকান অথবা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করে নিতে পারবেন। এই ফরমটি আপনারা যথাযথভাবে পূরণ করে মাস্টার্স এর ভর্তির কাজে লাগাতে পারবেন। তাছাড়া অঙ্গীকারনামা পত্র এর ভেতরে এমন কিছু কিছু অপশন রয়েছে যেগুলো আপনারা কিভাবে পূরণ করলে সঠিক এবং নির্ভুল হবে তা জেনে নিতে পারেন আজকের এই পোস্ট পড়ে। অঙ্গীকারনামা পত্র টি হাতে পূরণ করতে হয় এবং সেটি খুব সুন্দর ভাবে স্পষ্ট ভাষায় লিখতে হয়। যারা এই অঙ্গীকারনামা পত্র সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তারা আজকের এই পোষ্ট পড়বেন তাহলেই আপনাদের মনের ভেতরে যে ধরনের ধারণা রয়েছে তা স্পষ্ট হয়ে যাবে।
মাস্টার্স ভর্তি অঙ্গীকারনামা PDF
সাধারণত একজন শিক্ষার্থী অনার্স শেষ করে মাস্টার্সে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারে। তাছাড়া যারা ডিগ্রী কোর্স সম্পন্ন করেছেন তারা মাস্টার্স এর প্রিলি দিয়ে পরবর্তীতে মাস্টার্স শেষ বর্ষের জন্য আবেদন করতে পারেন। আবেদন করতে গিয়ে বেশ কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন হয় এবং এই সকল কাগজপত্র এর মধ্যে অঙ্গীকারনামা পত্র একটি গুরুত্বপূর্ণ কাগজ। অনেকেই হয়তো জানেন না যে এই অঙ্গীকারনামা পত্রটি কি এবং এটি কোথায় পাওয়া যাবে। তাই আপনাদের সুবিধার্থে আমাদের ওয়েবসাইটে অঙ্গীকারনামা ফরম দিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং এই ফর্ম এর সকল তথ্য কিভাবে আপনারা পূরণ করবেন কারো সাহায্য ছাড়াই সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
মূলত, অঙ্গীকার নামা পত্রে আপনার স্বাক্ষরসহ আপনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং অনার্স এর বিবরণ দিয়ে একটি তথ্যসমৃদ্ধ ফর্ম। জিটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে স্ক্যান করে পিডিএফ ফাইল আকারে সাবমিট করার পাশাপাশি আপনি যে কলেজে আবেদন করেছেন সেই কলেজে সরাসরি গিয়ে জমা দিতে হবে। যারা ইতোমধ্যে মাস্টার্স এর জন্য আবেদন করে ফেলেছেন তাদের কাছে এই অঙ্গীকারনামা পত্র অত্যন্ত একটি সহজ। কিন্তু যারা অঙ্গীকারনামা পত্র এখনো পূরণ করেননি এবং মাস্টার্সের প্রাথমিক আবেদনের জন্য কোন কাজ করেননি তাদের কাছে হয়তো অনেক কিছু এবং কঠিন একটি বিষয় মনে হতে পারে।
তার জন্য দেশের মাস্টার্সে ভর্তির শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আমাদের ওয়েবসাইটে আজকে এই নতুন কনটেন্ট লেখা হলো, যাতে আপনারা মাস্টার্সের অঙ্গীকারনামা পত্র সম্পর্কে জানতে পারেন এবং নিজের উদ্যোগেই এই ফর্ম পূরণ করে কাজ করতে পারেন। সাধারণত অঙ্গীকার নামা পত্রে আপনার নাম, আপনার পিতা-মাতার নাম, আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার, অনার্স পাশ করেছেন কোথা থেকে, অনার্স পাসের সাল, আপনার রেজাল্ট কি এবং কত’র ভেতরে কত পেয়েছেন সেই গুলো উল্লেখ করতে হবে।
তবে এ সকল অপশন এর ভেতরে আপনারা কিছু কিছু অপশন পূরণ করতে গিয়ে বেশ ঝামেলায় পড়েন। এ বিষয়ে হয়তো আপনারা ফেসবুকে পোস্ট করেন অথবা নিকটস্থ বন্ধুর কাছে জানতে চান যে এই ফাঁকা করে তারা কি লিখেছে এবং কিভাবে কোন তথ্য দিয়ে পূরণ করেছে। যেহেতু আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে এসে পড়েছেন সেহেতু কথা না বাড়িয়ে আমাদের ওয়েবসাইটের এই পোষ্টের মাধ্যমে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্গীকারনামা PDF
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্গীকারনামা ইতোপূর্বে দুইভাগে ভাগ হয়েছিল। অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা সাপেক্ষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় একটি অঙ্গীকারনামা ফরম পূরণ করে পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ হওয়ার সুযোগ প্রদান করে। তবে আমরা অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্গীকারনামা বিষয়ে কথা না বলে আমরা মাস্টার্স এর ভর্তি অঙ্গীকারনামা সম্পর্কিত কথা বলব।
মাস্টার্স ভর্তির জন্য প্রাথমিক আবেদন করতে হলে আপনারা যে কলেজ চয়েজ দিবেন সেই কলেজে চয়েজ দেওয়ার ক্ষেত্রে অনলাইনের কাজে এবং কলেজে জমা দেওয়ার কাজে এই অঙ্গীকারনামা পত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। অঙ্গীকারনামা পত্র দেখলে আপনারা বুঝতে পারবেন যে কোন ঘরে কি পূরণ করতে হবে। তারপরেও আপনাদের সুবিধার্থে আমাদের ওয়েবসাইটে এখন বিস্তারিতভাবে কোন ঘরে কি তথ্য দিতে হবে তা জানিয়ে দেওয়া হবে।
সাধারণত অঙ্গীকারনামা পত্রটির পিডিএফ ফাইল আমাদের ওয়েবসাইটে আপনারা পেয়ে গেলেও এটি প্রিন্ট করার হয়তো অপশন আপনাদের হাতে নেই। তাই আপনারা নিকটস্থ কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে অঙ্গীকারনামা পত্র টির প্রিন্ট চেয়ে নিন এবং সেটি পূরণ করুন। যারা ভাবছেন মাস্টার্স ভর্তি হতে গেলে কি কি কাগজপত্র লাগবে তারা অনার্স এর রেজিস্ট্রেশন কার্ড, চতুর্থ বর্ষের এডমিট কার্ড, ছবি সহ অন্যান্য কিছু কাগজপত্র নিয়ে যেতে পারেন। তাছাড়া অন্যান্য কাগজ এবং টাকা পরিশোধের কাগজ আপনারা কম্পিউটার বা অনলাইনের দোকান থেকে সম্পন্ন করতে পারবেন। অঙ্গীকারনামা পত্র যে ঘরে যে তথ্যগুলো দিবেন সেগুলো এখন দেখে নিন।
*উপরের শূন্যস্থানের ঘরে আপনারা যে বিষয়ে থেকে অনার্স সম্পন্ন করেছেন সেই বিষয়ের নাম লিখবেন।
*তার পরের ঘরে আপনারা নিজেদের নাম লিখবেন।
*তারপরের ঘর গুলোতে আপনার পিতার নাম এবং মাতার নাম লিখবেন।
*জন্ম তারিখ এর ঘরে আপনার জন্ম তারিখ বসাবেন এবং এই জন্ম তারিক অবশ্যই আপনার এসএসসি সার্টিফিকেট অনুযায়ী হতে হবে।
*জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বারের ঘরে আপনাদের জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার সঠিকভাবে পূরণ করুন।
*স্নাতক পর্যায়ে উর্ত্তীন্ন পরীক্ষার নামের ঘরে আপনারা লিখবেন স্নাতক (সম্মান)। তাছাড়া আপনারা বিবিএ, বিএসসি, বিবিএস, বিএ ইত্যাদি কোর্সের নাম লিখতে পারেন।
*যে সালের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন সেটা আপনারা অনার্স পাসের সাল হিসেবে লিখুন।
*পরবর্তী ঘরগুলোতে আপনারা চতুর্থ বর্ষের রোল নাম্বার এবং রেজিস্ট্রেশন কার্ডের নাম্বার লিখুন।
*বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম বা প্রতিষ্ঠানের নামের ঘরে আপনারা যে কলেজ থেকে অনার্স পাশ করেছেন সেই কলেজের নাম লিখবেন।
*অনার্সে আপনি যত সিজিপিএ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন সেই সিজিপিএ লিখবেন এবং শেষের ঘরে ৪.০০ লিখুন। নিচে অবশ্যই আপনাদের স্বাক্ষর দিন এবং সেইসাথে তারিখ লিখুন। তবে অঙ্গীকারনামায় যে স্বাক্ষর দেবেন সেই স্বাক্ষর পরবর্তী কাগজপত্রেও দিতে হবে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্গীকারনামা ফরম
আশা করি এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্গীকারনামা ফরম পেয়ে গেছেন এবং সেইসাথে কিভাবে পূরণ করে নিতে হবে সেগুলো জেনে নিয়েছেন। তার পরেও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্গীকারনামা ফরম অথবা মাস্টার্স ভর্তির জন্য অঙ্গীকারনামা পত্র বিষয়ক যদি কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে নির্দ্বিধায় আমাদের ওয়েবসাইটের মন্তব্য বক্সে জানাবেন। আমরা যত দ্রুত সম্ভব আপনাদের মন্তব্যের উত্তর প্রদান করব। সবাইকে ধন্যবাদ।
Leave a Reply