অনলাইনে বিয়ে করার নিয়ম

Rate this post

বর্তমানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যুগে দেশের এক প্রান্তে বসে থাকে আর এক প্রান্তে যেকোন কাজ করা সম্ভব হচ্ছে। তেমনি এক দেশে বসে থেকে আরেক দেশে বিপরীত লিঙ্গের মানুষের সঙ্গে বিবাহ সম্পন্ন হওয়ার ক্ষেত্রে অনলাইন মাধ্যম খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তাই পাত্র এবং পাত্রের সম্মতিক্রমে আপনারা যদি অনলাইনে বিবাহ সম্পন্ন করতে চান তাহলে আজকে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনে বিয়ে করার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন। বিয়ে একটি সামাজিক রীতি এবং ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দুইজন নর-নারী একসঙ্গে বসবাস করার সামাজিক স্বীকৃতি পেয়ে থাকে।

এতে করে তাদের জৈবিক চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি সন্তান উৎপাদন এবং সুখে-শান্তিতে একজন আরেকজনের পাশে থাকে আজীবন কাটিয়ে দেওয়াটাই হল বিয়ের মূল উদ্দেশ্য। তবে কোনো কারণে যদি আপনাদের পাত্র অথবা পাত্রী পছন্দ হয়ে থাকে এবং কোন একজন যদি বিদেশে থাকে তাহলে হয়তো আপনারা অনলাইনে বিয়ে করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাইবেন। তবে বিয়ের কিছু সাধারন নীতি রয়েছে এবং এই নীতিগুলো যদি আপনারা মেনে চলতে পারেন তাহলে দেখা যাবে যে বিয়ের সকল শর্তপূরণ সাপেক্ষে আপনারা এটি সম্পন্ন করতে পারছেন।

প্রথমত যাদের মধ্যে বিয়ে সম্পন্ন হবে তাদের মধ্যে সম্মতি থাকতে হবে এবং উভয় পরিবারের পক্ষ যদি রাজি থাকে তাহলে বিয়ের প্রথম শর্ত পূরণ হবে। বিয়ে করার ক্ষেত্রে আপনাদেরকে দুই পক্ষের সম্মতি গ্রহণ করতে হবে এবং দুই পক্ষ যাতে তিনবার করে অন্তত কবুল বলে এবং এক্ষেত্রে যেন সাক্ষীর উপস্থিতিতে কবুল বলে সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। তবে যখন কোন পাত্র তিনবার কবুল বলে তখন সেখানে যেমন পাত্রের লোক উপস্থিত থাকে তেমনি হবে পাত্রীর লোক বা সাক্ষী উপস্থিত থাকে।

ঠিক একই বিষয়ে পাত্রের বেলাতেও হয়ে থাকে। তাই অনলাইনে যখন বিবাহ সম্পন্ন হবে তখন পাত্র এবং পাত্রের উভয় পক্ষ সকলে যেন সেখানে উপস্থিত থাকে সেই বিষয়গুলো মেনে চলতে। অনলাইনে বিবাহের পূর্বে পাত্র এবং পাত্রের মধ্যে কথা বলে জেনে নিতে হবে তারা এই বিষয়ে সম্মতি আছে কিনা। যদি সম্মতি থেকে থাকে তাহলে পাত্রের কাছে একজন মাওলানা থাকতে হবে যিনি এই বিবাহ পরিয়ে থাকবেন। তবে বিবাহের একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হলো আপনাকে কাবিননামা নির্ধারণ করতে হবে এবং বিবাহ নিবন্ধন করতে হবে।

বিবাহ নিবন্ধন করতে হলে আপনাকে অবশ্যই উভয় পক্ষের সাক্ষ্য গ্রহণ করতে হবে এবং পাত্র-পাত্রী যেন উভয় এ বিষয়গুলোতে স্বাক্ষর করে সে বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে হবে। না হলে পরবর্তীতে সন্তান জন্মগ্রহণ করলে ওয়ারিশ সংক্রান্ত যে সমস্যাগুলো হয়ে থাকে সেগুলো ঝামেলা হয়ে যাবে। যদিও পাত্র অথবা পাত্রী দেশের বাইরে রয়েছে তার পরেও তাঁদেরকে যখন অনলাইনের মাধ্যমে বিবাহ সম্পন্ন করে থাকবেন তখন তাদেরকে এক মাসের ভেতরে দেশে ফিরে আসতে বলবেন এবং কাবিননামায় যে স্বাক্ষর লাগে সেই বিষয়গুলো আপনারা দেখভাল করে সম্পূর্ণ করলেই অনলাইনের মাধ্যমে প্রাথমিক বিবাহ সম্পন্ন হবে এবং কাবিননামার মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে সরকারি খাতায় বিবাহের নিবন্ধন থাকার মাধ্যমে সেই বিবাহ জায়েজ হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button