অনুভূতি বাহ্যিক কোন কিছু নয়। আবার দৃশ্যমান কোন বিষয়ও নয়। অনুভূতি হল শরীর ও মনের একটি বিশেষ অবস্থা , যার দ্বারা বহির্জগতের উদ্দীপনা ভেতরে উপলব্ধ হয়। অর্থাৎ অনুভব করার অবস্থাই হল অনুভূতি। অনুভূতি দুই প্রকার । যথা- শারীরিক অনুভূতি ও মানসিক অনুভূতি। শারীরিক অনুভূতি হল শারীরবৃত্তীয় কাজ। আর বাহ্যিক ঘটনার যে মানসিক ছাপ পড়ে তাই হল মানসিক অনুভূতি। এই মানসিক অনুভূতির মধ্যে সুখ , দুঃখ, বেদনা, ভালোবাসা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য । মানুষের মনে ভালোবাসার জগৎ এক বিশাল অনুভূতির জগৎ।
অনেক সময় দেখা যায় অনেকে অনুভূতি বিষয়টি সম্পর্কে সার্চ করে। আপনি কি অনুভূতি বিষয়টি সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় জানতে চান? তাহলে আজকের পোস্টটি আপনার জন্যই। কেননা আজকের পোস্টটি সাজানো হয়েছে অণুভূতি সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। এখান থেকে যে কেউ খুব সহজেই অনুভুতি সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় জানতে পারবেন বলে আশা করছি।
অনুভুতি সম্পর্কে বিভিন্ন বিখ্যাত ব্যক্তি বিভিন্ন ধরণের উক্তি করেছেন। কিছু উক্তি তুলে ধরা হলো:
১. “সবকিছু বরে বুঝানো যায় না, কিছু কিছু কথা অনুভবে বুঝে নিতে হয়।”- সংগৃহিত।
২. “নিজের বোধের আগে অন্যের অধিকার এবং নিজের অধিকারের আগে অন্যের অনুভূতি বিবেচনা করুন৷”- জন উডেন।
৩. “বিশ্বের সেরা এবং সবচেয়ে সুন্দর জিনিসগুলি দেখা বা ছোঁয়া যায় না। এগুলি অবশ্যই হৃদয় দিয়ে অনুভব নিতে হয়।”-হেলেন কিলার।
৪. “আমি মানুষের অনুভূতিতে আঘাত করা পছন্দ করি না এবং নীতিগত বিষয় হিসেবে আমি অন্য লেখকদের সমালোচনা পছন্দ করি না। ” লিডিয়া ডেভিস।
৫. “আমরা সত্যের উপর আইন প্রযোগ করি। আমরা সত্যের উপর অনুভূতি প্রয়োগ করি না।”- সোনিয়া সটোমায়র।
৬. “অনুভূতি হলো মানুষের সবচেয়ে বড় শক্তি, এটা দিয়ে মানুষ ভালো-মন্দ বুঝে নিতে পারে।”- সংগৃহীত।
৭. “প্রকৃত সুখ ভিতর থেকে আসে, এবং প্রায়ই এটি আনন্দের স্বতঃস্ফূর্ত অনুভূতিতে আসে।”- অ্যান্ড্র ওয়েইল।
৮. “বাস্তবতা এতই কটিন যে কখনও কখনও বুকের ভিতর গড়ে তোলা বিন্দু বিন্দু ভালোবাসাও অসহায় হয়ে পড়ে।”- হূমায়ূন আহমেদ।
প্রত্যেকটা মানুষের জীবনেই অনুভূতি রয়েছে৷ অনুভূতির কারনেই মানুষ একে অপরকে ভালোবাসতে পারে৷ বিভিন্ন সম্পর্কে জড়াতে পারে। অনুভূতির কারণেই মানুষ হাসি, আনন্দ, ভালো লাগা, খারাপ লাগা প্রকাশ করতে পারে। তাই সব মানুষের আচরন এক নয় কেননা সবার অনুভূতি একই রকম নয়।
আবার অনুভূতিহীন মানুষ পাথরের মতো। পাথরের যেমন জীবন থাকে না। কোন আবেগ অনুভূতি থাকে না। তেমনি আবেগহীন মানুষেরও এরকম কোন অনুভূতি থাকে না। তারা মানুষকে ঠিকমতো ভালোবাসতে জানে না। আগলে রাখতে জানে না। তারা জীবনকে উপভোগ করতেও জানে না। অনুভূতিহীন মানুষ বেঁচে থেকেও মৃতের মতো জীবন ধারণ করে। তাই অনুভূতিহীন হওয়াও যাবে না।
মানুষের জীবনকে ভালোভাবে জানতে হলে, জীবনের সুখ- শান্তি ঠিকমতো উপভোগ করতে হলে অবশ্যই অনুভূতি থাকাটা জরুরি। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে অনুভূতিটা যেন অতিরিক্ত না হয়ে যায়৷ আবেগ- অনুভূতিকে নিয়ন্ত্রণ করা শিখতে হবে। আবেগ- অনুভূতি যেন নিজেকে নিয়ন্ত্রণ না করে এই বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। আর অনুভূতি দিকে নয়, সিন্ধান্ত নিতে হবে বিবেক দিয়ে, আবেগ, অনুভূতি ও বিবেকের সংমিশ্রণে।
আবেগ -অনুভূতি আছে বলেই মানুষের জীবন এত সুন্দর। অনুভূতি ছাড়া জীবন কখনো এতটা সুন্দর হতো না। আর আবেগ- অনুভূতি আছে বলেই ভালোবাসা আছে। আর ভালোবাসার দ্বারাই এই সুন্দর পৃথিবীটাকে আরো সুন্দর করে গড়ে তোলা সম্ভব। তাই জীবনকে সুন্দরভাবে উপভোগ করতে হলে অবশ্যই আবেগ- অনুভূতিশীল হতে হবে। তবে সিন্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র আবেগ -অনুভূতিতে প্রাধান্য দিলে হবে না৷ সিন্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আবেগ -অনুভূতির চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে বিবেককে।
Leave a Reply