
যদি আমরা জীবনের প্রতিটি কাজে ধৈর্য ধারণ করে তাহলে আমাদের ভেতরে অস্থিরতা সেনা এবং আমরা যে কোন বিষয়ে নীরব ও শান্ত থাকতে পারি। কিন্তু বর্তমান সময়ের এক বড় ধরনের অসুখ আমাদের সকলের মধ্যে কম বেশি রয়েছে। আর সেটি হল অস্থিরতা। আমাদের ভেতরে যখন ধৈর্যের পরিমাণ কমে যায় তখন এই অস্থিরতা আমাদের খুব তাড়াতাড়ি কাজ করে।
আপনি যদি ছোটখাটো যেকোনো কাজে আপনার ভেতরে অস্থিরতা পোষণ করেন এবং অস্থিরতার কারণে কোন কাজে মনোনিবেশ করতে না পারেন, তাহলে আপনি আমাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া উক্তি গুলো পড়ে দেখতে পারেন। যদি আপনার ভেতরে শিক্ষা অর্জনের প্রবণতা থাকে এবং শিক্ষা অর্জন করে আপনি সেটা মেনে চলতে পারেন তাহলে এই অস্থিরতা নিয়ে উক্তি আপনাদের অনেক কাজে লাগবে। জীবনের যেকোনো মুহূর্তে আপনারা ধৈর্য ধারণ করতে পারবেন এবং আপনাদের ভিতর অস্থিরতা কাজ করবে না।
মানব জীবন বড়ই অদ্ভুত। যেখানে অন্যান্য জীবেরা তাদের দৈনন্দিন জীবনের জন্য আহারের ব্যবস্থা হয়ে গেলে আর কোন চিন্তা করতে থাকে না, সেখানে একজন মানুষ সবসময় ভবিষ্যতের চিন্তায় অস্থির হয়ে ওঠেন। ভবিষ্যতের চিন্তায় অস্থির হয়ে ওঠায় তাকে বিভিন্ন সমস্যার মুখে পতিত করে।
আপনার সকল কিছু থাকার পরেও আপনার হয়তো বড় ধরনের কোনো ইচ্ছা রয়েছে এবং ইচ্ছা যখন আপনি পূরণ করতে যান তখন আপনার ভেতর অস্থিরতা কাজ করে। অনেক মানুষ আছেন কোন কিছুতে অপেক্ষা করতে পারেন না। মুখ দিয়ে বলা মাত্রই তারা সেই কাজ সম্পন্ন করতে চান। তবে আপনারা যদি মো কোন কাজে সুস্থির হতে পারেন তাহলে এটা আপনাদের জন্য অনেক লাভ।
বর্তমান সময়ের যুবকদের দিকে তাকালে দেখা যাবে যে তারা সবসময় অস্থিরতার ভেতর দিয়ে সময় কাটাই। তারা কাজের কাজ কিছু না করেই ফলাফল লাভের চেষ্টা করে। এটা তাদের নিজেদের প্রতি এক ধরনের অবিচার করা বোঝায়। তারা যদি তাদের জীবনের জন্য সঠিক পথে চলতে এবং নিয়মিতভাবে কঠোর পরিশ্রম করে যেত, তাহলে তারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে একটি কাজ ছুটি নিতে পারত।
এখন তারা শেষ বয়সে এসে হয়তো কোনো কাজ ছুটি নিতে পারছে না এবং কাজের জন্য গেলেও তাদের সেখানে অস্থিরতা কাজ করছে যে সেই কাজটি তাদের হবে কিনা সে বিষয়ে।তাই আপনারা আপনাদের যা আছে তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকার চেষ্টা করুন এবং কোন কিছু প্রাপ্তির আকাঙ্ক্ষা থাকলে সেই প্রাপ্তির আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী কাজ করতে শুরু করে দেন।
আপনাদের ভিতরে যদি অস্থিরতা খুব বেশি কাজ করে তাহলে আপনারা মানসিক প্রশান্তির চর্চার জন্য ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে চলবেন। খুব ভোরে উঠে আপনারা যদি বাইরে হাঁটতে বের হন তাহলে এই হাঁটার ভেতর দিয়ে আপনাদের অনেকখানি অস্থিরতা এবং মানসিক স্ট্রেস চলে যাবে। তাছাড়া মাঝেমধ্যে প্রকৃতি দেখতে বের হবেন এবং ঘরের মধ্যে একা না থেকে বাইরে বের হয়ে সকলের সঙ্গে মেশার চেষ্টা করবেন এবং সকলের দুঃখ কষ্ট বোঝার চেষ্টা করবেন।
তাই অন্যের সঙ্গে মিশলে আপনি বাস্তব জীবন সম্পর্কে ধারণা অর্জন করতে পারবেন এবং আপনার ভেতরে যে অস্থিরতা রয়েছে তা নিমিষেই দূর হয়ে যাবে। তাছাড়াও যারা ভেতরে ভেতরে দৃঢ় শক্তি অর্জন করতে চাচ্ছেন তারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে অস্থিরতা নিয়ে উক্তি ফোন এবং চাইলে সেগুলো সংগ্রহ করেন।
Leave a Reply