পেটে জ্বালাপোড়া অত্যন্ত কষ্টের একটি রোগ এবং এই জ্বালাপোড়া আমাদের বিরক্তিকর অভিজ্ঞতা দেয়। মাঝেমধ্যে জ্বালাপোড়া হওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার তার কারণ হলো আমরা যে খাবারগুলো খেয়ে থাকি সে খাবারগুলোতে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকারক পদার্থ থাকে তাই সেই পদার্থগুলোর প্রতিক্রিয়ার কারণে মাঝেমধ্যে পেটে জ্বালাপোড়া হতে পারে। কিন্তু যে জ্বালাপোড়া গুলো নিয়মিত হতে থাকে সে জ্বালাপোড়া গুলোকে অবহেলা করা উচিত নয়।
সবার প্রথম আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে এই জ্বালাপোড়া কোন বড় অসুখের লক্ষণ কিনা। যদি বড় অসুখের লক্ষণ হয় তাহলে কি করতে হবে সেটা ডাক্তার সাহেব ভালো বলতে পারবেন তাই একজন ভালো ডাক্তারের কাছে অবশ্যই আপনাকে যেতে হবে। তবে ছোটখাটো সংসার কারণে যদি এই পেটের জ্বালাপোড়া হয় তাহলে অবশ্যই ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি রয়েছে যে পদ্ধতি গুলো আপনি এপ্লাই করতে পারেন যেটা আজকে আমরা আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব।
পেটে গ্যাস হলে বোঝার উপায়
পেটের গ্যাসের কারণে যদি জ্বালাপোড়া হয় তাহলে অবশ্যই আপনি সবার প্রথমে নিশ্চিত হন পেটের জ্বালাপোড়া গ্যাসের কারণে হচ্ছে কিনা। এটা জ্বালাপোড়া যদি গ্যাসের কারণে হয় তাহলে আপনি নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন। তবে যে লক্ষণগুলোর মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন পেটের জ্বালাপোড়া গ্যাসের কারণে হচ্ছে সেই লক্ষণ গুলোর মধ্যে প্রথমে হচ্ছে এই জ্বালাপোড়াটা খাওয়ার পরে বেশি হবে। এরপর এই জ্বালাপোড়া গ্যাসের ওষুধ একটু কমে আসবে এবং এই জ্বালাপোড়া বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময় হতে পারে। এগুলো লক্ষণ দেখে আমরা বুঝতে পারবো এই জ্বালাপোড়া হচ্ছে গ্যাসের কারণে জ্বালাপোড়া।
পেটের জ্বালাপোড়া কমানোর জন্য কি খাওয়া উচিত
পেটে জ্বালাপোড়া কমানোর জন্য সবার প্রথমে আপনি ঘরোয়া পদ্ধতি এপলাই করেন। অবশ্য ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো নিয়মিত সেবনের মাধ্যমে আপনার পেটে জ্বালাপোড়া অনেকটাই কমে যাবে এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পন্ন ওষুধগুলো খাওয়ার ফলে আপনার পেটে জ্বালাপোড়া কমলো সেটা আপনার শরীরে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছেড়ে যায় তাই চেষ্টা করুন ঘরোয়া পদ্ধতিগুলো এপ্লাই করতে। কি ধরা পদ্ধতি আপনারা এপ্লাই করতে পারেন সে সম্পর্কে এখন আমরা আপনাদের বিভিন্ন অংশের মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করব।
পেটে জ্বালাপোড়া এবং পেটের ব্যথা কমানোর জন্য ঘরোয়া পদ্ধতি আদা হচ্ছে অত্যন্ত উপকারী একটি উপাদান। আমরা যাকে অবহেলা করি সেই আদায় আমাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি উপাদান এবং এই আধা আপনি বিভিন্নভাবে সেবন করতে পারেন। আদা চা আমাদের শরীরে পেটে জ্বালাপোড়া এবং পেটের ব্যথা কমানোর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান এছাড়াও আদার রস বিভিন্ন উপাদানের সঙ্গে মিশিয়ে আপনি খেতে পারেন।
এটা জ্বালাপাড়া কমানোর জন্য মধু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান এবং মধু আপনি চাইলে কালোজিরা সঙ্গে মিশিয়ে রোজ সকালে খেতে পারেন। সকালে কালোজিরা সঙ্গে খালি পেটে এই মধু পান করলে অবশ্যই আপনার পেটের জ্বালাপোড়া এবং পেটের বিভিন্ন ধরনের ব্যথা দূরে চলে যাবে।
পুদিনা পাতাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান এবং এর পুদিনা পাতা যদি আপনি বিভিন্নভাবে শরীরে প্রবেশ করাতে পারেন অবশ্যই আপনার শরীরের পেটের জ্বালাপোড়া কমে যাবে। অনেকে রয়েছেন পুদিনা পাতার রস করেন আবার অনেকে রয়েছেন পুদিনা পাতার পেস্ট করেন এবং সেটা মধুর সঙ্গে খেয়ে ফেলেন এটা অত্যন্ত উপকারী একটি জিনিস।
পেটের জ্বালাপোড়া কমানোর জন্য লেবু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান এবং এই লেবু আপনি চাইলে বিভিন্ন উপাদানের সঙ্গে মিশিয়ে বিভিন্নভাবে খেতে পারেন যেটা আপনার পেটের জ্বালাপোড়া কমাতে অত্যন্ত উপকারী একটি বস্তু হবে। এছাড়াও দারুচিনি বিভিন্ন উপায় আমরা ব্যবহার করতে পারি যেটা পেটে জ্বালাপোড়া এবং পেটের গ্যাস্ট্রিক কমানোর জন্য আমাদের অনেক বড় সাহায্য করে।
খাদ্য উপাদানের মধ্যে অ্যাপেল সিড ভিনেগার পেটে জ্বালাপোড়া কমানোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান যেটা আপনি চাইলে নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন। তাই অবশ্যই পানি পান করা এবং নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম কোনভাবেই ভুলে থাকা যাবে না যেটা আপনার এটা জ্বালাপোড়া কমাতে আপনাকে অনেক বেশি সাহায্য করবে।
Leave a Reply