পিল খাওয়ার পর মাসিক না হওয়ার কারণ

পিল খাওয়ার পর মাসিক না হওয়ার কারণ

যে সকল মেয়েদের পিল খাওয়ার পর মাসিক নিয়মিতভাবে হচ্ছে না অথবা পিল খাওয়ার পরেও আপনার যথাসময়ে মাসিক না হওয়ার কারণে চিন্তিত রয়েছেন তারা আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে সেই উত্তর জেনে নিন। দেখা যায় যে অনেকেই তার প্রেমিকার সঙ্গে মিলিত হয়ে গর্ভধারণ প্রতিরোধ করার জন্য পিল খাইয়ে দেয়। এক্ষেত্রে গর্ভধারণ প্রতিরোধ করা যাবে বলে তারা পিল খাওয়ানোর পরে পরবর্তীতে তাদের যে সময়ে মাসিক হয়ে থাকে সে সময় মাসিক হয় না।

এক্ষেত্রে আপনারা চিন্তিত হয়ে থাকেন এবং বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন আপনাদের মনের ভেতরে আনাগোনা করতে থাকে। তাই আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে পিল খাওয়ার পর মাসিক না হওয়ার কারণ সম্পর্কে আপনারা জেনে নিতে পারেন। পিল খাওয়ার পর যদি মাসিক না হয় তাহলে আপনাদেরকে একটি পরামর্শ প্রদান করব। মাসিক হলো মেয়েদের একটি প্রাকৃতিক ব্যাপার এবং প্রত্যেক মেয়ের প্রত্যেকটি মাসের নির্দিষ্ট কোন দিনে অথবা এর কয়েকদিন আগে অথবা পরে মাসিক হয়ে থাকে।

নির্দিষ্ট সময়ের মাসিক না হলে অথবা অনিয়মিত মাসিক হলে একজন নারীর বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা তাই এবং একসময় তাদের ভেতরে বন্ধ্যাত্বের বিষয়গুলো লক্ষ্য করা যায়। যেহেতু আপনি মিলিত হওয়ার পর পিল খাওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন এবং এরপরে যদি লক্ষ্য করেন আপনার প্রেমিকার অথবা আপনার স্ত্রীর অথবা আপনার মাসিক হচ্ছে না তাহলে আপনারা এক্ষেত্রে প্রেগনেন্সি টেস্ট করাতে পারেন।

কারণ গর্ভে বাচ্চা ধারণ করলে মাসিক বন্ধ থাকবে এবং পরবর্তীতে আপনি অন্তঃসত্ত্ব হয়ে গেলে সেটার কারণে বন্ধ হয়ে যাবে। ঘরে বসে আপনারা প্রেগনেন্সি টেস্ট করাতে পারেন এবং অনেক সময় এক্ষেত্রে আপনার প্রেগনেন্সি আসতে পারে অথবা অনেক ক্ষেত্রে সেটা নাও হতে পারে। যদি প্রেগনেন্সি টেস্ট রিপোর্ট নেগেটিভ হয় তাহলে আপনারা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে পারেন এবং তারা যে সকল ওষুধ আপনাদেরকে সাজেস্ট করবে সেগুলো খেলে আপনাদের মাসিক নিয়মিত হবে বলে মনে করি।

তবে পিল খাওয়ার পর মাসিক যদি না হয়ে থাকে তাহলে এর মানে এই না যে তার গর্ভে বাচ্চা সন্তান এসেছে। এটা একটা ধারণা মাত্র এবং এটা ছাড়াও অনেক বিশেষ কারণে মাসিক অনিয়মিত হতে পারে। তাই অধিক চিন্তিত না হয়ে আপনারা পিল খাওয়ার পর মাসিক না হওয়ার কারণ হিসেবে প্রেগন্যান্সিকে দায়ী না করে এটা টেস্ট করাবেন এবং এটা টেস্টের রিপোর্ট যদি নেগেটিভ হয় তাহলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে সঠিক পরামর্শ গ্রহণ করবেন।

তবে মাসিক যদি অনিয়মিত হয় তাহলে এর বিষয়ে অবশ্যই চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে যাতে পরবর্তীতে আপনাদের অন্যান্য শারীরিক সমস্যায় দেখা না দেয়। যেহেতু মাসিক একটি প্রাকৃতিক বিষয় এবং এই সময়ে মেয়েদের বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা হয়ে থাকে তারপরও এটি যদি ক্লিয়ার না হয় অথবা প্রত্যেক মাসে নিয়মিত না হয় তাহলে মেয়েদের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।

অনেকেই আছেন যারা মাসিক নিয়মিত হওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের ওষুধ নিজেদের উদ্যোগে কেন এবং সেটা খাইয়ে থাকেন। প্রত্যেকের শরীরের বডি ফাংশন আলাদা বলে আপনারা নিজেরা ডাক্তারি না করে ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে যদি ওষুধ খাওয়ান তাহলে সেটাই হবে সবচাইতে বুদ্ধিমান কাজ। এ বিষয়ে কেউ জানতে চাইলে অথবা প্রশ্ন করতে চাইলে কমেন্ট বক্সে লিখে জানিয়ে দিন।

About শাহরিয়ার হোসেন 4780 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*