সাধারণত আমাদের শরীর প্রাকৃতিক উপায়ে বেড়ে ওঠে এবং এই প্রাকৃতিক উপায়ে আমরা যদি নিজের শরীরকে বাড়তে দেই তাহলে সেটা আমাদের জন্য সবথেকে ভালো। বর্তমানে বিশ্বের শরীরের বৃদ্ধিতে অনেক গবেষণা পরিচালিত হচ্ছে এবং সেখানে বৈজ্ঞানিকভাবে একটি শরীরের উপর অনেক ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হচ্ছে কিভাবে শরীরকে অন্যভাবে বৃদ্ধি করানো যায় সে সম্পর্কে।
তবে একটি বিষয় আপনাদের পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে রাখি সৃষ্টিকর্তা আমাদের সৃষ্টি করেছেন এবং তার সৃষ্টি সবথেকে সুন্দর এবং তার সৃষ্টির ওপর আপনি যদি বেশি বাড়াবাড়ি করতে চান তাহলে সেটা খুব একটা ভালো দিক নাই। অবশ্য নিজের আশেপাশে দেখলে বুঝতে পারবেন যারা অতিরিক্ত নিজের শরীরকে উচ্চ মাত্রায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে তারা শেষ বয়সে খুব একটা ভালো থাকে না এবং নানা ধরনের অসুখ-বিসুখে জর্জরিত থাকে। তাই নিজের চুলের শরীর বা ত্বক যদি আপনি ভালো রাখতে চান তাহলে অবশ্যই চুলকে প্রাকৃতিক ভাবে বাড়তে দিতে হবে এবং চুলের যাতে অন্য ধরনের কোন ক্ষতি না হয় সেইদিকে একটু সতর্ক থাকতে হবে।
প্রাকৃতিক উপায়ে চুল লম্বা করার ঘরোয়া পদ্ধতি
প্রাকৃতিক উপায় চুল লম্বা করার ক্ষেত্রে যে ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো আপনারা ব্যবহার করতে পারেন তার মধ্যে আপনার হাতের আশেপাশে থাকা উপাদান গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এমন কিছু উপাদান যে উপাদানগুলো আপনি আপনার চুলে নিয়মিত এপ্লাই করলে অবশ্যই আপনার চুল অনেক সুন্দর হবে এবং আগের থেকে চুল দেখতে খুব ভালো লাগবে। তবে আমরা অনেকেই এই উপাদানগুলোর ব্যবহার সম্পর্কে কিছুই জানিনা যার ফলে আমরা বোকার মত বসে থাকি তাই অবশ্যই চলুন আমরা আমাদের আশেপাশে থাকা চুল বৃদ্ধির প্রাকৃতিক উপায় উপাদান গুলো সম্পর্কে জানি।
আমাদের প্রত্যেকের বাড়িতে চাল ভেজানোর সময় চালের পানি পাওয়া যায়। এই চালের পানি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান যদি আপনি এটা সারারাত ভেজানো চালের পানি একটি স্প্রে বোতলে ঢেলে পুরো চুলে ব্যবহার করেন নিয়মিত তাহলে অবশ্যই এখান থেকে আপনি খুব ভালো একটি ফলাফল পাবেন যার মাধ্যমে আপনার চুল ঘন ও লম্বা হবে।
ক্যাস্টার্ড অয়েল চুলে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান তবে অবশ্যই খেয়াল করতে হবে সেটা কোল্ড প্লেস কাস্টার্ড অয়েল কিনা। আমরা আগের দিনে আমাদের আশেপাশে থাকা গাছ থেকে কাজ সংগ্রহ করতাম এবং বেটে সেটা চুলে লাগাতাম কিন্তু এখন সেটা সম্ভব হচ্ছে না তাই আমরা চাইলে বাজারে থাকা গোল্ড প্রেস কাস্টার্ড অয়েল ব্যবহার করতে পারি।
পুদিনা পাতা খুবই উপকারী একটি পাতা যে পুদিনা পাতা নিয়মিত পেস্ট আকারে আমাদের চুল এপ্লাই করলে এমনিতে মাথার ত্বক ঠান্ডা থাকে এবং চুলের গ্রোথ বৃদ্ধি পায় এবং চুল দেখতে আরো বেশি ঘন ও কালো লাগে।
এছাড়াও যে শ্যাম্পুগুলা আমরা ব্যবহার করি সেই শ্যাম্পুগুলোতে যেগুলো সালফেট মুক্ত সেই শ্যাম্পু গুলো দিয়ে সপ্তাহে দুই তিনবার ধুয়ে ফেলুন চুল তাহলে অবশ্যই এখান থেকে আপনি উপকার পাবেন। তা শ্যাম্পু ব্যবহার পূর্বে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করুন।
আমি চুলের ক্ষেত্রে বারবার যে কথাটি বলি এবং মিস করি না সেটা হচ্ছে যাইতুনের তেল এবং বাংলা ভাষাতে যেটাকে আমরা জলপাই তেল অথবা অলিভ অয়েল বলে থাকে।আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার চুলের যত নেওয়ার জন্য এই জাইতুনের তেল ব্যবহার করত যার ফলে তার এত বয়স হয়ে যাওয়ার পরও তার চুল ছিল অত্যন্ত সুন্দর এবং শুধুমাত্র কয়েকটি চলি পেকেছিল।
এছাড়াও আরো গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান হচ্ছে পেঁয়াজের সঙ্গে আপনি নারিকেল তেলও ব্যবহার করতে পারেন অথবা লেবুর রস ব্যবহার করতে পারেন অথবা আপনি পুদিনা পাতার পেস্ট ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো ব্যবহার করে নিয়মিত চলে এপ্লাই করলে অবশ্যই চুলের পরিবর্তন আপনি লক্ষ্য করতে পারবেন
Leave a Reply