২০২৪ সালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে যেমন সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ভর্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে তেমনি ভাবে বেসরকারি স্কুলে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রেও আপনাদের এই নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। তাই আপনাদের সুবিধার জন্য আজকে আমাদের ওয়েবসাইটে বেসরকারি স্কুল ভর্তি ২০২৪ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করব। আপনার আশেপাশে অবস্থিত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নতুন শ্রেণীতে আপনার সন্তানকে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ক্লাস ব্যবস্থায় অংশগ্রহণ করাতে অবশ্যই এই নিয়ম অনুসরণ করবেন।
এই নিয়ম অনুসরণ করে আপনারা আবেদন করতে পারলে লটারির মাধ্যমে ভর্তি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন এবং দৈব চয়নের মাধ্যমে যদি নাম উঠে যায় তাহলে নির্দিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন। তাই একজন অভিভাবক হিসেবে অথবা শিক্ষার্থী হিসেবে এই পোস্ট করলে জেনে নিতে পারবেন বেসরকারি স্কুলে ভর্তি হতে হলে কোন নিয়ম গুলো অনুসরণ করাটা প্রয়োজন।
করোনাকালীন সময় থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি পরীক্ষার পরিবর্তে লটারির মাধ্যমে ভর্তির কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এই অবস্থায় একজন শিক্ষার্থী যদি ভর্তি হতে চায় তাহলে কোন ধরনের প্রস্তুতি ছাড়াই শুধু অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করে তাকে ভর্তির জন্য লটারির মাধ্যমে এই আবেদন করতে হবে। আপনি যদি আবেদন করেন তাহলে লটারি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন এবং আবেদন না করলে কোন ধরনের সুযোগ আপনাকে প্রদান করা হবে না। তাই মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর মাধ্যমে অনেক শিক্ষার্থী নভেম্বর মাসের 16 তারিখ থেকে ডিসেম্বর মাসের ৬ তারিখ বিকাল ৫ টা পর্যন্ত অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পেরেছে।
তাই আপনি যদি এখন পর্যন্ত আবেদন করে না থাকেন তাহলে ডিসেম্বর মাসের ৬ তারিখ বিকাল ৫ টার ভিতরে অবশ্যই আবেদন করবেন এবং এই ক্ষেত্রে সময় আর বৃদ্ধি করা হবে না বলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আবেদন করাটাই সবচাইতে বুদ্ধিমানের কাজ হবে। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যদি ভর্তি হতে চান তাহলে আবেদন করার জন্য আপনাদেরকে https://gsa.teletalk.com.bd/ এই লিংক ব্যবহার করার কথা বলব। এই লিংক আপনারা যখন ব্যবহার করতে পারবেন তখন খুব সহজেই যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আবেদন করার জন্য ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারবেন এবং ওয়েবসাইটে চলে যাওয়ার পর সরকারি এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য আবেদনের অপশনে ক্লিক করবেন। তাহলে আপনার সামনে একটি আবেদন ফরম চলে আসবে এবং সেখানে দেখে দেখে আপনাকে প্রত্যেকটি তথ্য ইনপুট করতে হবে।
আপনি যখন আবেদন করতে চাইবেন তখন অবশ্যই শিক্ষার্থীর তথ্যগুলো প্রদান করবেন এবং তার অভিভাবকের তথ্যগুলো প্রদান করবেন। বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা উল্লেখ করার পাশাপাশি একটি যোগাযোগের নাম্বার আপনাদের কেউ ওয়েব সাইটে দিতে হবে যাতে করে শিক্ষার্থী চান্স পেলে তার ফোনে এসএমএস দিয়ে অবগত করানো হতে পারে। এভাবে শিক্ষার্থী টি কোন শ্রেণীতে ভর্তি হতে চাই তা নির্বাচন করলে আপনার কোন এলাকায় ভর্তি হওয়ার মানসিকতা আছে অথবা কোন এলাকার ভর্তি তথ্য আপনারা প্রদান করেছেন তার ওপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীকে অবশ্যই বিভিন্ন স্কুলের তালিকা প্রদান করা হবে। সেই তালিকা থেকে শিক্ষার্থীকে সর্বোচ্চ পাঁচটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেছে নিতে হবে এবং এর মাধ্যমে তার আবেদন সম্পন্ন করার ধাপগুলো এগিয়ে যেতে হবে।
ওয়েবসাইটে ছবি আপলোড করার পাশাপাশি 150 টাকা আবেদন ফি প্রদান করতে হবে যাতে করে আপনি এই আবেদনে অংশগ্রহণ করতে পারেন। তবে কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দুইটি করে শিফট চালু রয়েছে অথবা দুইটি করে ভার্সন চালু রয়েছে। এক্ষেত্রে আপনি সকল কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে চাইলে প্রত্যেকটি শিফটের জন্য আলাদা করে একটি স্কুল বিবেচনা করা হবে এবং প্রত্যেকটি ভার্সনের জন্য আলাদা করে একটি স্কুল বিবেচনা করা হবে। সকল কিছু বিবেচনা করে আপনার আবেদন করবেন এবং ডিসেম্বর মাসের ১০ তারিখে ফলাফল প্রকাশিত হলে যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আবেদন করেছেন সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ অথবা ওয়েবসাইটে আপনারা ফলাফল জানতে পারবেন।
Leave a Reply